Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শীত নামানো গুঁড়ি বৃষ্টি কনকনে হিমেল হাওয়া

বিশেষ সংবাদদাতা, চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৯ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

কার্তিক মাসের এখন ঠিক দুই সপ্তাহ। শনিবার রাত থেকে গতকাল (রোববার) পর্যন্ত রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অনেক জায়গায় হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হয়েছে। আকাশ রয়েছে আংশিক মেঘলা থেকে মেঘাচ্ছন্ন। চট্টগ্রামের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। বইছে হিমেল হাওয়া। বুড়োবুড়িরা হেমন্তের এ বৃষ্টিপাতকে বলে থাকেন ‘শীত নামানো গুঁড়ি বৃষ্টি’। অর্থাৎ এ সময়ে বৃষ্টিপাতের পরই শীতের দাপট একটু একটু করে বেড়ে চলে। আবহাওয়া বিভাগ জানায়, লঘুচাপের একটি বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের উপকূলের অদূরে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন বাংলাদেশের ওপর অবস্থান করছে। এ কারণে এই হালকা ও গুঁড়ি বর্ষণ।
বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সাথে উত্তর দিক থেকে কনকনে হিমেল হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। দিনের তাপমাত্রা স্থানভেদে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হ্রাসের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। অবশ্য আকাশ মেঘলা থেকে মেঘাচ্ছন্ন থাকার ফলে রাতের বেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা অস্বাভাবিক নিচে নামার সম্ভাবনা আপাতত নেই। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল উত্তর জনপদের তেঁতুলিয়ায় ১৬ ডিগ্রি সে.।
আকাশ মেঘলাসহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হিমেল হাওয়া, সকালের কুয়াশাপাত আবার বিপরীতে দিনের বেলায় গরমের মধ্যদিয়ে পাঁচ মিশেলি আবহাওয়ার কারণে সর্দি-কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, পেটের পীড়াসহ বিভিন্ন ধরনের মৌসুমী অসুখ-বিসুখে ভুগছে মানুষ। বিশেষ করে বয়োবৃদ্ধ, প্রসুতি ও শিশুদের দুর্ভোগ সবচেয়ে বেশী। হাসপাতাল ক্লিনিক, চিকিৎসকের চেম্বারে বেড়েছে রোগীর ভিড়।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে জানা গেছে, আগামী নভেম্বর (কার্তিক-অগ্রহায়ণ) মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। তার মধ্য থেকে অন্তত একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আগামী ডিসেম্বর মাসে (অগ্রহায়ণ-পৌষ) দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এক থেকে ২টি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রার পারদ নামতে পারে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের সময় পারদ ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সে. নেমে যেতে পারে।
শ্রীমঙ্গলে ৬৪ মি.মি. বর্ষণ
গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত হয়েছে। সর্বোচ্চ বৃষ্টির রেকর্ড শ্রীমঙ্গলে ৬৪ মিলিমিটার। এ সময় ঢাকায় ২ মি.মি., মাদারীপুরে ৯ মি.মি., নেত্রকোনায় ২, চট্টগ্রামে ৫, রাঙ্গামাটিতে ১১, কুমিল্লা ও নোয়াখালীতে ৩, সিলেটে ৯, খুলনায় ১, বরিশালে ১৫ মি.মি. বৃষ্টিপাত হয়েছে। হালকা ও গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে আরও বিভিন্ন স্থানে। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.৪ এবং ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ২৬.৩ এবং সর্বনিম্ন ২৩.২ ডিগ্রি সে.।
আজ (সোমবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, লঘুচাপের একটি বর্ধিতাংশ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। চট্টগ্রাম, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘন্টায় আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন এবং এরপরের ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শীত

৩১ জানুয়ারি, ২০২৩
৬ জানুয়ারি, ২০২৩
৫ জানুয়ারি, ২০২৩
৫ জানুয়ারি, ২০২৩
৩ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ