২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
প্রত্যেক নারীর জীবনের একটি বড় স্বপ্ন হলো মা হবেন। কিন্তু এ সময় একজন গর্ভবতী মায়ের অনেকগুলি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কোমর ব্যথা তার মধ্যে অন্যতম। বিশেষ করে ৩য় ট্রাইমিষ্টার বা গর্ভকালীন সময়ের শেষ ভাগে এই সমস্যাটি বেশি দেখা যায় কারণ, আমাদের মেরুদ-ের লাম্বার রিজন বা কোমরে অংশে একটি সি আকৃতির কার্ভ বা বাঁকা থাকে। যাকে মেডিকেল ভাষায় লাম্বার লরর্ডোটিক কার্ভ বলা হয়। এটি আমাদের কোমরের মুভমেন্ট করতে সাহায্য করে। কিন্তু গর্ভকালীন সময়ে বিশেষ করে শেষ তিন মাসে যখন বাচ্চার ওজন ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে তখন মায়ের পেটের আকৃতিও বাড়তে থাকে ফলে এই বাড়তি ওজন বহন করতে মায়ের মেরুদ-ের কোমরের অংশের মাংসপেশীগুলোকে বেশি একটিভ বা সক্রিয় থাকতে হয় পাশাপাশি গর্ভবতী মা পেটের বাড়তি ওজন বহন করে কিছুটা পিছনের দিকে বাঁকা হয়ে যায়, যার ফলে কোমরের মাংসপেশী ও স্পাইনাল লিগামেন্টগুলো ফেটিগ বা দুর্বল হয়ে যায় তখন ব্যথা অনুভূত হয়। যেহেতু এই সময় ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া ঠিক নয় তাই সাধারণত মায়েরা ব্যথা সহ্য করে থাকেন। কিন্তু প্রসব পরবর্তী সময়ে এই ওভার একটিভ মাংসপেশীগুলো আরও বেশি শিথিল ও দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ব্যথা আরও বেড়ে যায়। যার ফলে অনেকেই ধারণা করে থাকেন সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য একটি ইনজেকশন দেয়ার পর থেকে ব্যথা শুরু কিন্তু ইনজেকশন ব্যথার জন্য দায়ী নয়, মূলত কোমরের মাংসপেশী, লিগামেন্ট ও লাম্বার লাইনের স্বাভাবিক বক্রতা বেড়ে যাওয়ার ফলে এই ব্যথার সৃষ্টি হয়।
করণীয় : গর্ভকালীন কোমর ব্যথা যেহেতু ব্যথানাশক ওষুধ ব্যবহার করা যায় না তাই ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা অনেক উপকারী। এক্ষেত্রে সুপারফিসিয়াল থার্মোথেরাপির পাশাপাশি কিছু থেরাপিউটিক ব্যায়াম করতে হবে যেমন-স্ট্যাটিক ব্যাক মাসল এক্সসারসাইজ, পেলভিক ব্রিজিং এক্সারসাইজ ইত্যাদি যা গর্ভকালীন সময়ে কোমরের মাংসপেশীর শক্তি বজায় রাখে ও গর্ভকালীন কোমর ব্যথা অনেকাংশে কমায়।
প্রসব পরবর্তী ফিজিওথেরাপি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বিশেষ করে কোমর ও পেটের শিথিল হয়ে যাওয়া মাংসপেশীগুলো শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য কিছু থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ বা ব্যায়াম করতে হবে যেমন-পেলভিক-ফ্লোর এক্সারসাইজ, ব্যাক মাসল স্ট্রেন্দেনিং এক্সারসাইজ; এ্যাবডোমিনাল এক্সারসাইজ ইত্যাদি। ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যায়াম করলে প্রসব পরবর্তী কোমর ব্যথা থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।
ষ ডাঃ এম. ইয়াছিন আলী
ফজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ, ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার, বাড়ি নং-১২/১, রোড নং-৪/এ, ধানমন্ডি, ঢাকা।
মোবাইল : ০১৭৮৭-১০৬৭০২
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।