ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা, সংস্কৃতি, রাষ্ট্র, সমাজ ও রাজনৈতিক আন্দোলনের সূতিকাগার। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং একাত্তরের স্বাধীনতা অর্জন থেকে শুরু করে নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ গণতান্ত্রিক, জাতীয় মুক্তি ও স্বাধিকার আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থী। আর যুগ যুগ ধরে সেই অকুতোভয় সৈনিকদের নেতৃত্ব দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু।
কালের আবর্তে আজ তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। দ্বিতীয় সংসদ হিসেবে পরিচিত ডাকসু এখন ঐতিহ্যের কঙ্কাল। সেই গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের ধারক-বাহক ডাকসু গত ২০ বছর ধরে অকার্যকর হয়ে আছে। চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি ২০১৮ ডাকসু নির্বাচন ৬ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। প্রতিবছর ডাকসু নির্বাচনের কথা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্র সংগঠনগুলোর সদিচ্ছার অভাবে হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে সুস্থধারার রাজীতির জন্য ডাকসুর বিকল্প নেই।
ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে ইশা ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ ফজলুল করীম মারুফ-এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান-এর সাথে গতকাল সৌজন্য সাক্ষাত করেন। এ সময় ডাকসু নির্বাচনে সব ছাত্র সংগঠনের অংশগ্রহণ যাতে সুনিশ্চিৎ করা হয় এবং ক্যাম্পাসে সকল ছাত্র সংগঠনের সহ-অবস্থানের পরিবেশ তৈরির দাবী জানান ইশা ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। উল্লেখ্য সম্প্রতি ডাকসু নির্বাচনের আলোচনা শুরু হলে তাতে পূর্ণাঙ্গ প্যানেলে প্রতিদ্ব›িদ্বতার ঘোষণা দেয় ইশা ছাত্র আন্দোলন। এ লক্ষ্যে ঢাবি শাখার বিভিন্ন হল কমিটি পুনর্গঠন শুরু হয়েছে। এ ছাড়া সমমনা কয়েকটি ছাত্র সংগঠনকে নিয়ে বৈঠকও করেছে।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল এম. হাছিবুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ আল আমিন, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রিয়াদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি ওমর ফারুক তাওহীদ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মাদ মাহমুদুল হাসান।