পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৯টি ধারা সংশোধনের দাবিতে আজ মানববন্ধন করবে সম্পাদক পরিষদ। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকাল ১১টায় এ মানববন্ধন কর্মসূচী শুরু হবে। এতে শুধু সম্পাদক পরিষদের সদস্যরাই অংশ নেবেন।
সম্পাদক পরিষদ গত ১৩ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচী ঘোষনা করে। সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ অনাম বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন স্বাধীন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে গভীর সংকটের সৃষ্টি করবে। তাই এ আইনকে সহজভাবে নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। আমরা আইনটি বাতিল চাইনি। কতগুলো বিশেষ ধারার আমূল পরিবর্তন চেয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি এ আইনের পরিবর্তন সম্ভব। আশা করি, ওই ধারাগুলো সংশোধন করে আইনটি সংশোধন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাধীন সাংবাধিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সুরক্ষার লক্ষ্যে সম্পাদক পরিষদ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৯টি ধারার সংশোধন দাবি করেছে। তারা বলছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৩ ধারাগুলো স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। সম্পাদক পরিষদ কয়েক দিনের মধ্যে শুরু হতে যাওয়া বর্তমান সংসদের শেষ অধিবেশনে এই ধারাগুলো সংশোধনের দাবি জানিয়েছে।
সম্পাদক পরিষদের মানববন্ধন কর্মসূচি হওয়ার কথা ছিল গত ২৯ সেপ্টেম্বর। সে সময় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এই কর্মসূচি স্থগিত করে সম্পাদক পরিষদকে আলোচনায় অংশ নেওয়ার অনুরোধ জানান। এরপর তথ্যমন্ত্রীসহ সরকারের তিন মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে আলোচনা করেন। ওই আলোচনায় তিন মন্ত্রীর পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ মন্ত্রিসভার বৈঠকে তোলা হবে এবং মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেলে এ নিয়ে আরও আলোচনা করা হবে। কিন্তু গত দুটি মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে সম্পাদক পরিষদ তাদের বক্তব্যে বলেন, পরিষদের মৌলিক আপত্তি, বারবার প্রতিবাদ সরকারের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সঙ্গে দুবার বৈঠক সত্তে¡ও মুক্ত সংবাদমাধ্যম, বাকস্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থি কালাকানুন ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টকে (ডিএসএ) আইনে পরিণত করায় তারা হতাশ, ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত।
তারা বলেন, তিন মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর গণমাধ্যমবিষয়ক উপদেষ্টা প্রকাশ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, পরিষদের উদ্বেগের বিষয়গুলো মন্ত্রী সভায় উত্থাপন করা হবে এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রহণযোগ্য পরিবর্তন-পরিমার্জনার লক্ষ্যে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করা হবে। কিন্তু এসবের কিছুই করা হলো না। সম্পাদক পরিষদকে তিনমন্ত্রী যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তারা মনে করেন এটি সেই প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।