ফেসবুকের ২ কোটি ৯০ লক্ষ ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট থেকে ব্যক্তিগত গোপন তথ্য চুরি হয়ে গিয়েছে। বিশ্বের ইতিহাসে তথ্য-চুরির এই বৃহত্তম ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ৫ কোটি মানুষ। শুক্রবার ফেসবুকের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

ফেসবুকের জানায়, মোট ২ কোটি ৯০ লক্ষ ক্ষতিগ্রস্তের মধ্যে ১ কোটি ৪০ লক্ষের জন্মতারিখ, শিক্ষাগত যোগ্যতার শুরু থেকে শেষ, তাঁদের ধর্ম এই সব তথ্য চুরি হয়েছে। তাদের কর্মক্ষেত্র, ফেসবুক ব্যবহারের মাধ্যম, তারা কোন কোন পেজ খোলেন, কোন কোন পেজে অ্যাকসেস করেছেন, সেই সব তথ্যও চুরি হয়ে গিয়েছে। বাকি দেড় কোটি ক্ষতিগ্রস্তের নাম ও তারা কার কার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন, সেই সব তথ্য চুরি করা হয়েছে।

তবে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, কার কোন ধরনের, কী কী তথ্য চুরি হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্তদের তা অবিলম্বে আলাদা আলাদা ভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।

সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ওই সব তথ্য চুরি হওয়ার ফলে, ক্ষতিগ্রস্তদের আগামী দিনে ‘ফিশিং’ হ্যাকিংয়ে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক গুণ বেড়ে যাবে। তবে তথ্য-চুরির ঘটনার জেরে ফেসবুকের ভাবমূর্তি যে ভাবে ধাক্কা খেয়েছিল, শুক্রবারের ঘোষণায় তা কিছুটা পুনরুদ্ধার হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। শুক্রবার ওয়াল স্ট্রিটে ফেসবুকের শেয়ার-সূচক ০.২৫ শতাংশ বেড়ে যায়। ‘নাসডাক’ সূচক বাড়ে ২.২৯ শতাংশ।

ফেসবুকের ভাইস প্রেসিডেন্ট গাই রোজেন সাংবাদিকদের জানান, “মার্কিন প্রশাসন হানাদারদের দেশ, এলাকা, কর্মক্ষেত্রের যাবতীয় খুঁটিনাটি চেয়েছে। কী উদ্দেশ্যে হানাদাররা ওই তথ্য চুরি করেছে তা স্পষ্ট হয়নি।”

ফেসবুক জানিয়েছে, তাদের তদন্ত শেষ হয়নি। তবে প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বলা যায়, হ্যাকাররা তথ্য চুরির পর ‘হ্যাক’ করা ফেসবুক অ্যাকাউন্টগুলি থেকে তাদের ইচ্ছা মতো কোনও পোস্ট করেনি। সূত্র: সিএনবিসি।