পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কাতারে তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান তালেবান গ্রুপের কর্মকর্তারা। শুক্রবার দোহায় অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে তালেবানদের দুই প্রতিনিধি ও মার্কিন দূত জামাল খালিলজাদ আফগানিস্তানে ১৭ বছরের যুদ্ধ শেষ করার শর্ত নিয়ে আলোচনা করেছেন। তালেবানের এক কর্মকর্তা বলেন, দোহায় আমাদের নেতাদের সঙ্গে মার্কিন ছয় প্রতিনিধির বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে সেনা প্রত্যাহারসহ আমাদের সব শর্তে তারা সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। তবে এটি একটি প্রাথমিক বৈঠক মাত্র। আমরা আশা করছি নিকট-ভবিষ্যতে আরও সফল আলোচনা হবে, বলেন ওই তালেবান কর্মকর্তা। গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তালেবানদের বিরুদ্ধে নতুন কৌশল হিসেবে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা বৃদ্ধি করেন। বর্তমানে আফগানিস্তানে প্রায় ১৪ হাজার মার্কিন সৈন্য রয়েছে। তালেবানরা এর আগেও বলেছে, দেশে বিদেশি সেনাদের অবস্থান আফগানিস্তানে শান্তির জন্য সবচেয়ে বড় বাধা। রয়টার্সের খবরে বলা হয়, আফগানিস্তানে শান্তি আলোচনা প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র নিযুক্ত বিশেষ দূতের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছে তালেবান। শুক্রবার মার্কিন দূত জালমায় খালিজাদের সঙ্গে দেখা করেন তালেবান কর্মকর্তারা। নাইন ইলেভেনের হামলার পর ২০০১ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের নির্দেশে আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযান শুরু হয়। কিন্তু ১৭ বছরেও তারা লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৪ সালে আফগান তালেবানের বিরুদ্ধে ওই যুদ্ধ শেষ হলেও যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনী এখনও সেখানে রয়ে গেছে। মার্কিন কর্তৃপক্ষের দাবি আফগান সেনাদের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে তাদের সেনারা। তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানান, আফগানিস্তানে ইস্যুতে দুই পক্ষই শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজছি। ভবিষ্যতেও এমন আলোচনায় অংশ নিতে আমরা প্রস্তুত। আল-জাজিরা, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।