Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

২০২০ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তীব্র প্রতিদ্বদ্বিতার ইঙ্গিত

অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্বে ম্যাথু, জেফ সেশন্স বরখাস্ত

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ৯ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশন্সকে বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার এক টুইটে ট্রাম্প বলেছেন, “তার কাজের জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশন্সকে ধন্যবাদ জানিয়েছি আমরা এবং তার শুভ কমনা করি!” বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার প্রভাব বিস্তার নিয়ে চলা তদন্ত থেকে সেশন্স নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার পর থেকে বারবার তার শীর্ষ আইন কর্মকর্তার সমালোচনা করে আসছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ট্রাম্প বলেন, ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সেশন্সের চিফ অব স্টাফ ম্যাথু হুইটেকার। এ পদে স্থায়ী নিয়োগ পরে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, মধ্যবর্তী নির্বাচনে ভোটের ফলাফলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কিছুটা চাপে পড়েছেন। সিনেট ও হাউসে রিপাবলিকানদের একক কর্তৃত্বের অবসান হয়েছে। এতে করে ২০২০ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তীব্র প্রতিদ্বদ্বিতার ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেটের ভোটের ফলাফলে মূলত রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দূরত্বের বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে অভিজাত শ্রেণির সঙ্গে বাকিদের পার্থক্য রয়েছে। বেশিরভাগ রক্ষণশীল শ্বেতাঙ্গের কাছেই ট্রাম্প খুবই জনপ্রিয়। খবরে বলা হয়, আলাবামার সাবেক সিনেটর ও প্রায় প্রথম থেকেই ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন জানানো সেশন্স তার পদত্যাগপত্রে পদ ছাড়ার সিদ্ধান্তটি যে তার নিজের ছিল না তা পরিষ্কার করেছেন। তারিখ বিহীন এক চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “প্রিয় প্রেসিডেন্ট মহোদয়, আপনার অনুরোধে আমি আমার পদত্যাগপত্র জমা দিচ্ছি।” চিঠিতে ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেছেন, “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে, আমরা আইনের শাসন পুনর্বহাল ও নিশ্চিত করেছি।” হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, বুধবার মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে ট্রাম্পের এক সংবাদ সম্মেলনের আগে ট্রাম্পের চিফ অব স্টাফ জন কেলি সেশন্সকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। ভোটের ফলাফল রিপাবলিকানদের জন্য সাফল্য ও ব্যর্থতার হলেও ট্রাম্প মধ্যবর্তী নির্বাচনে সাফল্যই উদযাপন করতে চান। এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, ‘আজকের রাতে আমরা দারুণ সাফল্য পেয়েছি। সবাইকে ধন্যবাদ।’ ডেমোক্র্যাটদের সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিনিধি পরিষদ ট্রাম্পের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে। এখন যেকোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ডেমোক্র্যাটিক কমিটির প্রধানদের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে ট্রাম্পকে। তাদের বিরোধিতার মুখেও পড়তে হতে পারে তাকে। রিপাবলিকানদের কাছ থেকে এমন বাধা কখনোই পাননি ট্রাম্প। ডেমোক্র্যাটদের প্রতিনিধি পরিষদের নেতা ন্যান্সি পেলোসি এর আগে স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেছেন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় আবারও দায়িত্বে ফিরবেন তিনি। ডেমোক্র্যাট এই নেতা ইঙ্গিত দিয়েছেন, সাংবিধানিক ক্ষমতা ও ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করা হবে। তিনি বলেন, আজকের ফল ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের চেয়েও বড় কিছু। এটা সাংবিধানিক ক্ষমতা ও ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার রায়। ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের সময় প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেটে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল। ট্রাম্পের শাসনামলে নিম্নকক্ষে অভিবাসন আইন, ওবামাকেয়ার প্রত্যাহার ও সামাজিক কর্মসূচি ব্যয় কমানোর মতো রক্ষণশীল প্রস্তাব প্রতিনিধি পরিষদে পাস হয়েছে। যদিও এসব প্রস্তাবের অনেকগুলোই সিনেটে বাতিল হয়েছে। কিন্তু এখন প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্র্যাটদের নিয়ন্ত্রণ থাকায় তারা নিজেদের কর্মসূচি বিষয়ক বিল উত্থাপন করতে পারবে। বিবিসি, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রেসিডেন্ট নির্বাচন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ