Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মুক্তি পেলেন

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৩ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০১ এএম

তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ২২ দিন কারাভোগের পর গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। হাইকোর্টের অন্তবর্তীকালীন জামিনের কাগজপত্র কারাগার এসে পৌঁছার পর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, জামিনের কাগজপত্র হাতে পাওয়ার পর তা যাচাই-বাছাই করে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
কারাফটকে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। শুভেচ্ছার জবাবে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী দলের নেতা-কর্মীদের নির্বাচনী ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সকল বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। তিনি অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াসহ বন্দি বিএনপি নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় নওমী নামে একজনের সঙ্গে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর কথিত ফোনালাপ ফাঁস করা হয়। ওই ঘটনায় চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর গত ৪ আগস্ট তথ্য প্রযুক্তি আইনে আমীর খসরুর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় এ মামলা করেন। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়।
এ মামলায় গত ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন নিয়েছিলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী যা পরে আপিল বিভাগও বহাল রাখে। এ আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গত ৭ অক্টোবর চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। ২১ অক্টোবর আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। ওই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে জামিন আবেদন করেছিলেন আমীর খসরু। গত ৪ নভেম্বর তা মঞ্জুর করে তাকে অন্তবর্তীকালীন জামিন দেয়া হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ