মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের দূরদৃষ্টি ছিল ভুটানের রাজা জিগমে সিঙ্গে ওয়াংচুকের। তার জনগণের চাওয়া ছিল সুখ ও গণতন্ত্র। এই শতকের গোড়া থেকেই তিনি বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করেছেন এবং তার এই বিচক্ষণতা ছিল যে জনগণ ছিনিয়ে নেয়ার আগেই তাদের সেটা দিয়ে দেয়া ভালো।
লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র এবং জাতীয় সুখ। সেই হিসেবে ২০০৬ সালে তিনি ছেলে জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুকের কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দেন এবং ২০০৮ সালে সিংহাসনে বসেন রাজা জিগমে খেসার। একই বছর ভুটানে প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচন হয়। তখন থেকে এ পর্যন্ত ভুটানে তিন দফা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে। অনেক দেশ রয়েছে, যেখানে দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্র চলে আসলেও সেখানে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে – যেমন নেপাল ও পাকিস্তান। সেই তুলনায় ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে ভুটান।
২০১৩ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছে পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। গত সেপ্টেম্বরের প্রাথমিক পর্বের নির্বাচনে তারা হেরে গেছে। চূড়ান্ত দফা নির্বাচনে দ্রুক ন্যামরুপ শোগপা (ডিএনটি) ৪৭টি আসনের মধ্যে ৩০টি পেয়েছে এবং তাদের প্রতিদ্ব›দ্বী দ্রুক ফুয়েনসিউম শোগপা (ডিপিটি) পেয়েছে বাকি ১৭টি আসন। পর পর তিনটি নির্বাচনে তিনটি আলাদা দলকে নির্বাচিত করেছে ভুটানের নাগরিকরা। ২০০৮ সালে ডিপিটি, ২০১৩ সালে পিডিপি এবং এবার ডিএনটি। ভারত এখানে হয়তো সবচেয়ে বড় প্রভাবশালী, কিন্তু গত নির্বাচনে সেটা তেমন কোন প্রভাব ফেলেনি। ২০১৩ সালে ভারত কেরোসিন ও রান্নার গ্যাসের উপর থেকে ভর্তুকি প্রত্যাহার করে নেয়ায় ভুটানে হঠাৎ করে জ্বালানির দাম বেড়ে যায়। পরে অবশ্য ভারত এটাকে আবার ঠিক করে এবং ‘অপ্রত্যাশিত টেকনিক্যাল কারণে’ সমস্যা হয়েছিল বলে জানায়। কিন্তু ভারত এর মাধ্যমে মূলত ডিপিটি’র ব্যাপারে তাদের অখুশির ব্যাপারটি জানিয়েছিল। এর আগে, ২০১২ সালে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী জিগমে সিঙ্গে থিনলে রিও ডি জেনিরোতে চীনা প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেছিলেন।
ভুটান ভারত ও চীনের মধ্যে মতপার্থক্যের জায়গাগুলোতে নজর দেবে – তাওয়াং ইস্যু, দালাই লামার ব্যাপারে চীনা দৃষ্টিভঙ্গি, অরুণাচল প্রদেশের ব্যাপারে ভারত-চীনের মতবিরোধ, এবং ভারত ও চীনের টানাপড়েনের মধ্যে ভুটানের আটকা পড়া। এক হিসেবে ভুটানের জন্য এটা শ্বাসরুদ্ধকর একটা পরিস্থিতি। এটা পরিস্কার যে, ভুটানিজরা নিজেরা আরেকটু মুক্ত হতে চায়।
ভুটান অবশ্যই চীনের সাথে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ার বিষয়টি বিবেচনা করবে। ভুটানে যে সব ভোক্তা পণ্য এখন ব্যবহৃত হচ্ছে, এগুলোর এক তৃতীয়াংশই হলো চীনা পণ্য। এ অঞ্চলে চীনের প্রভাব বৃদ্ধির ব্যাপারে তারা সচেতন এবং এ ব্যাপারে ডিএনটি যদি কোন পদক্ষেপ নেয়, তাহলে এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। তবে সীমান্ত সমস্যার সমাধান না করে চীনের সাথে সম্পর্ক গড়তে গেলে সেটা ভুটানের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে এবং সেটা ভুটানের জন্য সহজ হবে না। সূত্র: এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।