Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জয়পুরহাটে সক্রিয় কিডনি ক্রয়-বিক্রয় চক্র

৭ সদস্য গ্রেফতার

জয়পুরহাট জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০২২, ১২:০০ এএম

জয়পুরহাটে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে কিডনি ক্রয়-বিক্রয় চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার গভীর রাতে জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদেরকে গ্রেফফতার করা হয়। গ্রেফফতারকৃতরা হলো, দালাল চক্রের প্রধান কাওছার, চক্রের সক্রিয় সদস্য কালাই এলাকার মৃত সিরাজের ছেলে সাহারুল, উলিপুর গ্রামের ফরিদুল ইসলামের ছেলে ফরহাদ হোসেন চপল, জয়পুর বহুতী গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে মোশাররফ হোসেন, ভেরেন্ডি গ্রামের জাহান আলমের ছেলে শাহারুল ইসলাম, জয়পুর বহুতী গ্রামের মৃত মোবারকের ছেলে মোকাররম, দুর্গাপুর গ্রামের মৃত বছির উদ্দিন ফকিরের ছেলে সাইদুল ফকির, জয়পুরহাট সদর উপজেলার হানাইল বম্বু এলাকার মৃত আ. সাত্তারের ছেলে সাদ্দাম হোসেন।

গতকাল শনিবার দুপুরে জয়পুরহাট পুলিশ লাইন সভাকক্ষে জেলা পুলিশ সুপার মাসুম আহাম্মদ ভূঞা বলেন, জেলার কালাই থানা এলাকায় গরীব লোকজনদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে একটি সংঘবদ্ধ দালালচক্র মোটা অংকের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে মানবদেহের কিডনি বিক্রয়ে প্রলুব্ধ করে আসছিল। প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগীরা পরবর্তীতে দালালে পরিণত হয়। তাদের আত্মীয়-স্বজসহ এলাকার নিরীহ গরীব লোকজনদেরকে কিডনি বিক্রয়ের জন্য প্রলোভন দেখিয়ে চক্রটি প্রথমে সুদের উপর টাকা ধার দেয়। কিছুদিন পর পরিকল্পনা অনুযায়ী টাকা ফেরত চান। টাকা ফেরত দিতে না পারলে কিডনি বিক্রয়ের জন্য বাধ্য করে সংঘবদ্ধ দালাল চক্র। কতিপয় অসাধু ডাক্তারের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেশের অভ্যন্তরে এবং দেশের বাহিরে পাঠিয়ে দিয়ে তাদের কিডনি অপসারণ করা হয়। পরে তাদের হাতে এক থেকে দুই লাখ টাকা দিয়ে সারা জীবনের মতো অঙ্গহানী করে দেশে পাঠিয়ে দেয়।

তিনি আরো বলেন, সাম্প্রতিক কালাই থানা এলাকা থেকে কয়েকজন লোক হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়। পরবর্তীতে জানা যায় তারা এলাকার কিডনি বেচা-কেনা চক্রের প্রধান দালাল কাওছার এবং সাত্তারের মাধ্যমে দুবাই ও ভারতে অবস্থান করছে। পাঁচবিবি থানা এলাকাতেও চক্রটি কিডনি বিক্রয়ের জন্য অসহায় গরীব লোকজনকে প্রলুন্ধ করছে মর্মে গোয়েন্দাদের কাছে অভিযোগ আসে। দালাল চক্রকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে জয়পুরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল কালাই থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে দালাল চক্রের প্রধান কাওছারকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে ওই চক্রের সদস্যদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে বাকিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায় তাদের এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কিডনি ক্রয়-বিক্রয় চক্র
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ