Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঝিনাইগাতীতে সবজির বাম্পার ফলনের আশা

এস.কে সাত্তার, ঝিনাইগাতী (শেরপুর) থেকে : | প্রকাশের সময় : ১৮ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

ঝিনাইগাতীতে এবার শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। গারো পাহাড়ি এলাকাসহ ভাটি এলাকার বিলপাড়ের মাঠজুড়ে শীতকালীন সবজি শিম, লাউ, টমেেেটা, করলা, মিষ্টি কুমড়া, চিচিঙা, ঝিঙে, বরবটি,কদু, ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ বিভিন্ন সবজির ভাল ফলন এবং উপযুক্ত দাম পেয়ে কৃষক বেজায় খুশি। কৃষকরা গত বছর সবজির আবাদ করে ভাল দাম পাওয়ায় এবার আরো বেশী জমিতে শীতকালীন সবজির চাষ করেছেন।
মৌসুমের শুরুতেই সবজি বিক্রি করতে পারায় খরচ পুষিয়ে গত বছরের চেয়েও বেশী টাকা আয় করছেন। এখানকার জমি সবজি চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় কৃষকরা বিভিন্ন সবজির চাষ করে সাফল্য অর্জন করেছেন। সবজির চাষের মাধ্যমে অনেকেই ভাগ্য বদল করে হয়ে উঠছেন স্বাবলম্বী। মৌসুমে শীতের শাক-সবজিতে যেমন বাজার ভরে যায়, তেমনই দামও আস্তে আস্তে কমতে থাকে। এবার দাম কমছে না। গারো পাহাড়ি এবং বিলপাড় এলাকার সবজি কয়েক বছর ধরেই শেরপুর জেলাসহ ঢাকা এমন কি বাইরের অনেক জেলায় সবজির জোগান দিচ্ছে। এবার এখানকার কৃষকরা সবজির আবাদ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন। দামও পাচ্ছেন ভালই। এবারও এই ভর মৌসুমেও ভাল দাম পেয়ে কৃষক দারুন খুশি। ফলে দিনকে দিন বাড়ছে সবজির আবাদ।
সরেজমিন সবজি গ্রাম সন্ধাকুড়া, গারোকুনা, হলদিগ্রাম, জারুনতলা, মানিককুড়া ইত্যাদি গ্রামে এবং বিলপাড়ের গ্রামসমূহে গিয়ে দেখা যায়, শীতকালিন সবজির আবাদে ভরে গেছে এ সব গ্রাম। প্রায় প্রতিটি বাড়ির আঙিনায়তো বটেই উঁচু পাহাড়ি এবং বিলপাড়ের জমিতে রকমারি শীতকালীন সবজিতে ভরে গেছে মাঠের পর মাঠ। কৃষক-কৃষানীরাও অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন সবজি ক্ষেত পরিচর্যায়। ঠান্ডা ও কুয়াশার দাপট না থাকায় এবার আবাদও ভালই হয়েছে বলে জানান কৃষকরা এবং এ জন্যই স্থানীয় কৃষি বিভাগ দুশ্চিতামুক্ত রয়েছে বলে জানান কৃষি বিভাগ। সবজী এলাকা সারিকালিনগর, দড়িকালিনগর, বালুরচড়, লল্কেশ্বর, সূরিহারাসহ গোটা গারো পাহাড়জুড়েই ফলন বিপর্যয়ের শ²া কেটে গেছে। সেই কারণেই অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন শীতকালীন সবজি চাষিরা। ইতিমধ্যেই শীতের সবজিতে বাজার এখন বলতে গেলে ঠাঁসা। তবে পাইকারী ও খুচরা বাজারে দামের অনেক ফারাক হলেও কৃষক সন্তষ্ট এ কারণে যে, এবার অন্তত. ভাল দাম পাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই বিক্রিও শুরু হয়ে গেছে পুরোদমে। উপজেলা কৃষি অফিসার জানান, তিনি নিজেতো খোঁজ-খবর রাখছেনই পাশাপাশি বলতে গেলে কৃষি বিভাগের লোকজন সর্বক্ষণ তদারকি করছে। ছুটে চলেছেন কৃষকদের ঘরে ঘরে।
প্রতিদিন টাটকা শাক-সবজি আর তরিতরকারী ট্রাকযোগে চলে যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের অন্যত্র। এখানকার শাক-সবজি ও তরিতরকারী সুস্বাদু হওয়ায় ইতিমধ্যেই কদরও বেড়ে গেছে অনেক। তারা আরো জানান, সবজির আবাদ অত্যন্ত ব্যয়বহুল। জমি চাষ থেকে শুরু করে মাদা তৈরি, বীজ বপন, নিড়ানী, প্রকার ভেদে মাচা তৈরি, অতিরিক্ত মূল্যে সার, সেচ ও কীটনাশক ব্যবহার সহ প্রচুর খরচ হয় শাক-সবজির আবাদে। তার পর অমানসিক পরিশ্রমতো আছেই। তবে আগাম শাক-সবজি বিক্রিতে দাম পাওয়া যায় আরো ভাল। তবে কৃষি বিভাগ এখন ভালই তদারকিও সাহায্য-সহযোগীতা করে চলেছে। খোঁজ খবর ও নিচ্ছে। চলতি মৌসুমে ৯৫০ হেক্টর জমিতে শাক-সবজীর আবাদ করা হয়েছে। আগাম সবজি চাষ করে ভাল দাম পেয়ে কৃষকরা সবজি চাষে অনেক আগ্রহী হয়ে ওঠছে বলে জানান কৃষি অফিসার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফলন

২৮ জানুয়ারি, ২০২৩
২৬ নভেম্বর, ২০২২
৬ ডিসেম্বর, ২০২১
৩০ নভেম্বর, ২০২১
১৩ অক্টোবর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ