Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আরও ২৩ রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠাচ্ছে ভারত

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

স¤প্রতি সাত রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর পর এবার আরও ২৩ রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠাতে যাচ্ছে ভারত। আসাম রাজ্য সরকার, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও মিয়ানমারের মধ্যে করা একটি চুক্তির আওতায় তাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে। দীর্ঘ আলোচনা, পরিচয় শনাক্তকরণ ও তথ্যানুসন্ধানের বিস্তারিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আসাম সরকার দাবি করেছে যে, এসব রোহিঙ্গা ফেরত যেতে রাজি হয়েছে। সাত রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর সময় যেসব সমস্যায় পড়তে হয়েছে, তাতে আরও রোহিঙ্গাকে সেখানে পাঠানোর বিষয়টি বিস্ময়কর। ফেরত পাঠানোর সময় ওই সাতজনের সবাই ভারতের মাটি ছাড়তে চরম অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। রাখাইন রাজ্যে ফেরত যাওয়ার পর তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে মিয়ানমার প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি তাদের খুব কমই আশান্বিত করেছিল।
কলকাতাভিত্তিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে চাপ দেওয়ার বিষয়টি যাতে প্রতীয়মান না হয় সেই চেষ্টা করছে আসাম সরকার। যাতে করে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তৎপরতা এড়ানো যায়।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে মানবাধিকার সংস্থাগুলো খুবই সক্রিয়। তারা ভারত থাকা ৪০ হাজার রোহিঙ্গার সবাইকে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তে বিরোধিতা করে আসছে। তবে বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিএলআই’র দায়ের করা হলে রায় সরকারের পক্ষেই যায়। যখন মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নিজেদের নাগরিক পরিচয় দিয়ে ফেরত নিয়ে যেতে চাচ্ছে তখন মানবাধিকার কর্মীদের আপত্তির কারণ জানতে চেয়েছে আদালত।
ভারতের দিল্লি, হায়দরাবাদ, জম্মু ও কাশ্মীর, হরিয়ানাসহ অন্যান্য এলাকায় তাঁবু বা অস্থায়ী আবাসনে বেশ কিছুদিন ধরে বাস করছে রোহিঙ্গারা। এছাড়া কলকাতার দক্ষিণাঞ্চলে প্রায় ২০০ জনের মতো রোহিঙ্গা রয়েছে। তবে তারা নিবন্ধিত নয়।
কাজের জন্য বেঙ্গালুরু যাওয়ার পথে কয়েকজন রোহিঙ্গা গ্রেফতার হয়েছে। উত্তর ভারতের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে থাকা রোহিঙ্গারা জীবিকার জন্য ছোটখাট কাজ করছেন। জাতিসংঘ শুধু শরণার্থী হিসেবে নিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের জন্যই আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে। তবে নিবন্ধিত হওয়ার জন্য বেশ কিছু প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তাতে সময় লাগে। স্থানীয় এনজিও সংস্থাগুলো অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশাপাশি এসব রোহিঙ্গাদের নিয়েও কাজ করছে।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা যে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়বে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এছাড়া মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আধা-সামরিক বাহিনীর নিষ্ঠুর অত্যাচারের বিষয়টিও প্রমাণিত। এজন্য ভারতে তাদের জন্য অনেকেরই সহানুভূতি রয়েছে।
তবে ভারতের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপি রোহিঙ্গা ইস্যুতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। তাদের প্রতি কোনও ধরনের নমনীয়তা বা ভারতে তাদের স্থায়ী আবাসনের বিষয়ে তারা রাজি নয়। বাংলাদেশ সরকারও একই অবস্থান নিয়ে আছে। দুই দেশই মিয়ানমারকে নিজ দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ