পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে ফলের বিকল্প নেই। শিশু থেকে বৃদ্ধা সবার সুস্থ, সবল জীবনের জন্য ফল অপরিহার্য। ষড়ঋতুর বাংলাদেশে সারা বছরই কিছু না কিছু ফল পাওয়া যায়। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ফলের গাছ লাগানোর ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ করা যাচ্ছে। গ্রামগঞ্জে আজকাল ব্যাপক হারে নানা ধরনের ফলের আবাদ হচ্ছে। আম, জাম, লটকন, কাঁঠাল, পেয়ারা, লিচু, আনারসের ব্যাপক চাষ হচ্ছে। এর সঙ্গে বিদেশি জাতের স্ট্রবেরি, মাল্টা, আঙুর, ড্রাগনের মতো ফলগাছ লাগিয়েও ফল চাষিরা সফল হয়েছে। আগে এসব ফল বিদেশ থেকে আমদানি করা হতো। সেই ধারা অব্যাহত থাকলেও দেশে উৎপাদিত ফল যোগ হওয়ায় দাম ক্রয়সীমার মধ্যে নেমে এসেছে। দেশি, বিদেশি যেকোনো ফল পাকানোর জন্য কার্বাইড, পচনরোধে ফরমালিন মেশানোর যে অশুভ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, তাতে অনেকেই বাজার থেকে ফল কিনে খেতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। তাই শহরের বাড়ির আঙিনায়, এমনকি ছাদে ফলের বাগান করে সেখানে উৎপাদিত ভেজালমুক্ত ফল খেতে পারে। অনেক শিক্ষিত মানুষ বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ফলবাগান করে সাফল্য পেয়েছে। তাদের উৎপাদিত ফল পাওয়া যায় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রতিটি এলাকায়। প্রচুর উৎপাদনের কারণে ফলের দামও অনেক নেমে এসেছে। তরমুজ, কাঁঠাল, পেয়ারা, আমড়ার মতো পুষ্টিকর ফল বিপুল পরিমাণে উৎপন্ন হয় আমাদের দেশে। চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি ফল বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব।
ফলের মূল্য কমলে বা ফল নষ্ট হয়ে যাওয়া রোধ হলে ফল চাষিরা লাভের মুখ দেখবে। তারা ফল চাষে আগ্রহী হবে। দেশে ফলের উৎপাদন বাড়বে। সামগ্রিকভাবে উপকৃত হবে দেশ ও জাতি।
মুসাহিদ উদ্দিন আহমদ
পশ্চিম মালিবাগ, ঢাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।