পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সব কিছু ঠিকঠাক চলছিল। তৃতীয় দিনও উৎসবের আমেজে বিএনপি নেতাকর্মীরা দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনছিলেন। গতকাল বেলা প্র্রায় ১টায় হঠাৎ পাল্টে যায় দৃশ্যপট। রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপি অফিসের সামনের সড়কে জড়ো হওয়া নেতাকর্মীদের সরাতে যায় পুলিশ। এতে বাধ সাধে বিএনপির নেতাকর্মীরা। পুলিশ নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে তাদের শুরু হয় বাকবিতন্ডা। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।
মুহূর্তে পুরো নয়াপল্টন রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি, কাঁদানে গ্যাস শেল নিক্ষেপ করে এবং লাঠিপেটা করে। এতে শতাধিক আহত হয়েছেন। দফায় দফায় প্রায় ঘন্টাব্যাপী এই সংঘর্ষ চলে। এসময় পুশিলের দুটি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়। বেশ কিছু মটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। নেতাকর্মীদের পাল্টা হামলায় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। আহতদের রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ সংঘর্ষের সময় ও পরে বিএনপির ২৪ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় রাত ৮টা পর্যন্ত পুলিশ মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হিসেবে নয়াপল্টনে বিএনপি পার্টি অফিসের সামনে পুলিশের ওপর বিএনপি কর্মীরা পরিকল্পিত হামলা করেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল জোনের ডিসি আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, কোনো প্রকার উসকানি ছাড়াই বিএনপি নেতাকর্মীরা পিকেটিং করেছে, পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ আহত হয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি ধৈর্য ধরে সামাল দেয়ার। এটা পরিকল্পিতভাবে হয়েছে। পুলিশের দুটি গাড়ি পোড়ানো ছাড়াও সাঁজোয়া যানে আগুন লাগানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করতে সরকার এ ঘটনা ঘটিয়েছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকারের নির্দেশে বিনা উসকানিতে পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ করেছে। আমরা শান্তির পক্ষে।
মহিলা দলের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আহত মুকুল আক্তার কনা গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা কিছু বুঝে উঠতে পারনি। পুলিশ আমাদের উপর হালমা চালায়। কিছু বুঝে ওঠার আগে দেখি চারিদিক থেকে গুলি ছোড়া হচ্ছে। আমার মাথায় একটি ছররা গুলি লাগে। এসময় আমি মাটিতে শুয়ে পড়ি। গুলি ছোঁড়া কমলে উঠে পার্টি অফিসে প্রবেশ করি। বিনা উস্কানিতে পুলিশ আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী বিএনপি কর্মী কামরুল ও হাসান জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে তৃতীয় দিনের মতো সকাল ১০টা থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে বিএনপি। সেই মনোনয়ন নিতে সকাল থেকে মিছিল-ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে জড়ো হতে থাকেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। তাদের সঙ্গে ছিলেন বিপুলসংখ্যক সমর্থক। এদিকে সকাল থেকে নয়াপল্টনের কার্যালয়ের সামনে ছিলেন বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য। তারা যানবাহন চলাচলের জায়গা করে দিতে রাস্তায় সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাস্তা সচল রাখার জন্যই পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
সূত্র জানায়, বেলা সাড়ে ১১টার পর নয়াপল্টনের সামনের রাস্তা কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। একপর্যায়ে ওই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় পুলিশ রাস্তায় তাদের (নেতাকর্মীদের) দাঁড়াতে দিচ্ছিল না। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে একটি মিছিল বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আসে। এসময় বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আরও কয়েকটি মিছিল দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে জড়ো হয়। তখন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। একপর্যায়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা বিএনপির নেতাকর্মীদের ফুটপাতের দিকে অবস্থান নেয়ার জন্য রাস্তা ছেড়ে দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন এবং তাদেরকে ফুটপাতের দিকে চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। এসময় পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি ফাঁকা গুলি ছোঁড়া হয়। তখন উপস্থিত শত শত নেতাকর্মী উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে এবং রাবার বুলেট ছুঁড়ে। তখন বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে উদ্দেশ করে ইঁট, পাটকেল, জুতা এবং অন্যান্য বস্তু নিক্ষেপ করতে থাকে। সংঘর্ষের কারণে নয়াপল্টন ও আশপাশের এলাকায় যান চলাচল ও দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে আরো জানা গেছে, দুপুর একটার দিকে সংঘর্ষ শুরু হলে একপর্যায়ে পুলিশ নাইটিঙ্গেল মোড়ের দিকে সরে গিয়ে অবস্থান নেয়। অন্যদিকে, বিএনপির নেতাকর্মীরা নয়াপল্টন এলাকার বিভিন্ন গলিতে অবস্থান নেন এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে স্কাউট ভবন পর্যন্ত মিছিল করেন। এসময় পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান এবং একটি প্রাইভেট কারে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত নেতাকর্মীরা। এছাড়া, তারা রাস্তায় পথচারীদের কয়েকটি গাড়ি এবং মোটরসাইকেলের গ্লাস ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা আব্বাস, মহানগর দক্ষিণের যুবদল মেহেদী হাসান নয়ন, মতিঝিল যুবদলের নেতা মকবুল, খিলগাঁও থানা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোক্তার, মুগদা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সুমন, কলাবাগান স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সুমন, মুগদা থানা বিএনপির নেতা আরিফ, শাহজাহানপুর ছাত্রদলের মহীউদ্দিন, হাসান, টুটুল, শাহবাগের কামাল, পল্টনের আবদুল কাদির, সবুজবাগের মুনির, সাইফুল, মেহেদী হাসান মিরাজ, রমনার গিয়াস উদ্দিন মানিক, যুবদল নেতা হৃদয় শেখ, রতন, আসাদুজ্জামান, শামসুল হক, আবদুর রাজ্জাক, খিলগাঁও থানা মনিরুজ্জামানসহ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আহত নেতা-কর্মীদের অনেকে বিএনপি অফিসের ভেতরে ড্যাবের চিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা নেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসও তখন কার্যালয়ে ছিলেন।
দলের সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু জানান, সংঘর্ষের কারণে দুপুরে ঘণ্টাখানেক মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমার কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও বেলা ২টার পর আবার শুরু হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের বুলেটে আহত ১২ জন বিএনপির নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। তারা হলেন পিরোজপুরের নেছারাবাদের মো. শামসুল হক, রাজধানীর মুগদার মেহেদি হাসান মিরাজ, অরিন, পল্টনের মো. কাদির, হৃদয় শেখ, মতিঝিলের মকবুল হোসেন, সবুজবাগের মনির হোসেন, খিলগাঁওয়ের মোস্তাক, কলাবাগানের সুমন, বিমানবন্দর থানা এলাকার মহিউদ্দিন রতন, মাদারীপুরের সাখাওয়াত হোসেন এবং পিরোজপুরের আসাদুজ্জামান। তাদের গলা, মাথা ও পিঠে গুলির আঘাত লেগেছে। রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
ফের হেলমেট বাহিনী
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলীয় কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় হেলমেট বাহিনীর তান্ডব দেখা গেছে। এ সময় মুখে কালো কাপড় বেঁধে ও মাথায় হেলমেট পরে একদল যুবক পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। এর আগে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর একইভাবে হামলা করতে দেখা গেছে হেলমেট পরা একদল যুবককে। গতকাল উত্তেজিত কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে একদল যুবক মুখে কালো কাপড় এবং মাথায় হেলমেট পরে পুলিশের গাড়ির ওপর তান্ডব চালায়। ভাঙচুর করতে থাকে। তারা পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
তিনটি মামলার প্রস্তুতি
ঢাকা মহানগর পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, পুলিশের উপর হামলা, গাড়িতে আগুন দেয়া ও গাড়ি ভাংচুর এবং পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে তিনটি মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে। মামলায় বিএনপির বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাসহ কয়েকশত নেতাকর্মীকে আসামী করা হচ্ছে বলে ওই কর্মকর্তা মন্তব্য করেন।
গত রাত ১১টার দিকে ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কার্যলয়ের সামনের ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, বিনা উসকানিতে পুলিশের ওপর বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা করেছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
ভিডিও ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হিসেবে নয়াপল্টনে বিএনপি পার্টি অফিসের সামনে পুলিশের ওপর বিএনপিকর্মীদের হামলা পরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি আরো বলেন, একটা নাশকতা সৃষ্টির মাধ্যমে ধূম্রজাল তৈরি করে নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র এটা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুপুর আনুমানিক একটার সময় বিএনপির প্রধান কার্যালয়ের সামনে দুই মনোনয়ন প্রার্থী মির্জা আব্বাস ও মেজর (অব.) আখতার এসেছিলেন তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করতে। এ সময়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি-মারামারি হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের পুলিশ সব সময়ই বলে আসছিল একটি রাস্তা যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রাখার জন্য। তারা সম্পূর্ণ রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে দুই গ্রুপ এবং দীর্ঘক্ষণ যাবত অন্যান্য গ্রুপ অবস্থান করছিল। ওই দুই গ্রুপ আসার পরেই আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী খেয়াল করে সেখানে উত্তেজনা সৃষ্টি হচ্ছে এবং ধাক্কাধাক্কি ও অসহিষ্ণু একটা পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। তারপরে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের ওপর তারা ইটপাটকেল ছোড়া শুরু করে যখন পুলিশ বলছিল যানবাহন চলাচলের জন্য একটি রাস্তা খুলে দেওয়ার জন্য। পুলিশ তাদের নিরাপদ দূরত্বে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে। সেই সময় একটা ধাক্কাধাক্কি এবং পুলিশের ওপর আক্রমণ, আপনারা সবাই লক্ষ্য করেছেন।
ঘটনাস্থালে ১৩ জন পুলিশ এবং তিনজন আনসার সদস্য আহত হয়েছেন জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা এখন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। পুলিশের দু’টি নতুন গাড়িতে বিএনপি কর্মীরা অগ্নিসংযোগ করে, ভাঙচুর করে। দুটি গাড়ি ভস্মীভূত হয়। তারা একটি এপিসি ভেহিকেলেও আগুন ধরাবার চেষ্টা করে কিন্তু পুলিশ সক্রিয় থাকাতে সেটি রক্ষা পায়।
তিনি আরো বলেন, আমরা মনে করি এটা পরিকল্পিতভাবে হয়েছে। আমরা মনে করি, যখন দেশ একটা সুন্দর নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে, নির্বাচন কমিশন যখন সিডিউল ডিক্লিয়ার করেছে, দেশের মানুষ যখন একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের অপেক্ষায় রয়েছে, দেশের মানুষ যখন এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে, সেই সময় আমরা মনে করি পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
সরিয়ে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা কেন? প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রাস্তাটি একটা ইমপর্টেন্ট রাস্তা আর ধানমন্ডি সেখানে একটা বাইলেন। সেটা একটা রেসিডেন্সিয়াল রাস্তায় ঢোকার রাস্তা। সেই রাস্তাটাও আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে খালি রাখার জন্য। সবগুলো রাস্তা চালু রাখতে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীকে যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হয়েছে। আমিও ওখানে (ধানমন্ডি) থাকি, আমিও ওই রাস্তায় চলাচল করেছি, আমার হয়তো সময় লেগেছে কিন্তু আমি যেতে পেরেছি।
নির্বাচনকে সামনে রেখে এ ধরনের ঘটনার জন্য কতটুকু প্রস্তুত? প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সব সময় সবকিছুর জন্য প্রস্তুত থাকি। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনীর দক্ষতা ও ক্ষমতা যথেষ্ট রয়েছে। যেকোন পরিস্থিতি তারা মোকাবিলার জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকবে।
রাজনৈতিক মামলা সম্পর্কে কামাল বলেন, আমরা কোনো রাজনৈতিক মামলা রুজু করিনি। সবগুলো মামলাই করেছি ভাঙচুর কিংবা বাধাদান কিংবা ভয়ভীতি প্রদর্শন কিংবা আইসিটি অ্যাক্টের মামলা হয়েছে। ২০ দলীয় জোট প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে একটা লিস্ট দিয়েছেন। আমরা লিস্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। সত্যতা যদি পাই তাহলে আমরা সেগুলোর ব্যবস্থা নেব। প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য। আমরা অলরেডি কাজ শুরু করে দিয়েছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।