পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্রগুলোর সম্পাদকদের পালিত মানববন্ধন কর্মসূচি সাড়া ফেলেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও। সংসদের আগামী অধিবেশনেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশোধনী আনার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে করা এই মানববন্ধনের সংবাদ প্রচার করেছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বেশ কয়েকটি সংবাদ সংস্থা ও অনলাইন সংবাদ মাধ্যম।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি দিয়েছে, বাংলাদেশ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন: ঢাকার রাস্তায় সম্পাদকদের নজিরবিহীন মানববন্ধন।
বিবিসির কাদির কল্লোল জানান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সম্পাদক পরিষদের মানববন্ধন কর্মসূচিতে ঢাকা থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্রগুলোর সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদের উনিশ সদস্যের মধ্যে সতের জন এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। কর্মসূচিতে সাত দফা দাবি ঘোষণা করে সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, “আগামী সংসদ অধিবেশনে আইনটি সংশোধন করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও স্বাধীন সাংবাদিকতা নিশ্চিত করা হোক।” সম্পাদক পরিষদের সাত দফার কয়েকটি হলো, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নয়টি ধারা সংশোধন, কোন সংবাদমাধ্যমের কম্পিউটার ব্যবস্থা জব্দ করার ক্ষেত্রে আদালতের আগাম আদেশ নেয়ার বিধান চালু করা, তথ্য অধিকার আইনকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ওপর প্রাধান্য দেয়া ইত্যাদি।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক প্রভাবশালী বার্তা সংস্থা নিউ ইয়র্ক টাইমসে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সংবাদপত্র সম্পাদকদের প্রতিবাদ’ শিরোনাম দিয়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজধানীর দৈনিক সংবাদপত্রগুলোর সম্পাদকরা নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন, যা তাদের মতে বাক-স্বাধীনতা ও সাংবাদ সংস্থাগুলোর স্বাধীনতায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তিন ক্যাবিনেট মন্ত্রী সাংবাদিকদের উদ্বেগ বিবেচনা করার অঙ্গীকার করলেও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ প্রস্তাবটি সাক্ষর করে আইনে পরিণত করেন।
একই শিরোনাম দিয়ে করা প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আরেকটি বার্তা সংস্থা ওয়াশিংটন পোস্ট বলেছে, বাংলাদেশের বেশিরভাগ সাংবাদিকই এই মানববন্ধনের সমর্থন দিয়েছেন। নজিরবিহীন এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুগত কিছু সম্পাদকও যোগ দেন।
স্পেন ভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদ সংস্থা ইএফই এজেন্সির শিরোনাম ছিল, মানববন্ধনের মাধ্যমে বিতর্কিত আইনের প্রতিবাদ বাংলাদেশী সাংবাদিকদের।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম দা রিপাবলিকও ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সংবাদপত্র সম্পাদকদের প্রতিবাদ’ শিরোনাম দেয়। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্পাদকরা ভুল কিংবা মিথ্যা তথ্য দেয়া হলে তার বিচার ও শাস্তি দেয়ার জন্য একটি শক্তিশালী প্রেস কাউন্সিল গঠন করার দাবি করেন।
কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম গালফ টাইমস ‘সংবাদ মাধ্যম বিরোধী আইনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সম্পাদকদের প্রতিবাদ’ শিরোনামে দেয়া প্রতিবেদনে জানায়, নতুন চালু হওয়া একটি ডিজিটাল আইনে কিছু ধারা বিলুপ্তির দাবিতে সোমবার বাংলাদেশের সংবাদপত্র সম্পাদকরা প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করে। সাংবাদিক ও অধিকার সচেতনদের মতে এই আইন ভাব প্রকাশের স্বাধীনতায় আঘাত করবে।
ইউরোপ ভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদ সংস্থা নিউজ ফোর ইউরোপ তাদের প্রতিবেদনে শিরোনাম দিয়েছে, মানববন্ধনের মাধ্যমে বিতর্কিত আইনের প্রতিবাদ বাংলাদেশী সাংবাদিকদের।
কানাডা ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম অটোয়া সিটিজেন শিরোনাম দেয়, বাংলাদেশের সংবাদপত্রগুলোর সম্পাদকরা বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাক-স্বাধীনতার পরিপন্থী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।