Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বন্ধ হচ্ছে স্বরূপকাঠী খেয়া পারাপারের যাত্রী হয়রানি!

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) থেকে মোঃ হাবিবুল্লাহ | প্রকাশের সময় : ২ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৮ এএম

নেছারাবাদ(স্বরূপকাঠি)-কৌরিখাড়া খেয়াঘাট থেকে পারাপাররত যাত্রী সাধারনের নানা অভিযোগের পর অবশেষে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বন্ধ হচ্ছে যাত্রী হয়রাণি। বিগত কয়েক মাস পর্যন্ত নিয়ম বর্হিভূতভাবে ঘাট থেকে পারাপারত যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টোল আদায়,যাত্রীদের সাথে র্দুব্যবহার সহ তাদের নানাভাবে জিম্মি করার অভিযোগ চলে আসছিল ঘাট পরিচালকদের বিরুদ্ধে। পরে উপজেলা প্রশাসন ওইসব নানা অভিযোগ আমলে নিয়ে গত বুধবার সন্ধ্যায় জেলা পরিষদের শিডিউল অনুযায়ি পরিচালকদের ঘাট পরিচালনার নির্দেশ দেন।

জানাযায়, বিগত কয়েক মাস পর্যন্ত ওই খেয়া ঘাটটি জেলা পরিষদের সদস্য মো. সেলিম হাওলাদার এর নেতৃত্বে পরিচালিত হয়ে আসছিল। তখন থেকে যাত্রীসাধারনেরা ঘাট পরিচালকদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সহ বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করে আসছিলেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউএনও আবু সাঈদ বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ নিয়মানুযায়ি বেধে ঘাট পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন। ঘাট পরিচালককে না পেয়ে গত বুধবার(৩১ অক্টোবর) সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) অফিসের কার্যালয়ে বসে ঘাটের পূর্ব-পশ্চিম পাড়ের দুই ম্যানেজারকে ডেকে ওই নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশে নিয়ম অনুযায়ি সর্বদা ঘাট থেকে খেয়াপারাপারে তিনটি ট্রলার রাখা সহ ১০ মিনিট পর পর ট্রলার ছাড়ার নিয়ম বেধে দেওয়া হয়। যাত্রী থেকে ভাড়া আদায়ের জন্য মুড়ি বই ব্যবহার একই সাথে টিকিট মূল্য চার টাকা নেয়া সহ ঘাটে চার্টার টানানোর নির্দেশ দেন।

সরেজমিন জানাগেছে চলতি বছরের গত চার মাস পূর্বে জেলা পরিষদ থেকে স্বরূপকাঠি -কৌরিখাড়া এ বৃহৎ খেয়াঘাটটি ইজারা নেন উপজেলার জগন্নাথকাঠি গ্রামের আব্দুল হক নামে একব্যাক্তি। তখন থেকে ঘাটটি পরিচালনা করে আসছেন জেলা পরিষদের সদস্য মো. সেলিম হাওলাদার। নিয়মঅনুযায়ি ঘাট ইজারাদারদের নির্ধারিত ঘাটে তিনটি ট্রলার চলাচলের কথা সহ উল্লিখিত সময় পর পর ট্রলার ছাড়ার কথা আছে। অভিযোগে ঘাট পরিচালকদের সেচ্ছাচারিতায় জিম্মি হয়ে পড়ে এখানকার খেয়া পারাপারের যাত্রিরা। তাদের সেচ্ছাচারিতার ব্যাপারে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেও অনেক হয়েছেন মৌখিক লাঞ্চনার শিকাড়।

অভিযোগে আরো জানাযায়, ঘাটে যাত্রীরা নির্ধারিত ৪ টাকা টোল পরিশোধের পরে খেয়ায় উঠে কখনও কখনও যাত্রীদের ত্রিশ মিনিটের বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয়। বাধ্য হয়ে তারা ফেরী খেয়ায় নদী পাড় হতে বাড়তি ৩/৫ টাকা করে দিতে হয় যাত্রীদের। বিনিময়ে ইজারাদাররা ঘাটে চলাচল করা অন্তত ওই ২৫-৩০টি ফেরী খেয়ার কাছ থেকে প্রতিদিন ৩০ টাকা করে আদায় করেন। আর সে সুযোগে ফেরী ট্রলার চালকেরাও যাত্রীদের নানাভাবে হয়রাণি করে থাকেন।

তবে এব্যাপারে কথা বলার জন্য সেলিম হাওলাদারকে না পেয়ে তার মুঠো ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন কেটে দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) আবু সাঈদ এসব অনিয়মের বিষয় জেনে তিনি সঠিকভাবে ঘাট পরিচালনার জন্য ওই নির্দেশ দেন। এর ব্যতয় কিছু ঘটলে আইননুযায়ি পরিচালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি হুসিয়ারি দেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খেয়া

২৯ নভেম্বর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ