মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের পরিকল্পনা গ্রহণের মতো পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি এবং এ ব্যাপারে রোহিঙ্গারা ‘আতঙ্কিত’। ওই এলাকায় কর্মরত কয়েক ডজন এইড সংস্থা শুক্রবার এ কথা বলেছে। ৪২টি এইড সংস্থা এবং নাগরিক সমাজের সংগঠন এক বিবৃতিতে এই পদক্ষেপকে ‘বিপদজনক’ আখ্যা দিয়ে বলেছে যে, “তাদের মিয়ানমারে গেলে কি হবে, এটা ভেবে তারা আতঙ্কিত এবং তাদের এ ব্যাপারে সামান্যই জানতে পারছে, তাই হতাশায় ভুগছে তারা”। “প্রাণ বাঁচাতে তারা এসেছিল এবং নিরাপত্তা ও আশ্রয় দেয়ায় তারা কৃতজ্ঞ”। যে সব সংস্থা এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছে, সেগুলোর মধ্যে অক্সফাম, ওয়ার্ল্ড ভিশন এবং সেভ দ্য চিলড্রেনও রয়েছে। এর আগে, জাতিসংঘ বলেছে যে, রাখাইনে বৌদ্ধরা প্রত্যাবাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য এখনও পরিস্থিতি সেখানে অনুকূল নয়। মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াংঘি লি বৃহস্পতিবার তড়িঘড়ি করে এ ধরণের সিদ্ধান্ত থামানোর আহ্বান জানিয়েছেন। উত্তর রাখাইনের মংডু টাউনশিপের প্রশাসক মাইন্ট খাইং এএফপিকে বলেছেন যে, ১৫ নভেম্বর প্রত্যাবাসন শুরু হবে এবং প্রতিদিন ১৫০ জন হিসেবে ২২০০ ব্যক্তিকে ফেরত নেয়া হবে। কিন্তু এটা চলবে কি না সেটা নিয়ে তিনি অনিশ্চিত। তিনি বলেন, “কেবল ১৫ তারিখের পরেই আমরা বলতে পারবো তালিকা অনুযায়ী মানুষ আসবে কি না”। শরণার্থীরা অভিযোগ করেছে যে, মিয়ানমারের সেনা এবং স্থানীয় বৌদ্ধরা গত বছরের সহিসংতায় সময় ব্যাপক হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণ করেছে। অন্যদিকে, জাতিসংঘ মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘গণহত্যার উদ্দেশ্যে’ হামলা চালানোর অভিযোগ করেছে। মিয়ানমার প্রায় সব অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। বিভিন্ন রোহিঙ্গা কমিউনিটির সাথে যোগাযোগ রয়েছে আরাকান প্রকল্পের। এই প্রকল্পের ডিরেক্টর ক্রিস লেওয়া বলেছেন যে শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর হুমকি দেয়া হলে তারা পাচারকারীদের দ্বারস্থ হতে পারে। রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে তিনি বলেন, “রোহিঙ্গারা ফাঁদে আটকা পড়ে আছে। তাদের যাওয়ার কোন জায়গা নেই। কেউ তাদের চায় না, আর এখন তাদের ফিরিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছে”। সীমান্তের অন্য পাশে রয়েছে রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তয়ে। ২০১২ সাল থেকে সেখানে হাজার হাজার রোহিঙ্গারা ক্যাম্পে মানবেতর জীবন যাপন করে আসছে। নিউ ইয়র্ক টাইমসকে এটাকে একবিংশ শতকের কনসেন্ট্রেশান ক্যাম্প হিসেবে উল্লেখ করেছে। মিয়ানমার থেকে কতগুলো নৌকা ছেড়ে গেছে, তার হিসেবে মতপাথ্যক্য রয়েছে। পাচারকারীরা খুব সতর্কতার সাথে কাজ করে। সিত্তয়ের এক এইড কর্মী বলেছেন, তারা জানতে পেরেছেন যে অক্টোবরের শুরু থেকে কমপক্ষে চারটি নৌকা ছেড়ে গেছে এবং এগুলো এরই মধ্যে মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছে। ওই এইড কর্মী জানান, এদের মধ্যে অনেকেই নারী ও শিশু, যারা সেখানে গিয়ে তাদের পরিবারের সাথে যোগ দিয়েছে। রয়টার্স, এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।