প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
দেশে মানসম্পন্ন আধুনিক প্রযুক্তির সিনেমা হল হাতে গোনা। চলচ্চিত্রের মন্দাবস্থার অন্যতম কারণ হিসেবে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা বরাবারই সিনেমা হলের পরিবেশ এবং প্রযুক্তিগত অপ্রতুলতার কথা বলে আসছেন। তারা মনে করছেন, মানসম্পন্ন সিনেমার জন্য মানসম্পন্ন সিনেমা হলের প্রয়োজন। এ নিয়ে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে আধুনিক সিনেমা হল গড়ে তোলার জন্য সরকারের কাছে বরাবর দাবী তুলেছে। সরকারও আশ্বাস দিয়েছে। তবে কবে তা বাস্তবায়ন হবে তা অনিশ্চিত। এদিকে বেসরকারিভাবে বেশ কয়েকটি সিনেপ্লেক্স গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশের প্রথম সিনেপ্লেক্স গড়ে উঠে বসুন্ধরা সিটিতে স্টার সিনেপ্লেক্স নামে। এ সিনেমা হলের কর্তৃপক্ষ নতুন উদ্যোগ নিয়েছেন। তারা আগামী বছরের মধ্যে সারাদেশে ২০টি সিনেপ্লেক্স চালু চালু করাবে বলে জানিয়েছে। সিনেপ্লেক্সের মিডিয়া ও বিপণন কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন আহেমদ জানান, ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিনেপ্লেক্স নির্মিত হচ্ছে। আগামী বছরের মধ্যে সারাদেশে সবমিলিয়ে ২০টি সিনেপ্লেক্স চালু হবে। ইতোমধ্যে স্থান নির্ধারণ ও সিনেপ্লেক্স নির্মাণে প্রাথমিক কাজও শুরু হয়েছে। ডিসেম্বরের শুরুতেই ধানমন্ডির সীমান্ত স্কয়ার সংলগ্ন সীমান্ত সম্ভারে তিনটি বিলাসবহুল হল নিয়ে চালু হবে। আগামী বছরের মে মাসে মহাখালীতে সেনা কল্যাণ সংস্থা টাওয়ারে চালু হবে স্টার সিনেপ্লেক্স-এর আরেকটি মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হল। সেখানে তিনটি হল থাকবে। আসন হবে ২৫০ থেকে ৩০০টি। এছাড়া ঢাকার উত্তরা, পূর্বাচল সিটিতে সিনেপ্লেক্স নির্মাণের জন্য জায়গা পেয়েছে সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। আগামী বছরে এসব সিনেপ্লেক্সের কাজ শুরু হবে জানান মেজবাহ উদ্দিন আহেমদ। ঢাকার এলাকা মিরপুরেও সিনেপ্লেক্স নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে। মেজবাহ উদ্দিন আহেমদ বলেন, মিরপুর-২ সেকশনে মাল্টিপ্লেক্স নির্মিত হবে। তিনি বলেন, ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনাসহ দেশের সব গুরুত্ব স্থানেই থাকবে মাল্টিপ্লেক্স আমরা ২০১৯ সালের মধ্যে ২০টি মাল্টিপ্লেক্স চালু করার ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়ে কাজে নেমে পড়েছি। তিনি বলেন, দেশে এখনো ভালোভাবে সিনেমার ব্যবসা করা যায়। দরকার শুধু ভালো সিনেমা হল এবং ভালো সিনেমা। আমরা সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করছি। আধুনিক মাল্টিপ্লেক্স নির্মাণ করে দিচ্ছি। কিন্তু সেখানে চালানোর জন্য ভাল সিনেমা দরকার। তা নাহলে এসব মাল্টিপ্লেক্স টিকিয়ে রাখতে বিদেশি সিনেমা চালাতে হবে। তিনি বলেন, উপযুক্ত পরিবেশ, সর্বাধুনিক প্রযুক্তিগত সাউন্ড সিস্টেমসহ নানা সুযোগ সুবিধা দেবে সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। আমাদের সিনেমার অভাব হবে না। তবে আমরা সবসময় দেশের সিনেমা প্রদর্শনে আগ্রহী। দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি চাঙ্গা করতে হলে দেশেই ভাল সিনেমা নির্মাণ করতে হবে। যারা সিনেমা নির্মাণ করছেন তাদের উচিত সময় ও দর্শক চাহিদা প্রাধান্য দিয়ে ভালো সিনেমা তৈরি করা। আমার বিশ্বাস আগামী বছরের মধ্যে এই মাল্টিপ্লেক্সগুলো চালু হলে ভালো সিনেমা নির্মাণে নির্মাতারা আগ্রহী হবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।