পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রধান সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, দেশ আজ চরম স্বৈরাচার ও স্বেচ্ছাচারের কবলে পড়েছে। এই স্বেচ্ছাচারের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হলে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। তরুণরাই পারবে অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে একটি শান্তি সুখের বাংলাদেশ গড়তে। গতকাল গুলশানের এক ক্লাবে বিকল্পধারার সহযোগী সংগঠন প্রজন্ম বাংলাদেশ’র ‘রাজনৈতিক আন্দোলনে অহিংস কর্মসূচি’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক বি. চৌধুরী বলেন, আমি তরুণদের নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী। বিশ্বে যত বড় বড় কল্যাণকর কাজ হয়েছে সব তরুণদের হাত ধরে হয়েছে। আমাদেও ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা আন্দোলন সব তরুণদের হাত ধওে হয়েছে। বর্তমানেও কোটা বিরোধী আন্দোলন করেছে তরুণরা, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোল করেছে ১৪/১৫ বছরের কিশোররা। স্কুলের ছোট ছোট ছেলে মেয়ে রাজপথে দাঁিড়য়ে যখন বলেছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিজ’ তখন সারা বাংলাদেশ তাদেও পাশে দাঁড়িয়ে যায়। সারাবিশ্ব অবাক বিষ্ময়ে তা তাকিয়ে দেখেছে। তাদের এ আন্দোল ছিল সম্পূর্ণ অহিংস এবং শান্তিপূর্ণ। তারপরও সরকার তাদের উপর পুলিশ দিয়ে লাঠি পেটা করেছে। তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই চরম স্বেচ্ছাচার ও স্বৈরাচারকে আর সহ্য করা যায় না। তরুণরা এগিয়ে আসলে এই স্বেচ্ছাচার সরকারের বিদায় কেউ ঠেকাতে পারবে না। আমার বিশ্বাস ভবিষ্যতে বাংলাদেশে রক্তপাত, জ্বালাও-পোড়াও, হত্যা, গুম, গ্রেফতার, বুলেট, টিয়ার গ্যাসের সহিংস রাজনীতির স্থান দখল করে নিতে পারে অহিংস গণঅভ্যুত্থান।
প্রজন্ম বাংলাদেশের প্রধান বিকল্পধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি. চৌধুরীর পরিচালনায় অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিকল্পধারার ভাইসচেয়ারম্যান মঞ্জুর রাশেদ, যুগ্ম মহাসচিব আবদুর রউফ মান্নান, প্রজন্ম বাংলাদেশের নতুন সদস্য ইঞ্জিনিয়ার কাজী মোঃ মাসুদ আলম প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন বিকল্পধারার কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার মো. ইউসুফ, মাহবুব আলী, ব্যারিষ্টার ওমর ফারুক, প্রমুখ।
যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান বলেন, বিকল্পধারা বাংলাদেশ শুরু থেকেই অহিংস আন্দোলনে বিশ্বাসী। বর্তমান তরুণরা দুর্নীতি মুক্ত অন্যায় অবিচার মুক্ত একটি শান্তি সুখের বাংলাদেশ গঠনের লক্ষে এক নতুন যুদ্ধ শুরু করেছে। এ যদ্ধে কোন রক্তপাত ঘটবে না। তরুণরা কোন রক্তপাত চায় না। তারা তাদের মেধা, শ্রম, ঘাম এবং দেশ প্রেম দিয়ে শান্তি সুখের নতুন বাংলাদেশে গঠন করবে। তাদেও এ পথ চলায় সব সময় সাথে থাকবো। আমি বলতে চাই তরুণ প্রজন্ম তোমরা এগিয়ে যাও। তোমাদেও বিজয় অবশ্যম্ভাবী।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রজন্ম বাংলাদেশের প্রধান মাহি বি চৌধুরীর একটি ভিডিও ক্লিপস প্রদর্শন করা হয়। এই ভিডিওটিতে মূলত সংগঠনটির মূল লক্ষ উদ্দেশ্য তুলে ধরা হয়েছে। তাদের মূল স্লোগান‘ লড়াই করার দিন শেষ/ শান্তি সুখের বাংলাদেশ’ এ বক্তব্য দিয়ে ভিডিওটি শেষ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।