Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

হেসেখেলেই সিরিজ বাংলাদেশের

রুমু, চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০১৮, ১০:৫১ পিএম | আপডেট : ১২:২৪ এএম, ২৫ অক্টোবর, ২০১৮

সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেরে চট্টগ্রামে ঘুরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল জিম্বাবুয়ে দল। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ব্রেন্ডন টেইলরের অনবদ্য ৭৫ রানের ওপর ভর করে ২৪৬ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোরও করেছিল সফরকারী দলটি। কিন্তু জয়ের জন্য ২৪৭ রানের টার্গেটকেও যেন মামুলি বানিয়ে ছাড়লেন বাংলাদেশ দলের দুই ওপেনার লিটন দাস ও ইমরুল কায়েস। মাত্র ২৪ ওভারেই ১৪৮ রানের জুটি গড়েন তারা। দুর্দান্ত এই ওপেনিং জুটির কল্যাণে অনায়সেই ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে নিয়েছে টিম বাংলাদেশ। ওপরদিকে এ নিয়ে টানা ১৬ ম্যাচ হারল জিম্বাবুয়ে।
ম্যাচের সঙ্গে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা তৃতীয় সিরিজ জয়ের কাব্য রচনা করেছে মাশরাফির দল। ইংলিশ কন্ডিশনে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে তামিম-সাকিবের অনুপস্থিতিতে ইমরুল-লিটনের ব্যাটে রান পাওয়া এবং বোলিং অল-রাউন্ডার হিসেবে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ৩ উইকেট প্রাপ্তি বাংলাদেশের জন্যে ভালো খবর বটে। তবে আক্ষেপ রয়ে গেছে ফজলে মাহমুদ রাব্বির ব্যাটিং নিয়ে। এদিনও যে তার ব্যাটিংটা দেখা হলো না! টানা দ্বিতীয় ম্যাচে আউট হলেন শূণ্য রানে। আউটটাও বিরক্তিকর স্টাম্পিং। ইমরুল-লিটনের দারুণ ওপেনিং জুটি হয়ত এই আক্ষেপটা বুঝতে দেয়নি। তবে ৩০ বছর বয়সী রাব্বির জন্যে এটা বড় ধরণের সুযোগ হাতছাড়া বলা যেতে পারে।
ওয়ানডে ম্যাচে জয়ের জন্য ২৪৭ রানের টার্গেট খুব বড় না হলেও একেবারে সহজও নয়। কিন্তু লিটন ও ইমরুলের ১৪৮ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ জিম্বাবুয়ের ওই টার্গেটকে একেবারে সহজ টার্গেটেই যেন পরিণত করে। লিটনের আউটটা বলতে হবে বেশি তাড়াহুড়োর ফল। বিশেষ করে সেঞ্চুরির সামনে দাঁড়িয়ে। ডোনাল্ড ত্রিপানোকে কাভার দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে টাইমিংটা ঠিকমত করতে পারেননি। শরীরের চেয়ে বেশ দুরের বলে ক্যাচ দেন সিকন্দার রাজাকে। ইনিংসের চতুর্থ বলেই রিভিউ নিয়ে লেগ বিফোরের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া লিটন শেষ পর্যন্ত খেলেন ৭৭ বলে ১২ চার ও এক ছক্কায় ৮৩ রানের ঝলমলে ইনিংস। জয়ের জন্য বাংলাদেশের তখন লাগে ৯৯ রান।
একই পথে হাঁটতে গিয়ে সেঞ্চুরির সামনে গিয়ে ধমকে যায় ইমরুলের ইনিংসও। এই সিরিজের প্রথম ম্যাচে ক্যারিয়ার সেরা ১৪৪ রান করার পর গতকাল তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ দিয়ে আউট হন নার্ভাস নাইনটিতে। ১১১ বলে ৯০ রানের ইনিংসটি সাজান ৭ চারে। সিরিজ সেরা হওয়াটাও অনেকটা নিশ্চিত করে ফেলেছেন তিনি। ইমরুল আউট হওয়ার সঙ্গে ভাঙে তৃতীয় উইকেটে ৫৯ রানের জুটি। জয় তখন মাত্র ৩৬ রান দূরে। শেষ পর্যন্ত ব্যাট হাতে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন মুশফিক ও মিঠুন।
এর আগে টস জিতে শিশিরের কথা মাথায় রেখে বল বেছে নেন টাইগার দলপতি মাশরাফি। প্রথম দিকে ধাক্কা লাগলেও তার সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল তা বুঝতে দেরি হয়নি। শেষদিকে দারুণ বোলিংয়ে জিম্বাবুয়েকে আড়াইশর মধ্যে আটকে রাখে তার দল। জিম্বাবুয়ের শুরুটা অবশ্য খুব ভালো ছিল না। দলীয় ১৮ রানেই মুশফিকুর রহিমের হাতে সাইফুদ্দিনের শিকার হন মাসাকাদজা (১৪)। দ্বিতীয় উইকেটে অপর ওপেনার ওপেনার জোয়াওকে নিয়ে দ্রæত ৫২ রানের জুটি গড়েন ব্রেন্ডন টেইল। দলকে দেখান বড় স্কোরের স্বপ্ন। মিরাজের বলে ঝুয়াও লং অফে ক্যাচ দিয়ে আউট হলেও উইলিয়ামসের সঙ্গে ৭৭ রানের আরেকটি দারুণ জুটি গড়েন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। দলকে ১৪৭ রানে রেখে মাহমুদউল্লাহর বলে এলবিডবিøউ হওয়ার আগে ৭৩ বলে ৯টি চার ও একটি ছক্কায় করেন দলীয় সর্বোচ্চ ৭৫। অল্পের জন্য ফিফটি পূর্ণ করতে না পারলেও দলের রান বাড়াতে ভূমিকা রাখেন দুই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান উইলিয়ামস ও সিকান্দার রাজা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশ


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ