পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর তুরাগ ও নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার এলাকা থেকে পৃথক ঘটনায় ছয়জনের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আড়াইহাজারে চারজনের শরীরে একাধিক গুলির চিহ্ন ও মাথা থেতলে দেয়া হয়েছে। আর তুরাগে উদ্ধার হওয়া লাশ দুটিতে পচন ধরেছে। তবে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, লাশ দেখে মনে হয় নির্মম নির্যাতনের পর ওই দু’ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত পুলিশ নিহতদের পরিচয় উদ্ধার করতে পারেনি। নিহতদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পৃথক দু’টি ঘটনায় অজ্ঞাত লাশ দেখতে শত শত লোক হাজির হয়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তুরাগ ও আড়াইহাজার এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, মাথা থেঁতলানো চার যুবক গুলিতে নিহত হয়েছেন। চারজনকে পেছন থেকে গুলি করে মারা হয়েছে। তিনজনের মাথায় একই শটগানের গুলি পাওয়া গেছে। গত শনিবার দিবাগত রাতের যেকোনো সময় এই ঘটনা ঘটে।
তুরাগ থানার ওসি নুরুল মুক্তাকিন বলেন, গত শনিবার রাত ১টার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায় উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টরের একটি ঝোপে দুইজনের লাশ পরে রয়েছে। পরে গতকাল সকালে লাশগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। তাদের অনুমানিক বয়স ৩০ থেকে ৩৫বছরের মধ্যে হবে।
ওসি জানান, নিহতদের একজনের পরনে প্যান্ট ও শার্ট এবং অপরজনের প্যান্ট ও গেঞ্জি ছিল। যে জায়গায় লাশগুলো পাওয়া গেছে ওই জায়গার আশপাশে কোনো বাড়িঘর নেই। দেখে মনে হয়েছে লাশ দুটো কয়েকদিন আগের। কীভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে তা বোঝা যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। পুলিশ বাদি হয়ে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আমাদের আড়াইহাজার (নারায়নগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আড়াইহাজার উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাঁচরুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে চারটি ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল ভোরে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি তাজা গুলি, দুটি দেশীয় পিস্তল ও একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। নিহত চারজনের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম লুৎফর রহমান মোল্লা (৩৭)। ঢাকার রামপুরার ওয়াপদা রোড পাওয়ার হাউসের পেছনে তার বাসা। লুৎফরের বাবার নাম মনসুর মোল্লা।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, পাঁচরুখী এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তাদের লাশ পড়ে ছিল। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশগুলো উদ্ধার করে। প্রথমে ধারণা করা হচ্ছিল, তারা গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। পরে বোঝা যায় চার যুবকের মাথা থেতলানো ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দুদল সন্ত্রাসী গ্রæপের দ্বন্ধে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। নিহত যুবকদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
আড়াইহাজার থানার ওসি এম এ হক জানান, ধারণা করা হচ্ছে অন্য কোথায় থেকে মেরে এখানে ফেলে রাখা হয়েছে। মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত না করে এ বিষয়ে নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না। নিহতের ৪ জনের মধ্যে ১জনের লুঙ্গি পড়া। বাকী ৩ জনের পড়নে ছিল প্যান্ট ও শার্ট ।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার গভীর রাতে আমরা গুলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়েছি। এ ঘটনায় অনেকের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাহমুদ জানান, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি শত শত উৎসুক জনতা লাশ দেখতে ভিড় জামায়। তবে নিহতের কেউ স্থানীয় না এটা নিশ্চিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।