Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গণতন্ত্রের সপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

আলোচনা সভায় বি. চৌধুরী

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

বিকল্পধারার সভাপতি সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, জনগণের ভোটাধিকার আদায়ে গণতন্ত্রের সপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এই অনির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে সবাইকে জেগে উঠতে হবে। ছলচাতুরীর নির্বাচন হলে বাংলাদেশের গণতন্ত্র চিরতরে শেষ হয়ে যাবে।
এবারের সংগ্রাম হবে মানুষের অধিকারের সংগ্রাম। সবাইকে প্রতিবাদ করতে হবে। প্রহসনের নির্বাচন আমরা মানব না। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা এটাই হচ্ছে এবারের একমাত্র সংগ্রাম। রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশে (আইডিইবি) গতকাল বাংলাদেশ মুসলিম লীগের নবম জাতীয় কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বি চৌধুরী বলেন, ২০১৪ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচন করে প্রধানমন্ত্রী সবার অংশগ্রহণের পুনরায় ভোটের ওয়াদা করে তা বরখেলাপ করেছেন। পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট বলা আছে, ওয়াদার বরখেলাপকারী মমিন মুত্তাকি হতে পারে না।
মুসলিম লীগের উদ্দেশে বি চৌধুরী বলেন, রাজনীতিতে মুসলিম লীগের গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। অনেকেরই প্রাথমিক শিক্ষা ছিল মুসলিম লীগ। আপনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা বলেন, উনি মুসলিম লীগ ছিলেন। তারপর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মুসলিম লীগ ছিলেন, শেরে বাংলা ফজলুল হক মুসলিম লীগ ছিলেন। আমার বাবা মুসলিম লীগ ছিলেন। তার মানে, যারা সংগঠন করেছেন, তারা কোনো না কোনো পর্যায়ে মুসলিম লীগ ছিলেন। এরপর রাজনীতি পট পরিবর্তন হল, সেই প্রক্রিয়ায় মুসলিম লীগ পিছিয়ে পড়ল। তাই বলবো বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মুসলিম লীগকে রাজনীতি করতে হবে।
বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, দেশ এখন দুটি জোটে বিভক্ত। কিন্তু যে জোটই ক্ষমতায় থাকে দখলের রাজনীতির পরিবর্তন হয় না। আধিপত্যবাদী আগ্রাসন থেকে দেশরক্ষা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা ও অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে এ কাউন্সিল থেকে নয়টি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। প্রস্তাবে সংসদ ভেঙ্গে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ অভিন্ন ৫৪টি নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা সরকারকে নিশ্চিত করার দাবী তুলে ধরা হয়। কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে এডভোকেট বদরুদ্দোজা সুজাকে সভাপতি এবং কাজী আবুল খায়েরকে মহাসচিবকে নির্বাচিত করা হয়।
দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বদরুদ্দোজা সুজার সভাপতিত্বে বিভিন্ন জেলার নেতৃবৃন্দসহ আরও বক্তব্য রাখেন নেজামে ইসলাম পার্টির প্রেসিডেন্ট মুফতি ইজাহারুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির শাহ আতাউল্লাহ, এনডিএম’র সভাপতি ববি হাজ্জাজ, মুসলিম লীগের নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুল ইসলাম প্রমুখ।#



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বি. চৌধুরী

২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ