পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা.শাহাদাত হোসেনকে ঢাকায় গোয়েন্দা পুলিশ আটক করেছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি। এছাড়া ঢাকায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া লিংকরোড ও ফতুল্লার মুন্সিখোলা এলাকা থেকে দু’টি যাত্রীবাহী বাসসহ আটকের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ১৫৪ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা ও ফতুল্লা মডেল থানায় তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে আরও তিনটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।
অন্যদিকে রাজধানীর ৪০টি থানায় দায়ের হওয়া নাশকতার মামলায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশুবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীসহ শতাধিক নেতাকর্মীতে বিভিন্ন মেয়াদের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া প্রায় আড়াইশ কর্মীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের একাধিক বিচারক এ আদেশ দেন।
বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন, অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়ার সঙ্গে আইনি পরামর্শ শেষে আদালত থেকে বের হওয়ার পর ঢাকার সিএমএম কোর্টের সামনে থেকে বুধবার বিকেল ৫টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা.শাহাদাত হোসেনকে আটক করা হয়। তবে এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের কোন কর্মকর্তাই মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সূত্র জানায়, সদর মডেল থানায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, যুবদল নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টিসহ ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩৫ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন পুলিশের জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার এসআই মো. মুজিবুর রহমান।
ফতুল্লা মডেল থানায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রাব্বানীসহ ৩৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩৫ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন পুলিশের জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার এসআই মো. মনিরুজ্জামান। অপরদিকে ফতুল্লা মডেল থানায় মুন্সিগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি হাজী সুলতান আহম্মেদসহ ২১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন ফতুল্লা মডেল থানার এএসআই তাজুল ইসলাম। তিনটি মামলাতেই ককটেলের অংশবিশেষ ও ককটেল তৈরীর সরঞ্জাম উদ্ধার দেখানো হয়েছে।
সূত্র মতে জানা যায়, ঢাকায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ফতুল্লার মুন্সিখোলায় ঢাকা-পাগলা-নারায়ণগঞ্জ সড়কে চেকপোস্ট এলাকা থেকে মুন্সিগঞ্জের দিঘীরপাড় নামক একটি পরিবহনসহ ২৯ জনকে আটক করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। অপরদিকে, শহরের চাষাঢ়া লিংক রোড এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৮ জন নেতাকর্মীসহ একটি বোরাক পরিবহণের বাস আটক করে ডিবি পুলিশ। ওই ঘটনায় সদর মডেল থানা ও ফতুল্লা মডেল থানায় বিস্ফোরক আইনে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। সদর মডেল থানায় ডিবি পুলিশের দায়েরকৃত মামলায় ঘটনাস্থল দেখানো হয়েছে শহরের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা।
আদালতের একাধিক সাধারণ নিবন্ধন সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুরে রাজধানীর বিভিন্ন থানার মামলায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে প্রায় সাড়ে ৩০০ আসামিকে হাজির করে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে ও কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন পুলিশ সদস্যরা। এরপর বেলা সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত আসামিদের রিমান্ড ও জামিনের আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিভিন্ন আদালতের বিচারক রিমান্ড ও কারাগারে পাঠানোর ওই আদেশ দেন। সূত্রে জানা যায়, রিমান্ডে ও কারাগারে যাওয়া আসামিদের মধ্যে রয়েছেন রাজধানীর কোতোয়ালি থানার আটজন, বংশাল থানার তিনজন, মতিঝিল থানার ১৬ জন, শাহবাগ থানার ১৬ জন, পল্টন থানার ৩৮ জন, রামপুরা থানার আটজন, ধানমন্ডি থানার ১০ জন, হাজারীবাগ থানার পাঁচজন, শাহবাগ থানার ১০ জন, রমনা থানার সাতজন, মোহাম্মাদপুর থানার ১৬ জন, মিরপুর থানার দুজন, শেরেবাংলানগর থানার ১৩ জন, তেজগাঁও থানার ৪১ জন, হাতিরঝিল থানার ২৩ জন, উত্তরা পূর্ব থানার চারজন, উত্তরা পশ্চিম থানার পাঁচজন, ওয়ারী থানার ১২ জন, কামরাঙ্গীরচর থানার সাতজন, শ্যামপুর থানার ১৩ জন, কদমতলী থানার পাঁচজন, যাত্রাবাড়ী থানার ১৭ জন, ডেমরা থানার সাতজন, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ২৭ জন, খিলগাঁও থানার একজন, লালবাগ থানার ১১ জন, চকবাজার থানার আটজন, কাফরুল, পল্লবী, সবুজবাগ, দক্ষিণখান ও ক্যান্টনমেন্ট থানার দুজন করে, গুলশান, ভাটারা থানার একজন, নিউমার্কেট থানার নয়জন এবং দারুস সালাম থানার পাঁচজন আসামি রয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য থানায় আরো আসামি থাকলেও সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন মামলার এজাহার ও ফরোয়ার্ডিং থেকে জানা যায়, গত মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার দুপুর আসামিদের গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে অধিকাংশ আসামিকে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ থেকে এবং সমাবেশে আসার পথে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ধামরাইয়ে বিএনপির ৪ নেতাকর্মী গ্রেফতার
ধামরাই (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা : ঢাকার ধামরাইয়ে বিএনপির ৪ নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার দিন ও রাতে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে খাতড়া গ্রামের বদির ও আনোয়ার, শরিফভাগ গ্রামের তাহেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার রাতে সূতিপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফটো মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে পুলিশের গ্রেফতার আতংকে রয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। গ্রেফতারের ভয়ে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ফলে তৃণমূলে বিএনপির কোন তৎপরতা নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।