Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফেনীতে সাদপন্থীদের বিতর্কিত কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

 ফেনীতে তাবলীগ জামাতের জেলা মারকায খুলে দেয়া এবং সাদ পন্থীদের বিতর্কিত কার্যক্রম বন্ধে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে বাতিল প্রতিরোধ কমিটির ফেনীর ব্যানারে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে ঢাকার কাকরাইল মারকাযের অধীনে পরিচালিত তাবলীগ জামাতপন্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাতিল প্রতিরোধ কমিটির আহবায়ক মাওলানা হাফেজ খলিলুর রহমান, যুগ্ম-আহবায়ক আফজালুর রহমান, জেলা তাবলীগের শূরা সদস্য আবু সালেহ, সদস্য সচিব মাওলানা. ইউছুফ কাসেমী, মাওলানা রহুল আমিন, মাওলানা শিব্বির আহম্মেদ, মাওলানা ফজলুল হক, মাওলানা আবদুল আউয়াল, মাওলানা নরুল্লাহ, মাওলানা ফয়েজ উল্লাহ প্রমুখ। ফেনী শহরের টাইমপাস চাইনিজ রেস্টুরেন্টে আয়োজিত অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্যে ফেনী জেলা তাবলীগ জামাতের পক্ষ থেকে বলা হয় দিল্লীর নিজামুদ্দীন মারকাযের স্ব-ঘোষিত আমীর মাওলানা সা’দ কুরআন-হাদীস বিরোধী ও নবী-রাসূলগণকে উদ্ধৃত করে দেয়া বক্তব্যে গোটা পৃথিবীর আল্লাহ্-ভীরু, নবীপ্রেমিক আলেম সমাজ ও তাবলীগ সংশ্লিষ্ট দ্বীনদার মুসলিমগণ চরম ভাবে ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। মাওলানা সাদের বক্তব্যে উদ্ধৃতি ‘হিদায়াত যদি আল্লাহর হাতে হতো তবে নবীদের কেন পাঠালেন। রাসূল (সঃ) হযরত যয়নব (রাঃ) এর ওলীমায় নিজের পূর্ব নিয়ম থেকে সরে গোস্ত-রুটি দ্বারা মেহমানদারী করার কারণে তাঁকে কষ্টে শিকার হতে হয়। এছাড়াও তিনি হযরত মূসা (আঃ), হযরত জাকারিয়া (আঃ) এবং হযরত ইউসুফ (আঃ) এর শানেও কুরআন হাদীস বিরোধী উক্তি করেছেন। ‘উহূদের যুদ্ধে ৫শতাংশ সাহাবী নাফরমানী করেছিলেন’। ‘ক্যামেরাওয়ালা মোবাইল রাখা হারাম এবং পকেটে ক্যামেরাওয়ালা মোবাইল রেখে নামায হয়না। যে আলেমগণ ক্যামেরাওয়ালা মোবাইল রাখাকে জায়েয বলেন তারা উলামায়ে ছূ! এবং বার বার কসম খেয়ে তিনি বলেন, তারা হলো উলামায়ে ছূ! এমন আলেমরা হলো গাধা! গাধা! গাধা!’

‘মোবাইলে কুরআন শরীফ পড়া ও শুনা পেশাবের পাত্রে দুধপান করার মত’। এ ধরণের কুরআন-হাদীস বিরোধী অসংখ্য বক্তব্য প্রতিনিয়ত তিনি দিয়েই চলেছেন। সা’দের এসব কুরআন-হাদীস বিরোধী বক্তব্যের ফলে গোটা দুনিয়াতে তাবলীগের সাথীগণ দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। একভাগ নিজেদের দ্বীন ও ঈমান হেফাজতের স্বার্থে সা’দের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। অপর ভাগ যে কোন অবস্থায় সা’দের পক্ষ অবলম্বন করছেন। যার ফলে বিভিন্ন স্থানে বাদানুবাদ এমনকি সংঘর্ষের ঘটনা পর্যন্ত ঘটছে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় তাবলীগী মারকায কাকরাইল থেকে সিদ্ধান্ত হয় ২০১৯ সালে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার আগে দেশের কোন জেলায় ইজতেমা হবে না। ফেনী জেলা মারকাযেও গত ৩ জুলাই অনুষ্ঠিত মাশওয়ারায় সভাপতি হাজী গোলাম মোস্তফা, যিম্মাদার ও সাধারণ সাথীদের উপস্থিতিতে এ বছর ফেনীতে ইজতেমা না করার সিদ্ধান্ত হয়। উপস্থিত সাথীগণকে সিদ্ধান্ত শুনান সা’দপন্থী হাফেজ নূরুদ্দীন। কিন্তু তা অমান্য করে হাজী গোলাম মোস্তফা ও হাফেজ নূরুদ্দীন গং মারকাযের বাইরে গোপন মিটিং করে অবৈধভাবে জেলা ইজতেমার ঘোষণা দেন। বাতিল প্রতিরোধ কমিটি ফেনী জেলার উদ্যোগে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তারা নি¤েœর দাবিগুলো উপস্থাপন করেন। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সা’দপন্থীদের ষড়যন্ত্রমূলক বিতর্কিত ইজতেমার সকল আয়োজন বন্ধ করতে হবে। অবিলম্বে কাকরাইলের ওলামা শুরার অধীনে মারকাযের প্রতিষ্ঠাতা সুফী আব্দুল গনি ও ওলামায়ে কেরামের তত্ত¡াবধানে স্থায়ীভাবে ফেনী মারকাযের কার্যক্রম চলার ঘোষণা দিতে হবে।
অন্যথায় আলেম-ওলামা, ইমাম-খতীব, ছাত্র-জনতা ও সর্বস্তরের তৌহিদী জনগণ সবাত্মক বিক্ষোভ ও রাজপথ অবরোধসহ যে কোন কঠিন কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ