পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচন নিয়ে যে ষড়যন্ত্র ছিল তা ব্যর্থ হয়েছে জানিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আর সংশয় নেই। বিএনপি ভোটে না এলে তিনি ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেব। আর বিএনপি ভোটে এলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করবো। গতকাল রাজধানীর বনানীতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে দলের নির্বাচনী প্রচারণার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গত ২০ অক্টোবর আগামী ‘জাতীয় নির্বাচন অনিশ্চিত’ বলে জনগণকে ‘বার্তা’ দেন এই সাবেক প্রেসিডেন্ট। পরদিন অসুস্থতা নিয়ে তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি হন এবং মঙ্গলবার রাতে সেখান থেকে ছুটি পেয়ে বাসায় ফেরেন। এরপর এটাই তার প্রথম প্রকাশ্য কর্মসূচি। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এবারে নির্বাচনে জাতীয় পার্টির নির্বাচনী শ্লোগান হবে ‘পল্লীবন্ধুর হাত ধরে দেশ শাসনে আরেকবার’। নির্বাচনী প্রচারণায় জাতীয় পার্টির ৯ বছরের শাসনামলের কর্মকান্ড তুলে ধরা হবে। দলের ডিজিটাল প্রচারণার বিষয়ে এরশাদ জানান, প্রতিদিন সাড়ে চার কোটি মানুষের কাছে জাতীয় পার্টির কর্মকান্ড তুলে ধরা হবে। গুগলে একটি প্লাটফর্ম থাকবে যেখানে ক্লিক করলে জাতীয় পার্টির উন্নয়নের চিত্র ভেসে আসবে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তল্পিবাহক এরশাদ বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সংশয় কেটে গেছে। আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। বিএনপি নির্বাচনে না আসলে ৩০০ আসনেই প্রার্থীদেবে জাতীয় পার্টি। সে প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। শুধু নির্বাচনের প্রস্তুতিই নয়; তিনি নির্বাচন নিয়ে যে সংশয় কেটে যাওয়ার কারণও জানান। বলেন, যারা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছিল তারা ব্যর্থ হয়েছে। এখন মাঠে শুধু আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি আর বিএনপি। দলের নির্বাচনী প্রস্তুতির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, অল্পদিনের মধ্যেই মনোনয়ন বোর্ড গঠন করা হবে। প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নিয়ে যোগ্য ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। জাতীয় পার্টি আগের থেকে অনেক শক্তিশালী হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ভালো রেজাল্ট করবে।
এরশাদ বলেন, আমি যখন ক্ষমতায় ছিলাম তখন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে ছিল। কিন্তু বর্তমানে মধ্যম আয়ের দেশ ঘোষণায় যারা উল্লসিত, তারা গ্রামের খবর জানেন না। সবাই ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে ব্যস্ত মানুষের কষ্টের খোঁজ রাখার সময় নেই কারও।
দেশের রাজনীতিতে আনপ্রেডিক্টেবল খ্যাত এরশাদ ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে জোট করার কথাও বলেন আবার তাদের সমালোচনাও করেন। বলেন, খুন-গুম আর রক্তে দেশ আজ ভালো নেই। এভাবে দেশ চলতে পারে না। মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে, মানুষ শাস্তিতে বাঁচতে চায়। আমরা মানুষকে বাঁচাতে পথে নেমেছি। আমরা দেশের মানুষকে বর্তমান পরিস্থিতি থেকে শান্তি দেব- মুক্তি দেব। প্রমাণ হয়েছে জাতীয় পার্টি ছাড়া কেউ এ দেশে সুশাসন দিতে পারে না। মানুষের কল্যাণে কাজ করতে আমি এখনো বেঁচে আছি। লাঙ্গলে ভোট দেবেন, আমরা মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দেব। অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য সদস্য সুনীল শুভ, ফয়সল চিশতী, মেজর (অব) খালেদ আখতার প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।