বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
‘সব দলের আপত্তি স্বত্বেও ইভিএম ব্যবহার ভোট ডাকাতির ষড়যন্ত্র’ বলে দাবি করেছেন ময়মনসিংহ নগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, ময়মনসিংহে নির্বাচন কমিশন ইভিএম মেলা করায় আমরা ক্ষুব্ধ এবং হতাশ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অস্বচ্ছতার কারনে ইতিমধ্যে ইভিএম ব্যবহার বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে এ দেশের প্রায় সকল রাজনৈতিক দল ইভিএম ব্যবহারে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে। কিন্তু বর্তমান সরকারের ইশারায় আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন ইভিএম ব্যবহার করে ভোট ডাকাতির ষড়যন্ত্র করছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর বিএনপি কার্যালয়ে ইভিএম প্রত্যখ্যান করে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন নেতৃবৃন্দ। পরে নেতৃবৃন্দ ময়মনসিংহ নির্বাচন কমিশনে এ সংক্রান্ত একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুৃল আলম মাহাবুব। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আহাম্মেদ তায়েবুর রহমান হিরন, বিএনপি নেতা রতন আকন্দ, অ্যাড. এমএ হান্নান খান, আনোয়ারুল আজিজ টুটুল, এমএ হাসেম বাদল, নগর শ্রমিক দলের সভাপতি শহীদুল ইসলাম দুলাল। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ক্ষমতাসীন সরকার ময়মনসিংহে শত শত গায়েবী মিথ্যা মামলা দায়ের করে নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার ও রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করছে। দলীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ করে পুলিশ পাহাড়া বসিয়ে নেতা-কর্মীদের একত্রি হতে দিচ্ছে না। যা একতরফা নির্বাচনের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের নীলনকশা।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয় যে, বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইন-শৃংখলা বাহিনী, সিভিল প্রশাসনের কর্তকর্তা ও প্রিসাইডিং অফিসারগণ দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্লজ্জ ভাবে ভোট ডাকাতিতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করেছে। এমতাবস্থায় ময়মনসিংহ প্রশাসনের চিহ্নিত কর্মকর্তাগণ দ্বায়িত্বে বহাল থাকলে সুষ্ঠ নিরপেক্ষ অবাধ নির্বাচনের নূন্যতম সম্ভাবনা নেই। ফলে তফসিল ঘোষনার আগেই এসব কর্মকর্তাদের ময়মনসিংহ থেকে প্রত্যাহার অতি আবশ্যক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।