Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে দরিদ্র রোগীরা পাচ্ছে না বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা

গোপালগঞ্জ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র

প্রকাশের সময় : ১৮ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা

অনিয়ম আর দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে গোপালগঞ্জ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর পরিচালিত এ কেন্দ্রে টাকা ছাড়া মিলছে না সেবা। মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে সিজারিয়ান অপারেশন ও এ্যাম্বুলেন্সে রোগী পরিবহনে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির ক্লিনিকের ওটি ব্যবহার করে পুরুষ রোগীদের অপারেশন করা হয়। দরিদ্র রোগীরা বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। চিকিৎসক কাজ-কর্মে ফাঁকি দিচ্ছে। এ সুযোগে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের নার্স ও আয়ারা কেন্দ্রের ডিউটি বাদ দিয়ে এম আর এবং ডি এন সি করাতে ব্যস্ত থাকেন। ফলে অনিয়ম ও দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে গোপালগঞ্জ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি। রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত বিনামূল্যে সরকারি ওষুধ দেয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনায় কেন্দ্রটির অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। ক্লিনিকের ভিতরে দুর্গন্ধময় অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশ বিরাজ করছে। দুর্গন্ধে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। ল্যাট্রিনের সেফটি ট্যাংক উপচে ময়লা বাইরে গড়িয়ে পড়ছে। দুর্গন্ধে এখানে সেবা নিতে আসা ও সেবা প্রদানকরীসহ কর্মচারীদের দুর্ভোগের শেষ নেই। গোপালগঞ্জ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে এখন এ চিত্র বিরাজ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চিকিৎসা নিতে আসা একাধিক রোগী অভিযোগ করেন, সিজারিয়ান অপারেশনে টাকা আদায়ের বিধান নেই। তারপরও এক আয়ার মাধ্যমে সিজারিয়ান প্রতি ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা আদায় করা হয়। এ্যাম্বুলেন্সে রোগী পরিবহনে কিঃমিঃ প্রতি ১০ টাকা আদায়ে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা রয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে। দীর্ঘ দিনেও এখানে ডিউটি রোস্টার করা হয়নি। চিকিৎসক অফিসে বসে টাকা নিয়ে বহিরাগত রোগী দেখেন। এছাড়া অফিস টাইমে বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে গিয়ে অপারেশন ও ডায়গনস্টিক সেন্টারে গিয়ে প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা করেন। মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের ওটি অবৈধভাবে ব্যবহার করে পুরুষ রোগীদের অপারেশন করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কেন্দ্রে কর্মরত এক কর্মচারী অভিযোগ করে বলেন, পরিবার পরিকল্পনার স্থায়ী পদ্ধতি গ্রহণ করতে আসা ক্লায়েন্টদের সরকারের বরাদ্দকৃত ইমপ্রেস ফান্ডের টাকা না দিয়ে আত্মসাৎ করা হয়। এ ছাড়া অফিস মেইটেনান্স ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের টাকা আত্মসাৎসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করা হচ্ছে এ কেন্দ্রে। মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে সেবা নিতে আসা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা গ্রামের রোগী রেশমা বেগম বলেন, এ কেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে পরিবার পরিকল্পনা সেবা, গর্ভকালীন সেবা, নিরাপদ প্রসব ও প্রসব পরবর্তী সেবা এবং বিনামূল্যে ওষুধ প্রদানের কথা রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে সে সব সেবা পাচ্ছেন না মা ও শিশুরা। এমনকি রোগীদের সরকারি বরাদ্দের ওষুধও দেয়া হচ্ছে না। গোপালগঞ্জ জেলার পার্শ্ববর্তী খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার সাচিয়াদহ গ্রাম থেকে সিজার করতে আসা রোগী শিল্পী মজুমদার বলেন, ৫ হাজার টাকা দিয়ে গোপালগঞ্জ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের ডা. উদ্ধব চন্দ্র পান্ডেকে দিয়ে সিজারিয়ান করিয়েছি। আমার স্বামী একজন নি¤œ আয়ের মানুষ। অনেক কষ্টে তাকে এ টাকা জোগাড় করতে হয়েছে। জেলার কাশিয়ানী উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী সুখী বেগম বলেন, আমার সিজারিয়ান অপারেশনে ৮ হাজার টাকা নিয়েছে। এখানে নিয়ম-নীতি বলে কোন কথা নেই। সেবার মান ভাল না। সদর উপজেলার গোবরা গ্রামের শিউলী বেগম অভিযোগ করে বলেন, ল্যাট্রিনের সেফটি ট্যাংকের দুর্গন্ধ ও নোংরা পরিবেশে প্রসূতি সেবা নিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ি। জেলার একমাত্র মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের এমন বেহালদশা সম্পর্কে অভিযোগ করে বলেন, ‘এসব অনিয়ম দেখার কি কেউ নেই?’ গোপালগঞ্জ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার (ক্লিনিক) ডা. উদ্বব চন্দ্র পান্ডে অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা অস্বীকার করলেও তিনি কোন প্রশ্নেরই সদুত্তর দিতে পারেননি। গোপালগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সোহেল পারভেজ বলেন, মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোন অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়ে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে দরিদ্র রোগীরা পাচ্ছে না বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ
function like(cid) { var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "clike_"+cid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_comment_like.php?cid="+cid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function dislike(cid) { var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "cdislike_"+cid; document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_comment_dislike.php?cid="+cid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function rlike(rid) { //alert(rid); var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "rlike_"+rid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_reply_like.php?rid="+rid; //alert(url); xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function rdislike(rid){ var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "rdislike_"+rid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_reply_dislike.php?rid="+rid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function nclike(nid){ var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "nlike"; document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com//api/insert_news_comment_like.php?nid="+nid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } $("#ar_news_content img").each(function() { var imageCaption = $(this).attr("alt"); if (imageCaption != '') { var imgWidth = $(this).width(); var imgHeight = $(this).height(); var position = $(this).position(); var positionTop = (position.top + imgHeight - 26) /*$("" + imageCaption + "").css({ "position": "absolute", "top": positionTop + "px", "left": "0", "width": imgWidth + "px" }).insertAfter(this); */ $("" + imageCaption + "").css({ "margin-bottom": "10px" }).insertAfter(this); } }); -->