পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিকল্পধারার চেয়ারম্যান সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, দেশের জনগণকে ধোঁয়াশায় রেখে বিএনপির সঙ্গে বিকল্পধারা আর কোনো বৈঠকের সুযোগ দেবে না। বিএনপিকে এককভাবে ক্ষমতায় বসানোর ঐক্যে বিকল্পধারা নেই। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট- এর সঙ্গে সম্পর্কছেদ করার ঘোষণা দিয়ে তিনি আরো বলেন, বিকল্পধারার দুটি শর্ত পূরণ হলেই ঐক্য প্রক্রিয়ায় যুক্ত হবে বিকল্পধারা। প্রথমত যুদ্ধাপরাধী-স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে কোনও ঐক্য প্রক্রিয়ায় আমরা যুক্ত হবো না। দ্বিতীয়ত আমরা ভারসাম্যের রাজনীতি চাই। কোনও একক দলের আধিপত্য চাই না। এ দুটি বিষয়ে আমরা বিএনপির সঙ্গে একমত হতে পারিনি। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বারিধারায় নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মেজর (অব) আবদুল মান্নান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী. কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুব আলী, ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, হাফিজুর রহমান ঝান্টু, ওবায়েদুর রহমান মৃধা, আসাদুজ্জামান বাচ্চু ও বিএম নিজাম প্রমূখ।
সাবেক প্রেসিডেন্ট বি চৌধুরী বলেন, ড. কামাল হোসেন প্রথমে গণফোরাম নিয়ে পরে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া নিয়ে আমাদের সঙ্গে আসতে চান বলে যখন জানালেন আমরা আনন্দিত হলাম। বিএনপির প্রস্তাব যখন আসল, বিএনপির মহাসচিব এক বছরের বেশি আগে থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। নিজেও আমাদের সঙ্গে ৫/৬ বার দেখা করেছেন। বিএনপিকে দুটো শর্ত দিয়েছিলেন বলে জানিয়ে বি চৌধুরী বলেন, আমি বলতাম, আমাদের দুটি ব্যাপার আছে- আমরা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তি, কেবল তাদের সঙ্গে ঐক্য করতে পারি। দুই নম্বর, বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক ধারা আনতে হলে সরকারের স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব) আবদুল মান্নান বলেন, ‘আজকের (১৩ অক্টোবর) পর থেকে জাতীয় ঐক্যের নামে বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে বসে জাতিকে বিভ্রান্ত করার কোনও সুযোগ বিকল্পধারা দেবে না। স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গ ত্যাগ করে জাতীয় সংসদে ভারসাম্যের ভিত্তিতে স্বেচ্ছাচারমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ব্যাপারে কোনও সুস্পষ্ট ঘোষণা বিএনপির পক্ষ থেকে না আসা পর্যন্ত শুধুমাত্র বিএনপিকে এককভাবে ক্ষমতায় বসানোর জন্য বিকল্পধারা দেশে কোনও চক্রান্তের সঙ্গে সস্পৃক্ত হবে না। ১২ অক্টোবর আ স ম আবদুর রবের বাসায় অনুষ্ঠিত বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৩ অক্টোবর বিকাল সাড়ে ৩টায় গণফোরাম নেতা মোস্তফা মহসিন মন্টু, ড. কামাল হোসেনের পক্ষে যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে ড. কামাল হোসেনের বেইলি রোডের বাসায় বৈঠকে বসার জন্য আমন্ত্রণ জানান। বি চৌধুরী বিকাল সাড়ে ৩টায় ড. কামাল হোসেনের বাসায় পৌঁছান। কিন্তু ড. কামাল তখন বাড়িতে ছিলেন না এবং তার বাড়ির দরজা খোলার জন্য কোনও লোকও ছিল না। এটা শিষ্টাচারের কোন পর্যায়ে পড়ে তা সহজেই অনুমেয়। দুটো বিষয় স্পষ্ট হয়ে গেছে। প্রথমত জনগণকে ধোঁয়াশার মধ্যে রেখে স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে পরোক্ষভাবে একটি ঐক্য গড়ে তোলার অপচেষ্টা। দ্বিতীয়ত নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে বিকল্পধারার অনঢ় অবস্থানকে বিবেচনায় রেখে একটি চক্রের জাতির প্রত্যাশিত ও স্বপ্নের জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়াকে বিনষ্ট করা। কারা এই ঐক্যকে বিনষ্ট করতে চায় এটা জাতির সামনে পরিষ্কার। মাহি বি চৌধুরী বলেন, ঐক্য করতে আমরা চেয়েছিলাম, কিন্তু বারবার বাধা এসেছে। আমাদের পাশ কাটিয়েই নানা সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছিল। গত ২২ সেপ্টেম্বর মহানগর নাট্য মঞ্চে যে যৌথ ঘোষণা দেয়া হয় সেটা আমরা আগে জানতাম না। আমাদের না জানিয়েই ৭ অক্টোবর মানববন্ধনের ঘোষণা দেওয়া হয়। ৯ অক্টোবর রবের বাসায় ঐক্য প্রক্রিয়ার বৈঠকে একটি ‘অনাকাঙ্খিত’ ঘটনা ঘটার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারপরও ‘ঐক্যের খাতিরে’ আমরা সব মেনে নিয়েছিলাম। শুক্রবার রবের বাড়িতে বৈঠকে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার ৭ দফা ঘোষণার কথা প্রথম জেনে আমরা বলেছিলাম এ বিষয়ে বি চৌধুরী ও কামাল হোসেনের আলোচনার মাধ্যমে তা চূড়ান্ত করতে হবে।
এদিকে বি. চৌধুরী না এলেও বিকল্পধারার সহসভাপতি শাহ আলম বাদল ও কৃষিবিষয়ক সম্পাদক জানে আলম হাওলাদার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগদান করেছেন। তাদের এই যোগদানের কারণে দলের গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ ৫ এর ৫: ২ গ ধারায় শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা অনুযায়ী তাদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলের সব পদ স্থগিত করা হয়। জানা যায়, বি চৌধুরী ও মাহী বি চৌধুরীর বিরুদ্ধে ‘পিতা-পুত্রের সুবিধাবাদী রাজনীতির’ অভিযোগ তুলে শাহ আলম বাদলের নেতৃত্বে বিকল্পধারার কেন্দ্রীয় কমিটির একটি অংশ জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। উল্লেখ, ২০০৬ সালে বি চৌধুরী বিকল্পধারা বিলুপ্ত করে কর্নেল (অব) অলি আহমদসহ যৌথ নেতৃত্বে এলডিপি গঠন করেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি পুনরায় বিকল্পধারা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।