বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সৌর বিদ্যুৎ ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে সিলেট নগরীতে এলইডি বাতির আলোতে আলোকিত হয়ে উঠছে সিলেট নগরীর ব্যস্ততম সড়কগুলো। এতে যেমন একদিকে দূর হচ্ছে অন্ধকার অন্যদিকে কমছে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। এছাড়াও মানসিক স্বস্তি নিয়ে সড়কগুলোতে চলাচল করছেন নগরবাসী।
বিদ্যুতের বিকল্প ব্যবহার ও নিরবচ্ছিন্ন আলো সরবরাহের জন্য সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডে এ উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও সিসিক। আর এতে একদিকে যেমন বিদ্যুৎ চলে গেলেও সড়ক অন্ধকার নেমে আসে না, অন্যদিকে সৌর শক্তিকে কাজে লাগিয়ে পরিবেশ বান্ধব ও টেকসই বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে মানুষ।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) অর্থায়নে ‘স্মার্ট কন্ট্রোল সিস্টেম ইন সিটি করপোরেশন’ প্রকল্পের আওতায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর সুনামগঞ্জ সড়কের হাউজিং এস্টেট থেকে কুমারগাঁও, শাহী ঈদগাহ থেকে টিলাগড়, টিলাগড় থেকে গাজী বোরহান উদ্দিন মাজার, শিবগঞ্জ পয়েন্ট থেকে শাহজালাল উপশহর এ ও ই ব্লকের রোজভিউ হোটেল পর্যন্ত সম্পূর্ণ রাস্তা আলোকিত হয়ে উঠছে।
এছাড়া বোরহান উদ্দিন মাজার থেকে শাহজালাল ব্রিজ, ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের হুমায়ুন রশিদ চত্বর থেকে পারাইরচক, কাজীর বাজার ব্রিজ থেকে বঙ্গবীর রোড, হুমায়ুন রশিদ চত্বর থেকে চন্ডিপুল পর্যন্ত ১ হাজার ১৪৩ এলইডি সড়ক বাতি বসানো হচ্ছে। এই সড়ক বাতিগুলোই মুঠোফোনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
এ বিষয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বিদ্যুৎ শাখার সহকারী প্রকৌশলী জয়দেব বিশ্বাস জানান, মুঠোফোনের সিম থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে সড়ক বাতি। সিমের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ে এই বাতিগুলো জ্বালানো ও নেভানো যাবে। যার কন্ট্রোলরুম ও সার্ভার থাকবে নগর ভবনে।
তিনি আরো জানান, সড়ক বাতিগুলো এখনও ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে চালানো হচ্ছে। আগামী নভেম্বর মাসের ৩০ তারিখে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। তবেই মুঠোফোনের সিমের মাধ্যমে পরিচালনা শুরু হবে এ কার্যক্রম।
সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মো. রুহুল আলম বলেন, নতুন এলইডি বাতির পরিচালনা ব্যবস্থা টাইমার (সময়) নির্ভর। সময় হলেই বাতি জ্বলবে এবং নিভবে। প্রকল্পের ‘স্মার্ট লাইটিং কন্ট্রোলের’ মাধ্যমে প্রয়োজনে বাতির আলো কমানো যাবে বলেও জানান তিনি।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান জানান, ২০১৮ সালের জুন মাসে এই প্রকল্প শুরু হয়। আগামী নভেম্বর মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে শেষ হতে পারে সড়ক বাতি বসানোর কাজ।
সিসিকের বিদ্যুৎ শাখা সূত্রে জানা যায়, নতুন করে লাগানো প্রতিটি এলইডি বাতিতে থাকবে লাইট কন্ট্রোল ইউনিট (এলসিইউ)। এলসিইউ যুক্ত হবে ডেটা কন্ট্রোল ইউনিটের (ডিসিইউ) সঙ্গে। ৪০ থেকে ৬০টি এলসিইউ মিলিয়ে হবে একটি ডিসিইউ। প্রতিটি ডিসিইউ জন্য একটি করে সিমকার্ড থাকবে। এতে ইন্টারনেটের ডেটা থাকবে। সিমের মাধ্যমেই নগর ভবনে স্থাপন করা মূল সার্ভার থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে সবকটি সড়ক বাতি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।