পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মানসিক স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত পেশাজীবি হিসেবে কোনো ব্যাক্তি মানসিক অসুস্থতা সম্পর্কিত বিষয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা সার্টিফিকেট দিলে অনধিক ৩ লাখ টাকা অর্থদন্ড বা এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হওয়ার বিধান রেখে জাতীয় সংসদে মানসিক স্বাস্থ্য বিল-২০১৮ পাস হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এরআগে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তির স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, মর্যাদা সুরক্ষা, সম্পত্তির অধিকার ও পুনর্বাসন এবং কল্যাণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় বিধানের প্রস্তাব করে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
বিলে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম পরিচালনা, মানসিক স্বাস্থ্য রিভিউ ও মনিটরিং কমিটি গঠন, মানসিক অসুস্থ্য ব্যক্তির অধিকার, মানসিক হাসপাতাল স্থাপন, লাইসেন্স, মানসিক হাসপাতাল পরিদর্শন, তল্লাশি ও জব্দ, জরিমানা আরোপের ক্ষমতা, মানসিক রোগীর চিকিৎসায় ভর্তি, স্বেচ্ছায় ভর্তির প্রক্রিয়া, মানসিক রোগীর চিকিৎসার অধিকার, পুনর্বাসন মানসিক অবস্থার বিচারিক অনুসন্ধান, মানসিক রোগীর অভিভাবকত্ব, তার সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইন কার্যকরের ৯০ দিনের মধ্যে যে মানসিক হাসপাতালগুলো আছে সেগুলোকে লাইসেন্স নিতে হবে। এই আইন লঙ্ঘন করলে শাস্তি পেতে হবে। সরকারের লাইসেন্স নিয়ে বেসরকারিভাবে মানসিক হাসপাতাল স্থাপনের বিধানও রাখা হয়েছে বিলে। এতে অভিভাবক বা ব্যবস্থাপক মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা বা সম্পত্তির তালিকা প্রণয়ন বা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে অবহেলা বা আদালতের কোনো নির্দেশনা অমান্য করলে পাঁচ লাখ টাকা অর্থদন্ড বা তিন বছরের কারাদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। বিলের উদ্দেশ্য বলা হয়েছে, বিদ্যমান আইনটি মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক একমাত্র আইন। শত বছরের পুরনো এ আইনটির প্রাসঙ্গিকতা ও সময়োপযোগিতা বহু আগেই হ্রাস পেয়েছে। সে প্রেক্ষাপটে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত নাগরিকগণের মর্যাদা সুরক্ষা ও স্বস্থ্য সেবা প্রদান, সম্পত্তির অধিখার, পুনর্বাসন ও সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিতকরণে একটি যুগোপযোগী আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।