পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা ও গোমতী সেতুর টোল প্লাজাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট যানজট নিরসনে টোল আদায় আরও গতিশীল করা হচ্ছে। টোল সংগ্রহে ডিজিটাল ‘টাচ এন্ড গো’ পদ্ধতিকে আরও আধুনিকায়ন করতে উদ্যোগ নিচ্ছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের তথ্যমতে, বর্তমানে সড়ক মহাসড়কে ১৪টি সেতুতে ‘রিয়েল টাইম ওয়েববেজড মনিটরিং সিস্টেম’ চালু আছে। এ পদ্ধতিতে সেতুগুলোর টোল আদায় কার্যক্রম সহজেই পর্যবেক্ষণ করতে পারে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর। এর বাইরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা সেতুতে পরীক্ষামূলকভাবে সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে ‘টাচ অ্যান্ড গো’ পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে স্মার্টকার্ড চার্জ করে দ্রুত টোলের টাকা পরিশোধ করতে পারছেন পরিবহন চালকরা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা ও গোমতী সেতুতে টোল আদায়কে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হয়। এ যানজট কখনও কখনও ৬০/৭০ কিলোমিটারও ছাড়িয়ে যায়। এতে করে একদিকে মানুষের ভোগান্তি অন্যদিকে শত শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়। এই ক্ষতি ও ভোগান্তি এড়াতে মেঘনা সেতুতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে টোল আদায় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, পরীক্ষামূলকভাবে সীমিত আকারে স্মার্টকার্ডভিত্তিক ‘টাচ এন্ড গো’ সিস্টেম চালু করা হয়েছে। শিগগিরি এই পদ্ধতি আরও আধুনিকীকরণ ও প্রসারিত করা হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রায় প্রতিদিনই চলাচল করেন এমন কয়েকজন বাস চালক জানান, মহাসড়কের মেঘনা ও গোমতী সেতুসহ সওজ অধিদপ্তরেরর আওতাধীন সেতুগুলোয় টোল আদায় করা হয় ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে। গাড়ির ধরন অনুযায়ী নির্ধারিত টোলের টাকা চালকরা সংশ্লিষ্ট টোল অপারেটরকে প্রদান করেন। এরপর গাড়ির এক্সেল লোড যাচাই করে নির্ধারিত ফি জমা রেখে চালককে একটি মানি রিসিট দেন সংশ্লিষ্ট টোল প্লাজার কর্মীরা। এ পদ্ধতিতে একটি গাড়ির টোল আদায় শেষ করতে ২ থেকে ৫ মিনিট পর্যন্ত সময় লাগে। খুচরা টাকা লেনদেনে সমস্যা হলে সময় লাগে আরো বেশি। এতে করে টোল প্লাজার সামনে থাকা গাড়ির সারি দীর্ঘ হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। এই যানজট প্রাায়ই ভয়াবহ আকার ধারন করে।
জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা ও গোমতী সেতুসহ টোল আদায় কার্যক্রমের আধুনিকায়নে এরই মধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। ১৪টি বড় সেতুতে টোল আদায়ের জন্য চালু হয়েছে রিয়েল টাইম ওয়েব বেজড মনিটরিং সিস্টেম। এ পদ্ধতিতে মেঘনা ও মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল আদায় কার্যক্রমও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আরো নয়টি ডিজিটাল টোল প্লাজাকে একই ধরনের পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার আওতায় আনতে উদ্যেগ নিয়েছে মহাসড়ক বিভাগ। একই সাথে মেঘনা সেতুতে টাচ এন্ড গো পদ্ধতিতে আলাদা লেন দিয়ে সহজেই যাতে দুরপাল্লার বাস ও ট্রাক যেতে পারে সে ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, মেঘনা সেতুতে পরীক্ষামূলকভাবে সীমিত পরিসরে টাচ অ্যান্ড গো পদ্ধতি চালু রাখা আছে। আমরা পরিকল্পনা করেছি, পর্যায়ক্রমে বড়গুলোসহ দেশের সব সেতুতেই টাচ অ্যান্ড গো পদ্ধতিতে টোল আদায় করার। তবে এটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। তিনি বলেন, শুধু সড়ক বিভাগের উদ্যোগে ভাল ফল মিলবে না। এজন্য টোল প্রদানকারীদেরকেও উদ্যোগী হতে হবে। গাড়ির চালকরা যাতে এ পদ্ধতি অনুসরণ করে সে জন্য আমরা মালিকদের উৎসাহিত করার চেষ্টা করছি। ওই কর্মকর্তা বলেন, খুব শিগগির একাধিক সেতুতে টাচ অ্যান্ড গো পদ্ধতি চালু হবে।
তবে পরিবহন মালিকদের দাবি, শুধু ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করলেই হবে না, সেতু দিয়ে যাতে যানবাহন নির্বিঘ্নে পার হতে পারে, পৃথক লেন ব্যবহার করতে পারে-সেজন্য গুরুত্ব দিতে হবে অবকাঠামো উন্নয়নে। তাহলেই কেবল ‘টাচ অ্যান্ড গো’র সুফল পাওয়া সম্ভব। সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে সহজেই সেতুর টোল দেয়া গেলে মহাসড়কে নিয়মিত চলাচলকারী বাসের জন্য স্মার্টকার্ড কিনে রাখবো। চালকদের সেগুলো দিয়ে দিলেই তো ঝামেলা শেষ। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, এতে করে যানজট কমবে, যাত্রী হয়রানী কমবে। পাশাপাশি গন্তব্যে পৌঁছার সময়ও কমবে। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।