পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বপ্ন বাস্তবায়নের রূপকার এ এম এম বাহাউদ্দীন প্রধানমন্ত্রী পরিকল্পনামন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রী অভিনন্দিত
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণতা লাভে চট্টগ্রামের সর্বস্তরের আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখদের মধ্যে খুশির বন্যা বইছে। বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের অগণিত মাদরাসার লাখ লাখ শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকরা দারুণ উজ্জীবিত এবং আশাবাদী। উচ্ছ্বসিত বার আউলিয়ার পুণ্যভূমি চট্টগ্রামের সর্বস্তরের আলেম-মাশায়েখগণ। উচ্চশিক্ষার দুয়ার খুলে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরাজ করছে প্রাণচাঞ্চল্য। এদেশের আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখদের লালিত স্বপ্নের সফল বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখায় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে আন্তরিক অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন এ অঞ্চলের আলেম-ওলামাগণ। তারা বলছেন, এ প্রকল্প অনুমোদন দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একদিকে ইসলামের প্রতি তার শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। অন্যদিকে জনআকাক্সক্ষার প্রতি সম্মান দেখিয়েছেন। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণতা লাভে সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং একটি স্বপ্নকে বাস্তবে রূপদানের অনন্য রূপকার হিসেবে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীনের অবদান স্মরণ করে আলেম-মাশায়েখগণ তাদের প্রতিও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
চট্টগ্রামের আলেম-মাশায়েখগণ বলছেন, জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সাবেক সভাপতি, সাবেক মন্ত্রী ও দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা এম এ মান্নান (রহঃ) একটি স্বতন্ত্র ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার যে আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন তার সুযোগ্য পুত্রের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সে আন্দোলন সফল হয়েছে। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন এখন বাস্তব। তারা আশা প্রকাশ করেন, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে এদেশে ইসলামি শিক্ষা আরও বেশি সম্প্রসারিত ও বিকশিত হবে। ইসলামি জ্ঞান-বিজ্ঞানের উচ্চতর গবেষণা ও উচ্চ শিক্ষার মাধ্যমে দেশপ্রেমিক সুনাগরিক সৃষ্টিতে এ বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। এর মধ্যদিয়ে আলেম-মাশায়েখদের মর্যাদা আরও বাড়বে, আগামী দিনে দেশ পরিচালনার যোগ্য আলেম তৈরি হবে।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় ৪১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। রাজধানী ঢাকার কাছে কেরানীগঞ্জে স্থাপিত হবে দেশের প্রথম ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস। ২০ দশমিক ১৫ একর জমিতে গড়ে উঠা ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। একনেক সভায় প্রকল্প অনুমোদন দেয়ার খবরে চট্টগ্রামে আলেম-ওলামা তথা মাদরাসা শিক্ষায় সংশ্লিষ্টদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। গতকাল (বুধবার) চট্টগ্রাম মহানগরসহ এ অঞ্চলের বিভিন্ন মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকরা এ খবরে মহান আল্লাহর শোকরিয়া প্রকাশ করার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদ সদস্য ও জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতিসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জ্ঞাপন করেন। এ বিশ্ববিদ্যালয় জমিয়তুল মোদার্রেছীনের দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল। জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি এ এম এম বাহাউদ্দীনের আপোষহীন নেতৃত্বে এ সাফল্য ও গৌরবের অংশীদার চট্টগ্রামের আলেম-ওলামারাও। আর এ কারণে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিপূর্ণতা লাভের খবরে এখানকার আলেম-ওলামাদের মাঝে অন্যরকম আবেগ-অনুভূতির সৃষ্টি হয়েছে।
জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিন্সিপাল মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, এদেশের আলেম-ওলামাদের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় এখন বাস্তব রূপ লাভ করেছে। জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি এ এম এম বাহাউদ্দীনের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এ অর্জনের সফল অংশীদার এদেশের সর্বস্তরের আলেম-মাশায়েখগণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণতা দানে একনেক সভায় প্রকল্প অনুমোদন দেয়ায় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালসহ মন্ত্রী পরিষদের সকল সদস্যকে অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানান। তিনি বলেন, প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিপূর্ণতা অর্জনে সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে ইসলামি শিক্ষা আরও যুগোপযোগী হবে, দেশে সুনাগরিক তৈরিতে এ বিশ্ববিদ্যালয় কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল মাওলানা সোলাইমান আনসারী বলেন, স্বতন্ত্র ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘকাল ধরে যারা আন্দোলন করেছেন তাদের জন্য এটি অত্যন্ত আনন্দের এবং সুখবর। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন যারা দেখেছেন তাদের অনেকে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। তবে তাদের সে স্বপ্ন এখন সফল হয়েছে। এ প্রকল্প অনুমোদন দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, তার আন্তরিকতায় এদেশের আলেম-ওলামাদের স্বপ্নের বাস্তবায়ন হল। জমিয়াতুল মোদার্রেছীন সভাপতি এ এম এম বাহাউদ্দীনের অবদান উল্লেখ করে মাওলানা সোলাইমান আনসারী বলেন, তার পিতা মাওলানা এম এ মান্নান (রহঃ) যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি সে স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন করেছেন। দৈনিক ইনকিলাব এক্ষেত্রে এখনো বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
নগরীর আসাদগঞ্জ সোবহানিয়া আলিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা হারুনুর রশিদ বলেন, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ছিল শত বছরের ইতিহাসের দাবি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে দাবি পূরণ করেছেন। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ইসলাম বৈরী বলে যারা অপপ্রচার চালাতো তাদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন তিনি। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণতা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রমাণ করেছেন তিনি ইসলাম দরদিই শুধু নন তিনি ইসলামের পক্ষের শক্তি। স্বপ্নের সফল বাস্তবায়নে জমিয়াতুল মোদার্রেছীন সভাপতি এ এম এম বাহাউদ্দীনকে সফল রূপকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় পরিপূর্ণতা পাবে এদেশে ইসলামি শিক্ষার প্রসার ও বিকাশ ঘটবে।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিশিষ্ট আলেম বোয়ালখালীর খিতাপচর আজিজিয়া মাবুদিয়া আলিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল পীরে কামেল আবদুর রহিম আল কাদেরী ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অনুমোদন পাওয়ায় মহান আল্লাহর শোকরিয়া আদায়ের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি এ এম এম বাহাউদ্দীনকে অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানান। তিনি বলেন, মাদরাসা শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং একটি স্বতন্ত্র ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে এ অঞ্চলের আলেম-ওলামা দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন করে আসছিলেন। তাদের সে আন্দোলন ও ত্যাগের প্রতিফলন হল আজকের এ বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে দেশের আলেম-ওলামাদের মর্যাদা আরও একধাপ এগিয়ে গেল।
বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল ড. সাইয়েদ আবু নোমান বলেন, স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার অনুমোদনের মধ্যদিয়ে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় পরিপূর্ণতা লাভে আরও একধাপ এগিয়ে গেল। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তার আন্তরিকতার কারণে এ প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়ন হচ্ছে। সেইসাথে তিনি মন্ত্রীসভার সকল সদস্য ও জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি এ এম এম বাহাউদ্দীনসহ জমিয়াতের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আন্তরিক মোবারকবাদ জানান। তিনি বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে দেশে ইসলামি শিক্ষা আরও বেশি বিকশিত হবে। এর মধ্যদিয়ে দেশপ্রেমিক আদর্শ সুনাগরিক তৈরি হবে যারা আগামী দিনে দেশ ও জাতির নেতৃত্ব দেবে। দেশের মানুষ ইসলামি ইতিহাস-ঐতিহ্য লালন ও পালনে আরও বেশি উৎসাহিত হবে।
জমিয়াতুল মোদার্রেছীন চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি ও আহসানুল উলুম জামেয়া গাউছিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবুল বয়ান হাশেমী বলেন, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও এর পরিপূর্ণতা লাভে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যে উদারতার পরিচয় দিয়েছেন তা নজিরবিহীন। এ প্রকল্পের শুরু থেকে মঙ্গলবার একনেকের সভায় স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী যে আন্তরিকতা দেখিয়েছেন তাতে আমরা আপ্লুত। জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি এ এম এম বাহাউদ্দীনের সুযোগ্য ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এদেশের গণমানুষের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় আজ পরিপূর্ণতা পেয়েছে। তিনি বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে ইসলামি শিক্ষা আরও বেশি সম্প্রসারিত ও বিকশিত হবে। আগামী দিনের নেতৃত্ব দেবে এদেশের আলেম-ওলামারা। আর এ বিশ্ববিদ্যালয় দেশ পরিচালনায় যোগ্য সুনাগরিক তৈরি করবে।
জমিয়াতুল মোদার্রেছীন চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক ও ছিপাতলী জামেয়া গাউছিয়া মূঈনীয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবুল ফরাহ মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল আমাদের স্বপ্ন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন করেছেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রী এবং তার মন্ত্রী সভার সদস্যরা দেশের সর্বস্তরের আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখের অভিনন্দন পাচ্ছেন। জমিয়াতুল মোদার্রেছীন যে আন্দোলনের সূচনা করেছিল সে আন্দোলন সফল হয়েছে। আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে ইসলামি শিক্ষার গুণগতমান বাড়বে ও আধুনিকায়ন হবে। এর মাধ্যমে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও ইসলামের বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয় সুনাগরিক তৈরি করতে অনন্য ভূমিকা পালন করবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিপূর্ণতা দিতে বর্তমান ভিসি প্রফেসর আহসান উল্লাহ নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, জমিয়াতুল মোদার্রেছীন মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়নে যে ভূমিকা রেখে চলেছে তা আরও গতিশীল হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।