যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা গিয়াস আহমেদ, জিল্লুর রহমান জিল্লু ও মিজানুর রহমান মিল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য পদে যুক্ত হলেন
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির তিন নেতাকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগ প্রাপ্তরা হলেন
আরব আমিরাতে দীর্ঘ ৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে নতুন নিয়োগ ও ট্রান্সফার ভিসা বন্ধ থাকায় দেশটিতে অন্যান্য দেশের নাগরিকদের মতো বাংলাদেশীরাও আবাসন আইন লংঘন করে অবৈধভাবে বসবাস করে আসছিল দীর্ঘ দিন ধরে। ফলে গত ১লা আগষ্ট থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত আরব আমিরাত সরকারের তিন মাসব্যাপী সাধারণ ক্ষমা ঘোষণায় অবৈধদের বৈধ হওয়ার অথবা আউট পাস নিয়ে দেশে ফিরে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়ায় এই সাধারণ ক্ষমা হয়ে উঠেছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে।
এবারের ক্ষমা ঘোষণার এই সুযোগটি কোনোভাবেই হাতছাড়া করতে চান না দেশটিতে অবৈধভাবে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ফলে ক্ষমা ঘোষণার দিন যতই কমে আসছে তাতে প্রতিদিন আবুধাবী বাংলাদেশ দূতাবাস ও দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটে বৈধতা লাভে নতুন পাসপোর্ট ও আউট পাস সংগ্রহ করতে আসা হাজারো লোকের উপস্থিতি ঘটছে। যা সামাল দিতে এখন প্রচন্ড হিমশিমও খেতে হচ্ছে দূতাবাস ও কনস্যুলেটের কর্মকর্তাদের।
জানা গেছে, আবুধাবি বাংলাদেশ দূতাবাস ও দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেট থেকে অবৈধদের বৈধতা লাভের সুবিধায় পাসপোর্ট দেয়ার ক্ষেত্রে ৫৫ হাজার ৮শ’৪১ জনের পাসপোর্ট নথিভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দূতাবাসে প্রায় ২৫ হাজার এবং কনস্যুলেটে মেশিন রেডিবল ও হাতে লেখা পাসপোর্টসহ প্রায় ৩০হাজার ৮শ’ ৪১ জনের পাসপোর্ট নথিভুক্ত করা হয়। পাশাপাশি দূতাবাসে প্রায় ১০ হাজার এবং কনস্যুলেটে ৬ হাজার ৭শ’ ১৫ জনের আউট পাস ইস্যু করা হয়। আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশর রাষ্ট্রদূত ডা. মোহাম্মদ ইমরান বলেন, এবারের অ্যামেনেষ্টি অন্যান্যবারের মতো নয়। কারণ অন্যান্যবার আউটপাস নিয়ে আমিরাত ত্যাগ করতে বলা হলেও এবার আমিরাত সরকার প্রবাসীদের ভিসা নিয়ে বৈধ হবার সুযোগ করে দিয়েছে। তাই এবার দূতাবাসে ও কনস্যুলেটে চাপটা একটু বেশি। তবে বৈধ হওয়ার এ সুযোগ কাজে লাগাতে আমরা অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের সহজে পাসপোর্ট দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে পাসপোর্ট আবেদনকারীদের অনেক কাগজ-পত্র শিথিল করেছি। এতে করে আমি মনে করি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবো। দুবাই ও উত্তর আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল এস. বদিরুজ্জামান বলেন, প্রথমদিকে জনবল কম থাকায় কনস্যুলেটে সেবা প্রদানে কিছুটা সমস্যা হলেও পরবর্তীতে তা স্বাভাবিক হয়ে আসে। তিনি বলেন, কনস্যুলেটের সার্বিক তত্বাবধানে আমার সহকর্মীবৃন্দ, সাংবাদিক ও কমিউনিটির নেতৃবৃন্দের অক্লান্ত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বর্তমানে সেবা গ্রহণকারীদের সন্তোষজনক পর্যায়ে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লক্ষ্য অর্জন করতে পারবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। তবে সাধারণ ক্ষমাকালীন সময়ে সুশৃঙ্খলার সাথে কাজ সমাপ্ত করতে পারেন সে জন্য সকলের সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।
এ ব্যাপারে দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটের প্রথম সচিব (পাসপোর্ট) নূর-এ-মাহবুবা জয়া বলেন, পাসপোর্ট সংগ্রহকারীদেরসহ বিভিন্ন কাজের চাপ থাকা সত্বেও আমরা নির্ধারিত সময় ছাড়াও পাসপোর্ট সেবার জন্য অতিরিক্ত সময়ে কাজ করে যাচ্ছি। এই অতিরিক্ত সেবা দেয়ার কারণে ইতোমধ্যে আমরা সন্তোষজনক একটি পরিসংখানও তৈরি করতে পেরেছি। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পাসপোর্ট সংগ্রহ করে ভিসা লাগিয়ে বৈধতা লাভ করতে পারলেই স্বার্থকতা হবে বলে মনে করেন তিনি।
প্রবাস জীবন বিভাগে সংবাদ পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।