Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাদ পড়া ব্যক্তিরা ভারতের নাগরিক, রোহিঙ্গা নয়

আসামে এনআরসি-সংশ্লিষ্ট আত্মহত্যার ঘটনায় মমতার ক্ষোভ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘ভারতের আসাম রাজ্যে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির আতঙ্কে মানুষ তাঁদের মর্যাদা হারাচ্ছেন। নাগরিকপঞ্জির বহু ক্ষেত্রে স্ত্রী, ছেলে, মেয়ের নাম থাকলেও স্বামীর নাম নেই। ফলে স্বামী ভাবছেন কেউ তাঁকে আর বাবা বলে ডাকবে না। স্বামী বলে সম্মান দেবে না। আত্মমর্যাদা হারিয়ে তাই আসামের মানুষ আত্মহত্যা করছে।’ মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার জেলার জনসভায় এসব কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া এনআরসি-সংশ্লিষ্ট আত্মহত্যার জন্যও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। বৈঠকে ব্যানার্জি বলেন, এনআরসি’তে নাম দেখতে না পেয়ে আত্মহত্যা করার ঘটনাগুলো দু:খজনক। আসাম ও বঙ্গের জনগণকে আমরা ভালোবাসি। প্রতিবেশী হিসেবে আমরা কখনো তাদের আলাদা করি না। আমি দুঃখ পেয়েছি। আপনারা পাননি? এনআরসি তালিকার তীব্র সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, একটি পরিবারের একজন সদস্যের নাম তালিকায় নেই- এটা কিভাবে সম্ভব? অথচ তার স্ত্রী ও সন্তানের নাম সেখানে রয়েছে। এ কারণে লোকটি আত্মহত্যা করছে। বিজেপি’র তীব্র সমালোচনা করে মমতা বলেন, এই দলটি বাংলার জনগণকে উষ্কে দিচ্ছে এবং রাজ্যের সংহতি নষ্ট করছে। আমরা তাদেরকে তা করতে দেব না। আসামের এনআরসি’র মতো ধ্বংসাত্মক নীতির জন্য মুখ্যমন্ত্রী এই প্রথম বিজেপি’র সমালোচনা করেননি। একে বিভক্তিকর নীতি হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বিশেষভাবে বাঙালীদের বিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্য নিয়ে এগুনোর জন্য অনেক দিন থেকেই বিজেপি’র নিন্দা করে আসছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু মুসলমান নয়, বাঙালী হিন্দুদেরও টার্গেট করা হয়েছে। এমনকি বিহারীদেরও টার্গেট করা হয়েছে। আসামের সঙ্গে পশ্চিম বঙ্গের সীমানা রয়েছে। তাই আগুনের তেজ পশ্চিম বঙ্গেও লাগবে। বাঙালীদের ‘জাতিগতভাবে নির্মূল’ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে মমতা দাবি করেন যে যেসব লোক এনআরসি’র খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়েছে তারা ভারতেরই নাগরিক। তারা বহু প্রজন্ম ধরে আসামে বাস করছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এরা রোহিঙ্গা নয়, এরা আমাদের দেশেরই নাগরিক। এটা পুরোপুরি বিভক্তিকর নীতি। আসাম ও কেন্দ্রিয় সরকারকে ধন্যবাদ দিতে হয় আসামে একটি পুরোদস্তুর বাঙ্গালী খেদাও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য। ছিটমহলের প্রসঙ্গ টেনে মমতা কুচবিহার জেলা প্রশাসনের প্রতি ছিটমহলবাসীদের ভূমির অধিকারের কাগজপত্র যতদ্রুত সম্ভব হস্তান্তরের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কোন আইনি জটিলতা থাকলে অর্ডিন্যান্স তৈরি করুন। সাউথ এশিয়ান মনিটর।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মমতা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ