মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর সংস্থাটির শরণার্থী অধিকার বিষয়ক পরিচালক বিল ফ্রেলিক বলেছেন, মিয়ানমার সরকার প্রত্যাবাসন নিয়ে শুধু কথাই বলে যায়। কিন্তু রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন কিংবা পরিস্থিতির উন্নয়নে কোনও পদক্ষেপই নেয়নি। ফ্রেলিক বলেন, এই প্রত্যাবাসন পরিকল্পনার মাধ্যমে মিয়ানমার রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের সমালোচনা পাশ কাটাতে চাইছে। দাতা সংস্থাগুলোর এখানে অর্থায়ন করা উচিত নয়। কারণ এখানে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়নি। বুধবার মিয়ানমার কর্মকর্তারা দাবি করেন, তারা ৫ হাজার রোহিঙ্গাদের তালিকা পর্যালোচনা করেছে। চলতি মাসেই ২ হাজার জনের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। ১৫ নভেম্বর থেকে প্রতি সপ্তাহে ১৫০ রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ফিরে যাবে। এদিকে, নভেম্বরের মাঝামাঝি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে পরিকল্পনা স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এইচআরডব্লিউ। তারা জানায়, মিয়ানামারে রোহিঙ্গাদের জীবন ও স্বাধীনতা ঝুঁকির মুখে। অবিলম্বে প্রত্যাবাসন পরিকল্পনা স্থগিত করা উচিত। গত মঙ্গলবার জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে একটি যথাযথ পরিকল্পনা নেয়ার কথা জানায়। প্রসঙ্গত, রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ৭ লাখেরও বেশি মানুষ। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ২০১৭ সালের নভেম্বরে ‘অ্যারেঞ্জমেন্ট অন রিটার্ন অব ডিসপ্লেসড পার্সন্স ফ্রম রাখাইন স্টেট’ নামে প্রত্যাবাসন চুক্তি সম্পন্ন হয়। পরে গত ৬ জুন নেপিদোতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমার ও জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর মধ্যেও সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তবে এখন পর্যন্ত প্রত্যাবাসন চুক্তির আওতায় একজন রোহিঙ্গাকেও ফিরিয়ে নেওয়ার সুনিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘও। তাদের অভিযোগ, প্রত্যাবাসন পরিকল্পনা নিয়ে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর এর সঙ্গে কোনও আলোচনাই করা হয়নি। এবার সেই পরিকল্পনা স্থগিত করার আহ্বান জানালো এইচআরডব্লিও। গত জুনে মিয়ানমারের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিয়ে চুক্তি করে জাতিংঘের শরণার্থী সংস্থা ও উন্নয়নপ্রকল্প। এরপরেও রাখাইনের প্রকৃত অবস্থা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। নভেম্বরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়টিকে জাতিসংঘ ‘তাড়াহুড়ো ও অপরিপক্ক’ বলে আখ্যা দিয়েছে। ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র আন্দ্রে মাজেহসিস বলেন, আমরা রাখাইনের পরিস্থিতিতে সন্তুষ্ট নই। তাই প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। এই মুহূর্তে রাখাইনে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের কোনও সহায়তা করবে না ইউএনএইচসিআর। রয়টার্স, এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।