পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহকে অবিলম্বে অপসারণের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সচেতন ছাত্রবৃন্দের ব্যানারে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় একটি ধর্মীয় ঐতিহাসিক চেতনার প্রতীক। এ দেশের হক্কানী আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখ ও মাদরাসা ছাত্র-শিক্ষকদের প্রায় শত বছরের ঘাম ঝরানো আন্দোলনের ফসল ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদরাসা শিক্ষার সঠিক মূল্যায়নে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ জনুার হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। কিন্তু স¤প্রতি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আহসান উল্লাহর বিরুদ্ধে গুরুতর চারিত্রিক স্খলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। যা দেশের ওলামা মাশায়েখ ও সর্বস্তরের মুসলিম জনুা বিশেষত লাখ লাখ মাদরাসা ছাত্রদেরকে ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত করেছে।
গত ০৫ নভেম্বর (সোমবার) কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, এক ছেলেশিশুকে ডেকে নিয়ে বলাৎকার করার অভিযোগে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহকে তার বাসায় অবরুদ্ধ করেছিল এলাকাবাসী। বিষয়টি পুলিশ পর্যন্ত গড়ালে সপরিবারে এলাকা ছাড়ার শর্তে উদ্ধার পান ভিসি। গত শনিবার রাতে চট্টগাম নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার ‘এ’ ব্লকের ২ নম্বর সড়কে এ ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, উত্তেজিত অভিভাবকগণ আহসান উল্লাহকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করছেন।
মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন প্রধানমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে ক্ষমতা অপব্যবহারকারীদের বিশেষ সুপারিশে অধ্যাপক ড. আহসান উল্লাহকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ ছিল। এ ক্ষেত্রে দেশের আলেম সমাজের মতামত বা নিরপেক্ষ যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই কোন অজ্ঞাত কারণে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়। যদিও তার বিরুদ্ধে আগে থেকেই জামায়াত সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে, কিন্তু পরে তিনি অতি আওয়ামী লীগার রূপ ধারণ করে সরকারকেও প্রতারিত করে আসছেন। অবিলম্বে চরিত্রহীন ভিসিকে অপসারণ না করা হলে মাদরাসা শিক্ষার্থীরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে বলে জানান বক্তারা।
দেশের আলেম সমাজের দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত বিশেষায়িত উচ্চতর দ্বীনি প্রতিষ্ঠান ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির এমন লাম্পট্য ও চারিত্রিক স্খলনের ঘটনা দেশের আলেম সমাজ, ধর্মপ্রাণ জনগণ ও মাদরাসা সংশ্লিষ্ট লাখো মানুষকে ব্যথিত ও লজ্জিত করেছে। উক্ত মানববন্ধন থেকে অবিলম্বে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের পবিত্রতা রক্ষায় দুর্নীতিবাজ, চরিত্রহীন ভিসিকে অপসারণ করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী উলামা লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী মাওলানা আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, বাংলাদেশ ফেতনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মাওলানা আব্দুস সাত্তার, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের সভাপতি মাওলানা শওকত আলী শেখ সিলিমপুরী, মাওলানা আল-আমিন, মাওলানা জুবায়ের হাসান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।