Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ক্ষতি কাটিয়ে উঠছে ওজোন স্তর

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১০ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

১৯৮০ সালে প্রথম দেখা যায় যে পৃথিবীর প্রতিরক্ষার ঢাল বলে পরিচিত বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ওজন স্তর আমাদের পৃথিবীকে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষা দেয়। তবে এখন দেখা যাচ্ছে যে এটি সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে। উত্তর গোলার্ধের অংশটি পুরোপুরি পুনরুদ্ধার হবে ২০৩০ সাল নাগাদ আর অ্যান্টার্কটিকা অংশে সময় লেগে যাবে ২০৬০ সাল পর্যন্ত। জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, এটি আসলে সেই উদাহরণ যা থেকে প্রমাণ করা যায় যে বিশ্বব্যাপী এই সংক্রান্ত চুক্তিগুলো কী অর্জন করতে পেরেছে। ওজোন স্তরটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মূলত মানুষ সৃষ্টি রাসায়নিক ক্লোরোফ্লোরো-কার্বনের কারণে, যার সংক্ষিপ্ত নাম সিএফসি। ওজন স্তরের অবস্থান পৃথিবীর মাটি থেকে ছয় মাইল ঊর্ধ্বে। অক্সিজেন অণুর এক বিশেষ রঙ হীন রূপ এই ওজোন। মূলত এটি পৃথিবীকে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষা দেয়। এই অতিবেগুনি রশ্মির কারণে হতে পারে ত্বকের ক্যান্সার, চোখের সমস্যা বা ফসলের ক্ষতি। ১৯৯০-এর দশকের শেষ দিকে এই ওজন স্তরের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে পৌঁছায়। ওপরের ওজোন স্তরের অনন্ত ১০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল ওই সময়। তবে, জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে ২০০০ সাল থেকে প্রতি দশকে ৩ শতাংশ হারে এটি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডোর বায়ার্ন টুন বলেন, আমরা নির্দিষ্ট কিছু অংশ খুঁজে পেয়েছি যেখানে এই ক্ষত কাটিয়ে উঠতে শুরু হয়েছে। তিনি দেখান যে, এখনো কিছু অংশ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শুরু করেনি। কিছু ক্লোরিন-যুক্ত রাসায়নিকের নির্গমন বৃদ্ধি এই ওজোন স্তরের নিরাময়কে হ্রাস করতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। মূলত ‘মন্ট্রিল প্রোটোকল’ নামে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি এই ক্ষেত্রে পরিবর্তন এনেছে। এই চুক্তি সিএফসি সমৃদ্ধ জিনিসের ব্যবসার প্রতিস্থাপনে সহায়তা করে। চুক্তি অনুযায়ী দেশগুলো সিএফসির মতো রাসায়নিক উৎপাদন কমাতে সম্মত হয়। ওয়েবসাইট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ