২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
হার্টের রোগী যারা করোনারী হৃদরোগে আক্রান্ত তাদের দাঁতের যত্ম আলাদাভাবে নিতে হবে। করোনারী হৃদরোগীদের মধ্যে যাদের হার্টের ব্লক রয়েছে এবং নিয়মিত এন্টিকোয়াগুলেন্ট জাতীয় ঔষধ যেমন-এসপিরিন, ক্লপিডগেরল সেবন করছেন তাদের ক্ষেত্রে দাঁত তোলার পূর্বে তিন থেকে পাঁচ দিনের জন্য এসপ্রিন বা ক্লপিডগেরল জাতীয় ঔষধ সেবন বন্ধ রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে রোগী তার হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন। ঔষধ বন্ধের পাশাপাশি রক্তের কিছু জরুরী পরীক্ষা স্বাভাবিক সাপেক্ষে আপনার ডাক্তারের পরামর্শক্রমে দাঁত তোলা বা কোনো মাইনর সার্জারী করতে পারেন। শুধু দাঁত তোলা নয় বরং দাঁতের স্কেলিং করার সময়ও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ স্কেলিং করার পাশাপাশি পেরিওডন্টাল পকেট কিউরেট করার সময় অনবরত রক্ত পড়তে পারে যদি হার্টের ঔষধ বন্ধ না করা হয়। কোনো কোনো সময় ঔষধ বন্ধের পরেও অল্প অল্প করে ফোটায় ফোটায় রক্তপাত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ভয় পাওয়ার কিছু নাই। স্থানীয়ভাবে কিছু ঔষধ প্রয়োগ এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করলে রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে। কোনো অবস্থাতেই নিজে নিজে ঔষধের দোকান থেকে রক্ত বন্ধ হওয়ার কোনো ঔষধ খাবেন না। হার্টের ঔষধ বন্ধ করা মানে সব ঔষধ বন্ধ করা নয়। কেবলমাত্র এন্টিকোয়াগুলেন্ট জাতীয় ঔষধ সাময়িকভাবে ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে বন্ধ করতে হয়। মনে রাখতে হবে হৃদরোগীদের চিকিৎসায় ভুল বা নূন্যতম অবহেলা রোগীর জন্য মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে। হার্টের ইনফেকটিভ এন্ডোকার্ডাইটিস এর ক্ষেত্রে দাঁত তোলার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দ্দিষ্ট ডোজে এন্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে যথাযথ এন্টিবায়োটিক সেবন না করে দাঁত তোলা অত্যন্ত বিপদজনক। অতএব, হৃদরোগীদের দাঁত তোলা ও মাইনর সার্জারীর ক্ষেত্রে আরও বেশি সচেতন হতে হবে।
ডা. মো: ফারুক হোসেন
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।