বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্সরে মেশিনটি বিকল হয়ে পড়ে আছে এক যুগ ধরে। বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দফায় দফায় মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠালেও কোন সুফল মেলেনি। ফলে ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার সেবাগ্রহীতা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ২০০০ সালের ৭ নভেম্বর হাসপাতালে ৩শ’ এমএম এর একটি এক্সরে মেশিন সরবরাহ করে। এটি সচল করা হয় ২০০২ সালের ২২ আগস্ট। কয়েক বছর ঠিকটাক মতো চলার পর ২০০৫ সালের ৬ মে এটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। পরে সেটি আর সচল করা সম্ভবপর হয়ে উঠেনি। এদিকে ২০১২ সালে এই এক্সরে মেশিনটির টেকনিশিয়ান মো.মোশারফ হোসেন অন্যত্র বদলি হয়ে চলে গেলে তখন থেকেই শূন্য অবস্থায় আছে সেই পদটিও ।
চকরিয়া পৌরসভার বাসিন্দা জহিরুল আলম সাগর বলেন, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলেই চিকিৎসকেরা এক্সরে করাতে বলেন। কিন্তু হাসপাতালের এক্সরে মেশিনটি নষ্ট থাকায় সেবাগ্রহীতাদের বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে দৌঁড়াতে হয়। চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শোভন দত্ত বলেন, ৫০ লক্ষাধিক টাকায় কেনা ৩০০ এমএম এর এই বিকল এক্সরে মেশিনটি মেরামত করতে ২১ লাখের বেশি টাকা দরকার। হাসপাতালে এক্সরে মেশিন সরবরাহকারী প্রতিষ্টান সিমেন্স কোম্পানির প্রতিনিধিদল ২০০৮ সালে সরেজমিনে পরিদর্শন করে মেরামতের জন্য এ খরচের তালিকা দেন। বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দফায় দফায় মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠালেও কোন সুফল আসেনি। ফলে চিকিৎসাসেবা গ্রহনকারীদের বাইরে গিয়ে এক্সরে করতে হচ্ছে ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।