Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেয়াঘাটে চরম ভোগান্তিতে কলাপাড়াবাসী

কাদামাটি মাড়িয়ে ওঠানামা

এ এম মিজানুর রহমান বুলেট, কলাপাড়া থেকে | প্রকাশের সময় : ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ায় খেয়াঘাটে প্রবেশের দুই পাড়ের সড়ক বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত খেয়া পাড় হচ্ছে ধানখালী ও লালুয়া ইউনিয়নের শিক্ষার্থীসহ ছয় গ্রামের প্রায় আট হাজার মানুষ।
জানা যায়, চর নিশান বাড়িয়া ও লালুয়ার মধ্যবর্তী এ খেয়া ঘাটটি এবছর ১ লক্ষ ৮১ হাজার টাকায় ইজারা পায় শাহারিয়ার সবুজ নামের এক ইজারাদার। প্রতিবছর ঘাটটি ইজারা দেয় উপজেলা প্রশাসন। তারপরও প্রায় বিশ বছরেও ঘাটের দুই পাড়ের সড়ক নির্মাণ কিংবা মেরামতে উদ্যোগ নেয়নি কেউ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, খেয়াঘাটে প্রবেশের দু’পাড়ের সড়কে ছোট বড় গর্ত আর উচু নিচুতে ভরপুর। অনেক স্থানের দুই পাশের মাটি সড়ে গেছে।
মাঝখান দিয়ে কেবল একজন মানুষের হেটে আসা দায়। অনেক স্থানের ইট সরে গেছে। ভাটার সময় তীরে ভীড়তে পারেনা নৌকা। জোয়ারের সময় মোটরসাইকেল ওঠাতে হয় কাঁদা মাটি পেড়িয়ে। বৃষ্টি হলে হাটু সমান কাঁদায় একাকার হয়ে যায় সড়ক। নৌকায় ওঠা নামার জন্য জেটির অবস্থাও বেহাল। ঘাটের এমন বেহাল দশার ফলে খেয়া পার হতে গিতে প্রতিনিয়ত ছোট বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ সাধারন মানুষ।
তারপরও কোন উপায়ন্ত না পেয়ে ইউসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নয়াপাড়া দাখিল মাদরাাসা ও ছোনখোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ ঘাট পাড় হয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে। এছাড়া লালুয়া ইউনিয়নের গোলবুনিয়া, চিংগড়িয়া, মাঝেল হাওলা, ছোনখোলা ও ধানখালী ইউনিয়নের মাছুয়াখালী ও চর নিশানবাড়িয়া গ্রামের প্রায় আট হাজার মানুষ এ ঘাট পাড় হয়ে আসে উপজেলা সদরে। বর্ষা মৌসুমে মুহুর্ষ রোগী কিংবা গর্ভবতী মায়েদের উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসতে হয় ট্রলার কিংবা নৌকায়। ফলে খেয়াঘাট নিয়ে ভোগান্তিতে রয়েছেন ওই এলাকার মানুষ।
লালুয়া ইউনিয়নের পারভেজ মিয়া জানান, খেয়া ঘাটের সড়কের দুই পাড়ের মাটি সরে গিয়ে নিচের মাটির সাথে মিশে গেছে। বর্তমানে এ সড়ক চলাচলের সম্পূর্ন অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। লালুয়া ইউসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর শিক্ষার্থী আবু তালেব বলেন, বর্ষার সময় জুতা হাতে নিয়ে খেয়ায় উঠতে হয়। সড়কে কাদা পানি মিশে পিচলা হওয়ায় খেয়ায় উঠতে গিয়ে অনেকেই পড়ে যায়।
ঘাটের টোল আদায়কারী আল-আমিন জানান, ঘাটের সড়কের বেহাল দশায় যাত্রীদের নৌকায় ওঠায় নামায় ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিয়ষটি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম রাকিবুল আহসান জানান, ঘাটের বেহাল দশার ব্যাপারে আমাকে কেউ অবগত করেনি।
এছাড়া মাসিক মিটিংয়ে ইউপি চেয়ারম্যানও বিষয়টি জানায়নি। এ ব্যাপরে ওই এলাকার কেউ আবদেন করলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ