যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
গ্যাসের সমস্যা বা বুক জ্বালায় ভোগেন? অ্যাসিডিটি যে কোনও বয়সের মানুষের জন্য খুবই সাধারণ ঘটনা। অ্যাসিডিটির সমস্যায় অস্বস্তিকর বোধ করেন এবং আপনার মেজাজও খিটখিটে হয়ে যায়, গলা বুক জ্বালা করে। অ্যাসিডিটির প্রাথমিক কারণগুলির মধ্যে রয়েছে মশলাজাতীয় খাবার, শারীরিক ব্যায়ামের অভাব, অনিয়মিত খাবারের, অত্যধিক মদ্যপান ও মানসিক চাপ।
ভারতীয় উপমহাদেশের প্রতিটি রান্নাঘরে পাওয়া যায় এমন একটি ঐতিহ্যবাহী মসলা হল লবঙ্গ। বাংলাদেশ, ভারত এবং ইন্দোনেশিয়া, পূর্ব আফ্রিকা এবং পাকিস্তানের মতো দেশগুলির অন্যান্য খাবারের মধ্যে লবঙ্গ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। লবঙ্গ মাথাব্যাথা, মুখের রোগ, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, মাইক্রোবিয়াল ইনফেকশন, সাইনাস, ফ্লু এবং সাধারণ ঠান্ডা ইত্যাদির মতো স্বাস্থ্য সমস্যাগুলি মোকাবেলার জন্য পরিচিত। এটি ইমিউন সিস্টেম বাড়াতে সাহায্য করে, যকৃতকে রক্ষা করে এবং হাড়ের শক্তি উন্নত করে।
দীর্ঘকাল ধরে অমøতা চিকিৎসায় লবঙ্গ ব্যবহৃত হচ্ছে। লবঙ্গের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যগুলি পেরিস্টালিসিস (পাকস্থলীতে খাবারের গতি নিয়ন্ত্রণ) বৃদ্ধি করে, লালা উৎপাদন বাড়ায়, পাচনে সহায়তা করে এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্স বন্ধ করে। লবঙ্গ পেটের প্রদাহ কমায়। পেটের অন্যান্য রোগ যেমন বুক জ্বালা, অমøতা এবং বদহজমেও এই লবঙ্গ উপকারী। লবঙ্গের ক্ষারীয় বৈশিষ্ট্য রয়েছে পেট এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল নালিতে উৎপাদিত অতিরিক্ত অ্যাসিডের প্রভাব বন্ধ করতে সহায়তা করে। এই বৈশিষ্ট্যই গ্যাস তৈরি হতে দেয় না।
কীভাবে অমøতা বা অ্যাসিডিটির চিকিৎসায় লবঙ্গ ব্যবহার করতে পারেন?
একবার লবঙ্গের একটি টুকরো মুখে নিন, হালকা চিবিয়ে তার রস বের করে সেটি মুখেই রেখে দিন। আস্তে আস্তে ক্ষরিত হওয়া রস অ্যাসিডিটি কমিয়ে দেয়, অ্যাসিড রিফ্লাক্স হতে দেয় না। খাবার পরেই এক টুকরো লবঙ্গ মুখে রাখুন। সূত্র : এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।