Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পালিয়ে বেড়াচ্ছে মুসলমানরা

আতঙ্কে পরিত্যক্ত হয়ে উঠছে উত্তরপ্রদেশের খাইর গ্রাম

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ৩ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

মুসলিম অধ্যুষিত খাইর গ্রাম এখন তটস্থ। ভয়ে সিটিয়ে রয়েছে সবাই। দোকান পাটের ঝাঁপ ফেলে দেওয়া হয়েছে কবেই। অধিকাংশ ঘরবাড়ি তালা-বন্দি রেখে পালাচ্ছে গ্রামবাসী। ‘মাই নেম ইজ খান অ্যান্ড আই অ্যাম নট আ টেররিস্ট’! শাহরুখের এই সংলাপ এখন উত্তরপ্রদেশের খাইর-এর মুসলমান স¤প্রদায়ের মুখে না হলেও মনে মনে ঘুরছেই। ভারত-নেপাল সীমান্তে মুসলিম অধ্যুষিত খাইর গ্রাম এখন তটস্থ। ভয়ে সিটিয়ে রয়েছে সবাই। দোকান পাটের ঝাঁপ ফেলে দেয়া হয়েছে কবেই। অধিকাংশ ঘরবাড়ি তালা-বন্দি রেখে পালাচ্ছে গ্রামবাসী। যে কটা ঘরে লোক আছে, বয়স্ক মানুষেরা রয়ে গিয়েছেন ঘরে। প্রতিনিয়ত হেনস্থা হতে হচ্ছে তাঁদেরও। “হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে ঝামেলা হল অথচ পুলিশ শুধু আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল। যারা বিসর্জন মিছিলে হামলা করল, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল না প্রশাসন। পুলিশ এখন প্রতিনিয়ত আমাদের হেনস্থা করে চলেছে। তরুণ প্রজন্মের সবাই গ্রাম ছেড়ে চলে যাচ্ছে, পুলিশ আমাদের ঘর বাড়ি তল্লাশি করছে। আমার ছেলেদের জেলে ধরে নিয়ে গেছে ওরা”, বললেন ৬৩ বছরের জাইতুনা। দুই পুত্রবধূ আর তাদের ছেলে মেয়েদের নিয়ে গ্রামে পড়ে রয়েছেন অসহায় জাইতুনা। প্রাক্তন গ্রাম প্রধান মহম্মদ রশীদও সপরিবারে গ্রাম ছেড়েছেন আতঙ্কে। যদিও হিন্দু গ্রামবাসীদের একাংশের যেমন জগদীশ কুমার জয়সোয়ালের বয়ান অন্যরকম। তিনি জানিয়েছেন, “মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন কোনো প্ররোচনা ছাড়া আমাদের আক্রমণ করেছে”। হিন্দুদের একাংশের দাবি, গ্রামে ৬৫ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যা থাকায় ২০ অক্টোবরের হামলা ‘পরিকল্পিত’ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সাম্প্রতিক এক ঘটনায় ইউএপিএ আইনের আওতায় প্রায় ২০০ জন মুসলমান যুবকের নাম নথিভুক্ত করেছে প্রশাসন। অবস্থা এতটাই ভয়াবহ, ভারত-নেপাল সীমান্তের খাইরের পরিস্থিতি। খাইরে অশান্তির শুরু দুর্গা পুজোর বিসর্জন নিয়ে। স্থানীয় এক হিন্দু আশিস কুমার প্রায় শ’তিনেক মুসলমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন বিসর্জন মিছিলকে সশস্ত্র অবস্থায় আক্রমণ করার। মিছিলে প্রায় জনা পঞ্চাশ লোক আহত হয়েছিলেন সেদিন। ঘটনায় পুলিশ ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। তবে এখন পুলিশ দাবি করছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ভুল বশত ইউএপিএ জারি করা হয়েছে। খুব শিগগির তুলে নেওয়া হবে তা। কোনও ব্যক্তি বা সংগঠনকে দেশের সার্বভৌমত্ব এবং সংহতির পক্ষে বিপজ্জনক মনে করলে, তার বিরুদ্ধে ইউএপিএ আনতে পারে রাষ্ট্র। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মুসলমান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ