Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রায়গঞ্জ পল্লী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দেড়যুগ নেই চিকিৎসাসেবা

নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) থেকে মো. রফিকুল ইসলাম | প্রকাশের সময় : ২৮ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

চিকিৎসক নেই দেড় যুগ। অন্তর্বিভাগ বন্ধ। বহির্বিভাগে মাত্র দুজন। একজন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার, একজন ফার্মাসিস্ট। তাই বন্ধ কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ১০ শয্যা বিশিষ্ট্য রায়গঞ্জ পল্লী স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এখন মাদকসেবী ও জুয়াড়িদের আড্ডাস্থল। চিকিৎসা বঞ্চিত এলাকাবাসী। ১৯৬২ সালে ১০ শয্যার রায়গঞ্জ পল্লী স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপিত হয়। ৯ দশমিক ৪৮ একর জমির ওপর স্থাপন করা হয় দুইতলা বিশিষ্ট মূল ভবন, তিনটি ডক্টরস কোয়ার্টার, দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মচারীর দুটি, তৃতীয় শ্রেণির তিনটি ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের কোয়ার্টার। ’৮০-এর দশক পর্যন্ত জেলার ধরলা উত্তরের নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী ও ফুলবাড়ী তিন উপজেলাবাসীর চিকিৎসার জন্য ছিল একমাত্র ভরসা ১০ শয্যার রায়গঞ্জ পল্লী স্বাস্থ্যকেন্দ্র। পরবর্তীতে সরকার প্রতি উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গড়ে তোলে। রোগীর ভিড় কমে গেলেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলার ১৫ ইউনিয়নবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে দুরুহ হয়ে পড়ে। তাই ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত রায়গঞ্জ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অন্তর্বিভাগ ও বহির্বিভাগ দুটোই চালু রাখা হয়। দুইজন মেডিক্যাল অফিসার, চারজন সিনিয়র স্টাফ নার্স, চারজন সহাকারী নার্স, একজন ফার্মাসিস্ট, একজন প্যাথলজিস্ট, দুইজন ওয়ার্ডবয়, চারজন এমএলএসএস, একজন কুক, একজন মশালচি ও দুইজন সুইপার সেখানে কর্মরত ছিলেন। হঠাৎ করে ১৯৯৮সালে অন্তর্বিভাগ বন্ধ করে দিলেও মঞ্জুরিকৃত পদ বিলুপ্ত হয়নি আজও। তবে পদ থাকলেও দেড়যুগ ধরে এখানে চিকিৎসক নেই। সিনিয়র নার্স দুইজনের একজন কুড়িগ্রামে অন্যজন ভুরুঙ্গামারীতে, ওয়ার্ডবয় দুইজনের একজন কুড়িগ্রামে, অন্যজন নাগেশ্বরীতে, এমএলএসএস চারজনের দুইজন নাগেশ্বরীতে, একজন ফুলবাড়ীতে, একজন মশালচি কুড়িগ্রামে ও সুইপার দুইজনের একজন কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন। একজন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার ও একজন ফার্মাসিস্ট দিয়ে চলছে বর্হিবিভাগ। বিশাল এলাকা এক সময় প্রাচীরে সুরক্ষিত থাকলেও বর্তমানে প্রাচীর অরিক্ষত। নিরাপত্তা প্রহরী নেই। চুরি হচ্ছে মূল্যবান সরঞ্জামাদি। পুরো চত্বরে বসে জুয়ার আসর। সারাদিনই সেখানে মাদকসেবীদের আড্ডা চলে বলে জানান এলাকাবাসী। স্থানীয় মফিজুল ইসলাম বলেন, এখানে আসাটাই দায়। সবসময় জুয়া খেলা চলছে। আর মাদকসেবীদের আড্ডাতো আছেই। জিনিসপত্র চুরি হচ্ছে। দেখার কেউ নেই।

উপ-সহকারী মেডিক্যাল কমিউনিটি অফিসার গৌতম চন্দ্র গোস্বামী বলেন, জরুরি বিভাগ চালু করা দরকার। বহির্বিভাগে প্রতিদিন অসংখ্য রোগী আসে। ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। সমান্য ঝড় আসলে সবাই দৌড়ে পালায়। ভয়ে আমরাও পালাই অনেক সময়। নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নির্মলেন্দ রায় মানিক বলেন, ‘কমপ্লেক্সটি এখনো প্রয়োজন। বৃহৎ উপজেলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি ওই কমপ্লেক্সটি থাকলে জনগণ উপকৃত হবে। তবে ওই স্থানে সরকার উন্নত কোনো প্রতিষ্ঠান করার পরিকল্পনা করছে বলে জানা গেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চিকিৎসাসেবা

২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ