নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে রেকর্ড ব্যবধানে হারায় ভারত। দ্বিতীয় ম্যাচেও করুণ পরাজয়ের হাত থেকে রক্ষা পায়নি ক্যারিবীয়রা। এবারো তারা হেরেছে তৃতীয় দিনে। হারটাও দশ উইকেটের। উইকেটের ব্যবধানে যা উইন্ডিজের বিপক্ষে ভারতের সবচেয়ে বড় জয়। সাকুল্যে ছয় দিনেরও কম সময়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিলো বিরাট কোহলির দল। ঘরের মাঠে এটি তাদের টানা দশম সিরিজ জয়।
তবে রেকর্ড বা সিরিজ জয় নয়, ভারতীয়রা হয়ত সিরিজটাকে মনে রাখবেন একজন পৃথ্বী শ’য়ের কারণে। মাত্র ১৮ বছর বয়সে ভারতীয় দলে অভিষেক হয়েছে এই বিষ্ময় ব্যাটসম্যানের। অভিষেকেই সেঞ্চুরি করে বেশ কিছু রেকর্ডও গড়ে আসেন আলোচনায়। সর্বোচ্চ ২৩৭ রান করে হয়েছেন অভিষেকেই সিরিজ সেরা। এ থেকেই বোঝা যায়, কেন তাকে আগামীর টেন্ডুলকার মনে করছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা।
সে যাই হোক, হায়দরাবাদ টেস্টও মাত্র তিন দিনে শেষ হওয়া কিছুটা বিষ্ময়করই বটে। ম্যাচ শেষে কোহলিও তা স্বীকারও করেছেন, ‘পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু তিনদিনেই ম্যাচ শেষ হবে এমন পরিকল্পনা ছিল না।’ আসলে এর পুরো অবদান বোলারদের। প্রথম দুই দিনে উইকেট পড়ে ১৪টি। গতকাল তৃতীয় দিনে পড়েছে ১৬ উইকেট! ৩০৮ রান ও হাতে ৬ উইকেট নিয়ে খেলতে নামা ভারত প্রথম সেশনেই গুটিয়ে যায় ৩৬৭ রানে। সম্ভাবনা জাগিয়েও সেঞ্চুরি করতে পারেননি আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান আজিঙ্কে রাহানে (৮০) ও ঋষব পন্ত (৯২)।
৫৬ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটে নেমে মাঝের সেশনে ৬ উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা। শেষ সেশনে যখন জেসন হোল্ডারের দল ১২৭ রানে গুটিয়ে যায় দিনের খেলা তখনও প্রায় ২০ ওভার বাকি। তখনই আন্দাজ হয়ে যায় জয়ের জন্য প্রায়োজনীয় ৭২ রান আজই করে ফেলতে পারে ভারত। পৃথ্বী ও লোকেশ রাহুলের অপরাজিত ইনিংসে তা হয়েও যায় ১৬.১ ওভারে। এসময় দুজনেই অপরাজিত ছিলেন ৩৩ রানে। দেবেন্দ্র বিশুকে বাউন্ডারি ছাড়া করে জয়সূচক রান নেন শ।
প্রথম দিনের দ্বিতীয় ওভারেই কুঁচকির চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন অভিষিক্ত শার্দল ঠাকুর। তবে তার অভাব বুঝতে দেননি আরেক পেসার উমেশ যাদব। প্রথম ইনিংসে নেন ৬ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে চারটি নিয়ে তৃতীয় ভারতীয় হিসেবে দেশের মাটিতে ১০ বা ততোধিক উইকেটের কোটা পূর্ণ করেন উমেশ। এর মধ্যে দুইবার ছিলেন হ্যাটট্রিকের সামনে। গত এক দশকে তার হাত ধরে মাত্র চতুর্থবারের মত ম্যাচসেরাও হলো কোন ভারতীয় পেসার। কার্যকর ছিল জাদেজা-আশ্বিনদের স্পিনও। জাদেজা এ যাত্রায় নেন তিনটি, দুটি আশ্বিন। তাদের মিলিত আক্রমণের সামনে কিছুটা প্রতিরোধ গড়তে পারেন কেবল সুনিল আমব্রিস (৩৮)। আর কেউ-ই ত্রিশের ইনিংস খেলতে পারেননি।
হায়দরাবাদ টেস্ট
ভারত : ৩৬৭ (পন্ত ৯২, রাহানে ৮০, শ ৭০; হোল্ডার ৫-৫৬) ও ৭৫/০ (শ ৩৩, রাহুল ৩৩)।
উইন্ডিজ : ৩১১ চেইজ ১০৬, হোল্ডোর ৫২; উমেশ ৬/৮৮) ও ১২৭ (আমব্রিস ৩৮, হোপ ২৮; উমেশ ৪/৪৫)।
ফল : ভারত ১০ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ : ২ ম্যাচ সিরিজে ভারত ২-০ তে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : উমেশ যাবদ।
সিরিজ সেরা : পৃথ্বী শ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।