বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাম কিডনি অপসারণের সময় রওশন আরা বেগমের ডান কিডনিও অপসারিত হয়েছে। তদন্তে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। অস্ত্রপচারের সময় সার্জনরা রক্তক্ষরণের কারণে হয়তো বুঝতে পারেন নি। তবে এটি গাফিলতি, অজ্ঞতা নাকি তাৎক্ষণিক অবস্থার প্রেক্ষিতে সেটি পরবর্তী কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে। তবে এক্ষেত্রে গাফিলতি বা অজ্ঞতার প্রমাণ পাওয়া গেলে অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের ব্যবস্থা করা হবে।
গতকাল সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি এসব তথ্য জানান। ‘ইউরোলজি বিভাগের জনৈক রোগীর চিকিৎসা সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন’ শীর্ষক এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যানারে ‘জনৈক রোগী’ উল্লেখ করলেও মূলতো কিডিনি সংক্রান্ত জটিলতায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী চিত্র পরিচালক রফিক সিকদারের মাতা রওশন আরা বেগমের চিকিৎসায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রদত্ত প্রতিবেদন জানাতেই এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত কমিটির প্রধান আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন নেফ্রলোজিষ্ট প্রফেসর ডা. হারুন অর রশীদ বলেন, একটি কিডনি অপসারন করতে রওশন আরার দুটি কিডনি অপসারিত হয়েছে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠিন করা হলে আমরা রোগীর ফাইল জব্দ করে যাবতীয় তথ্য অনুসন্ধান করি। অবাক করা বিষয়ে হলো রোগীর আল্ট্রাসনো এবং সিটিস্ক্যান রিপোর্টে রোগীর দুটি কিডনির অস্তিত্ব পাওয়া যায়। যেখানে দেখা যায় একটি কিডনি অস্বাভাবিক ভাবে ফুলে উঠেছে। কিন্তু হিস্টোপ্যাথলজি রিপোর্টে দুটি কিডনি সংযুক্ত (হর্স টাইপ) ছিল বলে প্রমান পাওয়া যায়। যেটা এক ধরনের এবনরমালিটি। দুটি কিডনি আলাদা থাকলে একসঙ্গে দুটি কিডনি কাটা সম্ভব নয়। তবে কিডনি হর্স টাইপ না হলে এটা অবশ্যই অপরাধ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নেফ্রলোজি বিভাগের প্রফেসর এবং প্রো-ভিসি ডা. মো. রফিকুল আলম বলেন, রোগীর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হলে ভিসি প্রফেসর ডা. হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ৩ নভেম্বর কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এরপর আরেকটি কমিটি করা হবে, যে কমিটি তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে শাস্তি নির্ধরাণ করবে। গাফিলতি, অজ্ঞতা বা তাৎক্ষণিত অবস্থার প্রেক্ষিতে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে সেটি নিরুপণে করে কমিটি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক এবং সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করবে।
সংবাদ সম্মেলনে কমিটির সদস্য প্রফেসর ডা. এ কে এম খুরশিদুল আলম, প্রফেসর ডা. আমানুর রসুল, হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার আব্দুল্লাহ আল হারুণ, ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. আসাদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।