বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
২১ আগস্ট হামলা মামলার রায়কে গুরুত্ব না দিয়ে জাতীয় ঐক্যের আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি জানান, সরকার মনে করেছে এই রায়ের ফলে জাতীয় ঐক্য বাধাগ্রস্ত হবে। আমি বলবো এই রায়কে সম্পূর্ণভাবে অগ্রাহ্য করে, উপেক্ষা করে, কোন গুরুত্ব না দিয়ে জাতীয় ঐক্যের আন্দোলন চলবে। জাতীয় ঐক্যের আন্দোলনের মাধ্যমেই এই সরকারের পতন হবে। গতকাল (শুক্রবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, খুব শিগগিরই আমরা জাতীয় ঐক্যের একটি রূপরেখা দেবো এবং এই আন্দোলনের একটা কাঠামো ঘোষণা করা হবে। জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারের পতনের ব্যবস্থা করবো। এই সরকার বাধ্য হবে সংলাপে আসতে।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনকে খুশি করছে মন্তব্য করে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষদের খুশি করতে নানা সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে সরকার। এমনকি যারা অবসরপ্রাপ্ত, পেনশনের টাকা নিয়ে নিয়েছে তাদের আবারও নতুন করে পেনশন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে যদি কিছু ভোট তারা পায়! এই ভোট পাওয়ার জন্য কওমি মাদরাসাকে স্বীকৃতি দিয়ে দিলো। নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী প্রকল্প দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভোট পাওয়ার জন্য প্রত্যেক দিন তারা প্রকল্প উদ্বোধন করছে। এগুলো হলো নির্বাচনী প্রকল্প, দেশের মানুষকে আকৃষ্ট করার জন্য করছে।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতার দাবি, যাদের আকৃষ্ট করতে সরকার বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করছে তাদের ৮০ ভাগও যদি ভোট দিতে যায়, তারা ক্ষমতাসীনদের আর ভোট দেবে না। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার পর তৎকালীন সরকারকে আওয়ামী লীগ কোনও সহযোগিতা করেনি এমন অভিযোগ করে মওদুদ বলেন, গ্রেনেড হামলার ঘটনায় আমরা খুব মর্মাহত হয়েছি। এ ধরনের ঘটনা আর যেন বাংলাদেশের মাটিতে না ঘটে সেটাই আমাদের কামনা। এ ধরনের ঘটনাকে আমরা ঘৃণা করি। এই মামলায় যিনি সম্পৃক্ত ছিলেন না তাকে আজকে জড়িয়ে দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চায় সরকার। নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার একটাই পথ আছে এখন, সেটা হলো রাজপথ। রাজপথ ছাড়া খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব হবে না। এখন আপনারা প্রস্তুতি নিন, সময় এসে গেছে। মাঠে নেমে এই দাবি আদায় করতে হবে। এসময় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান খান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।