পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ১০ বছরের কারাদণ্ডের যে রায় আদালত দিয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা এ রায়ে পুরোপুরি স্তম্ভিত ও বিস্মিত। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই রায় দেয়া হয়েছে। এতে সরকারের ইচ্ছার পূর্ণ প্রতিফলন হয়েছে। কারণ সরকার বিএনপি, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নির্বাচন থেকে বাইরে রাখতে ও রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চায়। এজন্য রায়ে রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার প্রতিফলন হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে খাজা বৃদ্ধি করার ঘটনা প্রায় নজিরবিহীন। কারণ নিম্ন আদালত এ মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। আমরা তার বিরুদ্ধে আপিল করেছি। প্রায় বলছি এ কারণে যে এ সরকারের সময়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একটি মামলায় নিম্ন আদালত খারিজ করে দিয়েছিল। কিন্তু পরে উচ্চ আদালতে তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এ মামলায় আমাদের আইনজীবীদের ধারণা ছিল বেগম খালেদা জিয়া সম্পূর্ণ খালাস হবেন। কারণ তার বিরুদ্ধে কোন ধরনের তথ্য প্রমাণ দিয়েই প্রমাণিত হয়নি যে তিনি এর সাথে জড়িত।
তিনি বলেন সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন এই এই অস্বাভাবিক রায় দেয়া হয়েছে। সরকার আদালতকে ব্যবহার করে বিরোধী দলকে ধ্বংস করতে চায় এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রধান যে চেতনা সেই গণতান্ত্রিক পরিবেশকে নষ্ট করতে চায়। একে একে সমস্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
বিচার বিভাগ সরকারের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে অভিযোগ করে মহাসচিব বলেন বিচার বিভাগ সম্পর্কে আমাদের নতুন করে কিছু বলতে হবে না কারণ বিচার বিভাগ সম্পর্কে সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা তার বইয়ে বলেছেন বিচার বিভাগ কিভাবে চলছে? সরকার সম্পূর্ণ বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে। আজকে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে রায় দেওয়া হয়েছে তা সরকারের ইচ্ছায় দেয়া হয়েছে। আমরা এ রায় প্রত্যাখ্যান করছি। ভবিষ্যতে জনগণই বিচার করবে বেগম খালেদা জিয়ার সাজা হওয়া উচিত ছিল কি না।
এসময় তিনি সংবাদ সম্মেলনে আরো জানান পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ সারাদেশে বিক্ষোভ করছে দলটির নেতাকর্মীরা, আগামীকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন, ১ নভেম্বর গণ অনশন এবং ২ নভেম্বর সমাবেশ করবে দলটি। সেখান থেকেই পরবর্তীতে আরও কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সংলাপের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন সংলাপে সরকার কতটুকু আন্তরিক তা বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায় দেখলেই বোঝা যায়। জনমনে ইতোমধ্যেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে আন্তরিকতা নিয়ে।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য ডঃ খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, মোহাম্মদ শাহজাহান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।