পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের ভুয়া সার্টিফিকেটের কারণে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ব্যাপক ক্ষুন্ন হয়েছে। চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালিসহ ইউরোপিয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো বাংলাদেশের নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বন্ধ করে রেখেছে বিমান চলাচল। ইতালি সে দেশ থেকে বাংলাদেশের নাগরিকদের বহনকারী বিমান ফেরত দিয়েছে। বিদেশি গণমাধ্যমগুলোতেও আলোচিত হয়েছে ভুয়া সার্টিফিকেটের বিষয়টি। তবে দেশে শুধু চিকিৎসা খাতেই নয়, শিক্ষা ক্ষেত্রে দিনের পর দিন ভুয়া সার্টিফিকেট বিক্রি করে আসছে বেশ কয়েকটি চক্র। পড়াশুনায় দীর্ঘ গ্যাপ, ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেই টাকার বিনিময়ে মিলছে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষার ডিগ্রিও। বাদ যাচ্ছে না এমফিল-পিএইচডির সার্টিফিকেটও। টাকা দিলেই মিলছে যেকোন ডিগ্রির সার্টিফিকেট। নামে-বেনামে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও পিছিয়ে নেই এই বাণিজ্যে।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, করোনার জাল সার্টিফিকেটের কারণে যেভাবে বিদেশে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে, শিক্ষার সার্টিফিকেট যদি বাইরে ধরা পড়ে এবং আলোচিত হয় তাহলে ভয়াবহ সঙ্কটে পড়বে বাংলাদেশ। বন্ধ হয়ে যাবে এদেশের শিক্ষার্থীদের বাইরে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ। শিক্ষার জাল সার্টিফিকেটের শঙ্কা দূর করতে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সকলকেই কার্যকর উদ্যোগ এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবি করেছেন তারা।
করোনার জাল সার্টিফিকেটের কারণে সম্প্রতি আলোচনায় এসেছেন রিজেন্টের মো. শাহেদ। তবে শুধু চিকিৎসাতেই তার প্রতিষ্ঠান জাল সার্টিফিকেট দিচ্ছিলেন তা নয়, অনুমোদন ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে সার্টিফিকেটও বিক্রি করেছে তার প্রতিষ্ঠিত রিজেন্ট ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি, বাংলাদেশ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরের ২/১ রোডে অবস্থিত ১৪ নাম্বার বাড়িটির তৃতীয় তলায় চলতো মো. শাহেদের রিজেন্ট ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বাংলাদেশ এর কার্যক্রম। ২০১৪ সাল থেকেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হলেও নেয়া হয়নি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কিংবা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন। অনুমোদন না থাকলেও দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ছাড়াই দেয়া হয়েছে সার্টিফিকেট। গত ৬ জুলাই পর্যন্ত এটির কার্যক্রম চলছিল। ২/১ রোডের বাসিন্দা সৈয়দ গালিব জানান, দীর্ঘদিন থেকেই ১৪ নাম্বার বাসাটির সামনে রিজেন্ট ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি, বাংলাদেশ নামে সাইন বোর্ড ছিল। গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযানের পর রাতেই রিজেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইনবোর্ড খুলে ফেলা হয়। ওই বাসাটির দায়িত্বে (দারোয়ান বা কেয়ারটেকার) থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যক্তি বলেন, কয়েকদিন আগে হঠাৎ করেই সাইনবোর্ড খুলে ফেলা হয়েছে আর তিন তলায় যে অফিস ছিল তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বেশ কিছু মালামালও নিয়ে গেছে। এখন অফিসে আর কেউ আসে না।
জানা যায়, ২০১৪ সালে রিজেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরুর পর ওই বছর থেকেই সেখান থেকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর সার্টিফিকেট বিক্রি করা হয়েছে। ২ লাখ টাকা থেকে ৩ লাখ টাকায় এসব সার্টিফিকেট বিক্রি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের কাছ থেকে সার্টিফিকেট নিয়ে অনেকেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরিও নিয়েছেন। এমনকি বিদেশে পড়াশুনার জন্য কেউ কেউ গেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ওই ভবনে গেলে তৃতীয় তলা তালাবদ্ধ পাওয়া যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার মান নিয়ে এমনিতেই প্রশ্ন আছে। এরমধ্যে যদি সার্টিফিকেট বিক্রি হয় তাহলে শিক্ষা ব্যবস্থা বলতে আর কিছু থাকবে না। বহির্বিশ্বে আমাদের ভাবমূতি চরম ক্ষুন্ন হবে। এর সাথে জড়িতদের যদি শাস্তি না হয়, তাহলে অন্যরাও উৎসাহিত হয়ে এধরণের কাজ করবে। এজন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দিকে আঙুল তুলে তিনি বলেন, এধরণের কাজ হচ্ছে আর মন্ত্রণালয় জানবে না তা কিভাবে হয়। নিশ্চয় মন্ত্রণালয়ের কেউ না কেউ এর সম্পর্কে জানে, সুযোগ করে দিয়েছে না হলে তারা কিভাবে চালায়?
শুধু রিজেন্টই নয়, দেশে দীর্ঘদিন ধরেই নামে-বেনামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সার্টিফিকেট বাণিজ্যের সাথে জড়িত রয়েছেন। রীতিমতো অফিস খুলে দীর্ঘদিন ধরে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সার্টিফিকেট বেচে আসছে রাজধানীর বেশ কয়েকটি চক্র। স্টাডি হেল্প লাইন, সাকসেস কোচিং প্রকাশ্যেই এই বাণিজ্য চালিয়েছে। কোনও শিক্ষার্থীর শিক্ষা বিরতি থাকলেও সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে প্রাইভেটে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা, কারিগরি বোর্ডের অধীনে ডিপ্লোমা, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এসএসসি থেকে মাস্টার্সসহ বিভিন্ন প্রোফেশনাল কোর্স, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিগ্রি পাস কোর্স এবং মাস্টার্স পাস কোর্সে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু চক্র প্রাইভেটে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা এবং সহজে পাস করার সুযোগ আছে বলে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণার জাল বিছিয়ে রেখেছে। আগ্রহীদের পরীক্ষার ব্যবস্থা না করে কৌশলে ফাঁদে ফেলে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয় তারা। এছাড়া স্ট্যামফোর্ড, সাউদার্ন, রয়েল, ইবাইস, সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লাসহ বেশ কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটও বেচে তারা।
বাদ যাচ্ছে না বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও। কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়, ইবাইস ইউনিভার্সিটি, দি পিপলস ইউনিভার্সিটি, আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি, প্রাইম ইউনিভার্সিটি, রয়েল ইউনিভার্সিটি, ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি, অতিশ দিপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট বাণিজ্যের অভিযোগ বেশ পুরনো। শুধু এগুলোই নয় শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটও ৭-৮ লাখ টাকায় পাওয়া যায় বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন প্রতিবছর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম, অননুমোদিত প্রোগ্রাম চালানোর অভিযোগসহ সার্টিফিকেট বাণিজ্যের কারণে বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করে। শিক্ষামন্ত্রী নিজেও সার্টিফিকেট বাণিজ্যের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। কিন্তু কোন পক্ষই কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটে সিকিউরিটি মিজারমেন্ট নেই। কাগছে ছাপানো। ফলে অনুমোদনহীন বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় না, নীল ক্ষেতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটও বানায় দেখেছি। এজন্য আমরা শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটে কিউআর কোড দিচ্ছি সেটি স্কেন করলে যে কেউ তা ভ্যারিফাই করতে পারবে।
ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে যারা যাচ্ছে অনেকেই হয়তো ধরা পড়ছে কিন্তু বিষয়টি সেভাবে জানা জানি নেই, কিন্তু যদি আলোচিত হয় তাহলে দেশের বাইরে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার সুনাম ব্যাপকভাবে ক্ষুন্ন হবে। তখন আর আমাদের দেশের সার্টিফিকেট কেউ গ্রহণ করবে না। তিনি নিজেই বেশ কয়েকটি জাল সার্টিফিকেট ধরেছেন জানিয়ে অবিলম্বে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
এমফিল-পিএইচডি সার্টিফিকেট ৩ লাখে: করতে হবে না ক্লাস, নেই কোন পরীক্ষা। প্রতিমাসে একটি সেমিনারে অংশ নিলেই পাওয়া যাবে পিএইচডির (ডক্টর অব ফিলোসফি) মতো ডিগ্রি। মাত্র ৩ লাখ টাকা দিলেই যে কেউ হতে পারবেন যেকোন বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রিধারী। দেশে অলংকারিক হলেও বিদেশে চাকরি এমনকি স্কলারশিপও পাওয়ার লোভ দেখাচ্ছে ডিগ্রি প্রদানকারীরা। আইন অনুযায়ী কোন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পিএইচডি ডিগ্রি দিতে না পারলেও ঘরে বসেই আগ্রহীদের এই ইন্টারন্যাশনাল কালচার ইউনিভার্সিটি নামের একটি প্রতিষ্ঠান। সরকারি নিবন্ধন ছাড়াই পিএইচডি ও এমফিল ডিগ্রি বিক্রি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। শুধু এটিই নয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তথ্য অনুযায়ী রাজধানীতে আরও ১০টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা টাকার বিনিময়ে পিএইচডি ডিগ্রি বিক্রি করছেন। আর এসব প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রি নিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে ৫ হাজারের বেশি মানুষ। কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে শীঘ্রই এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ছাড় দেয়া হবে না ভুয়া ডক্টরেট ডিগ্রিধারীদেরও। জানা যায়, এসব প্রতিষ্ঠাননে প্রথমে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে ভর্তি হতে হয়, এ সময় কিছু স্টাডি উপকরণ দিয়ে দেয়া হবে। সেটার উপর একটি প্রেজেন্টেশন তৈরি করে এক মাস পরে একটি সেমিনারে অংশ নিতে হবে। এভাবে ২৪ মাসে ২৪টি সেমিনারে অংশ নিতে হবে এবং প্রতিমাসে ১০ হাজার ৫০০ টাকা করে দিলে পাওয়া যাবে পিএইচডি ডিগ্রি। কেউ ভর্তি হতে গেলে প্রথমেই বলে দেয়া হচ্ছে এই ডিগ্রি সরকারি প্রতিষ্ঠানে গ্রহণযোগ্য হবে না। তবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজে লাগবে। বিশেষ করে বিদেশে চাকরি বা বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কলারশিপের ক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই। আর জাতিসংঘের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হলে আরও সুবিধা। এমফিল ডিগ্রির জন্য খরচ হবে এক লাখ ৬ হাজার টাকা। ভর্তির সময় দিতে হবে ২০ হাজার টাকা। এরপর প্রতিমাসে ছয় হাজার ৫০০ টাকা করে। পিএইচডি’র মতো এমফিলেও প্রতিমাসে একটি করে সেমিনারে অংশ নিতে হবে। এরআগে পিএইচডি ডিগ্রি বিক্রির জন্য রাজধানীতে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ভর্তি করান। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আমেরিকা ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি সাড়ে ৩ লাখ টাকায় এই ডিগ্রি দিয়েছেন বেশ কয়েকজনকে। আমেরিকান একটি ইউনিভার্সিটির নাম ব্যবহার করে বাংলাদেশ স্ট্যাডি নামে ভুয়া প্রতিষ্ঠান খুলে এমফিল, পিএইচডি, অনার্স, মাস্টার্সসহ ৭ ধরনের ডিগ্রি বিক্রি করে। তাদের কাছ থেকে ডিগ্রি নিয়ে শিক্ষকতা পেশা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরি করছেন অনেকেই।
ইউজিসি’র সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান বলেন, ঢাকা শহরে কিছু এলাকায় ভুয়া ডিগ্রি বিক্রি করছে। এসব তথাকথিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিতে পারে।
ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর নজরুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্যের মতো শিক্ষা খাতেও অব্যবস্থাপনা-দুর্নীতি-অদক্ষতা আছে। যারা এসব দুর্নীতির সাথে জড়িত তারা বেপরোয়া ও ধূর্ত। এসব নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সরকারি শক্ত তদারকি থাকতে হবে। ভুয়া সার্টিফিকেটের বিষয়ে যেটি শোনা যাচ্ছে এটি আমাদের জন্য, দেশের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসিকে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, দীর্ঘদিনেও শিক্ষা কমিশন, শিক্ষা আইন হয়নি। প্রশাসনিক ও আইনি দুর্বলতার কারণে অনিয়মের সুযোগ রয়েছে। এজন্য ইউজিসিকে শক্তিশালী করতে হবে, দুদক-মন্ত্রণালয়কে সক্রিয় হতে হবে। প্রয়োজনে শিক্ষাবিদ, সিভিল সোসাইটিকে নিয়ে কমিটি করে এসব বিষয়ে তদারকির পরামর্শও দেন তিনি।
নজরুল ইসলাম বলেন, ইউজিসির এক্রিডিটেশন কাউন্সিল আছে, কয়েকজন সদস্য আছে, সরকারের অর্থও খরচ হচ্ছে। কিন্তু কোন কাজ দেখছি না। কবে তারা কাজ শুরু করবে? এর ফাঁকে অনেক কিছু হয়ে যাচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট বাণিজ্যের অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে। এগুলোর অধিকাংশই আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। তবে শিক্ষার গুণগতমান বজায় রাখার স্বার্থে তথা সার্টিফিকেট বাণিজ্য বন্ধ করতে কমিশন থেকে নিয়মিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মনিটরিং করা হচ্ছে। মন্ত্রী আরো জানান, অসাধু চক্রের যোগসাজশে পরিচালিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ করা হয়েছে এবং অননুমোদিত ক্যাম্পাস বন্ধের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।