বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের পিপি ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের ট্রাষ্টী এ্যাডভোকেট রথিশ চন্দ্র ভৌমিক (বাবু সোনা) হত্যা মামলায় আজ তৃতীয় দিনের মত সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ মামলায় চারজনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে।
সাক্ষ্য গ্রহনের তৃতীয় দিনে নিহত এ্যাডভোকেট বাবু সোনার লাশ বহনের কাজে ব্যবহৃত স্টীল আলমিরা নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান ‘শাপলা স্টীল’ এর কর্মচারী ও স্টীল আলমিরা নির্মানকারী মোঃ মারুফ মিয়া (২২), আসামী কামরুলের ব্যবহৃত মটর সাইকেল ও নিহত বাবুসোনার ব্যবহৃত মানিব্যাগ,জব্দ তালিকার সাক্ষী মো: ইকবাল বসুনিয়া (৫২) ও মোমিনুল ইসলাম (৪৮) এবং কাউনিয়া পুজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব ও সুরতহাল রিপোর্ট তৈরীর সময় সাক্ষী রতন চন্দ্র বর্মনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক এবিএম নিজামুল হক।
মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহনের তারিখ নির্ধারন করা হয়েছে চলতি মাসের ৬ ও ৭ নভেম্বর।
সাক্ষ্য গ্রহনের সময় স্টীল আলমিরা তৈরীকারী মারুফ মিয়া আসামী কামরুল ইসলামের নির্দেশে বিশেষ ভাবে নির্মিত স্টীল আলমিরা যা পরবর্তীতে বাবুসোনার মৃতদেহ বহনের কাজে ব্যবহৃত করা সেই স্টীল আলমিরাটি প্রর্দশনের সময় আদালতে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। এসময় নিহত আইনজীবি বাবুসোনার অনেক সহকর্মীগন ওই আলমিরা একনজর দেখার জন্য এজলাসে ভীড় জমান। অনেকেই আলমিরাটি দেখে আদালতের ভিতরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল মালেক এবং তাকে সহযোগিতা করেন এ্যাড. আব্দুর রশীদ চৌধুরী, এ্যাড. সাজেদুর রহমান তাতা, এ্যাড. শাহ মো: নয়ন্নুর রহমান টফি এবং অপরদিকে আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন স্টেট ডিফেন্স (রাষ্ট্র নিযুক্ত ) আইনজীবী বসুনিয়া মোঃ আরিফুল ইসলাম স্বপন।
এসময় আদালতে মামলার বাদী রংপুরের বিশিষ্ট সাংবাদিক ও দৈনিক খোলাকাগজ রংপুর বিভাগীয় অফিস প্রধান সুশান্ত ভৌমিক এবং বড় বোন রংপুরের বিশিষ্ট গাইনী চিকিৎসক ডা: অসীমা ভৌমিক সহ বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে এ মামলার দুই আসামি নিহত বাবুসোনার স্ত্রী শিক্ষিকা স্নিগ্ধা সরকার ওরফে দীপা ভৌমিক ও তার প্রেমিক শিক্ষক কামরুল ইসলামকে আদালতে হাজির করা হয়।
উল্লেখ্য চলতি বছরের ২৯ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে এ্যাডভোকেট বাবুসোনাকে ১০টি ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর তার লাশ তাজহাট মোল্লাপাড়ায় প্রেমিক কামরুলের ভাইয়ের নির্মাণাধীন বাড়ির ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখা হয়।
৩ এপ্রিল রাতে বাবু সোনার স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার ওরফে দীপা ভৌমিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব আটক করে। তিনি এ হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেন এবং লাশের অবস্থান সম্পর্কে তাদের জানান। সেই সূত্র ধরে ওই দিন রাতে মোল্লাপাড়ার একটি বাড়ির মেঝে খুঁড়ে নিহত আইনজীবি বাবুসোনার গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।