Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শ্রীপুর ডিগ্রি কলেজে নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তে শিক্ষা অধিদপ্তর

স্টাফ রিপোটার মাগুরা থেকে | প্রকাশের সময় : ১২ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

মাগুরার শ্রীপুর ডিগ্রী কলেজে অধ্যক্ষ পদে আবেদনের অযোগ্য ব্যাক্তি ৮ বছর অধ্যক্ষ পদে বহাল। নিয়োগে চরম অনিয়ম আর কলেজের বিভিন্ন দূর্নীতির তদন্তে শিক্ষা অধিদপ্তরের খুলনা আঞ্চলিক পরিচালকের নেতৃত্বে কমিটি গঠন। তদন্ত কমিটি সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের মহা পরিচালক এর নির্দেশে ইতিমধ্যে তদন্ত কাজ শুরু করেছেন। শ্রীপুর ডিগ্রী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত তিন শিক্ষকের বকেয়া বেতন না দেয়াসহ ৪টি অভিযোগের আবেদনের প্রেক্ষিতে শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক এ পদক্ষেপ গ্রহন করেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ডিগ্রী কলেজে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেতে প্রার্থীকে ১ম শ্রেনীর স্নাতক ডিগ্রীসহ ২য় শ্রেনীর স্নাতকোত্তর ডিগ্রী ও ডিগ্রী কলেজে ১০ বছরের শিক্ষাকতার অভিজ্ঞতা অথবা ২য় শেনীর স্নাতক সম্মান ডিগীসহ ২য় শেনীর স্নাতকোত্তর অথবা ১ম শ্রেনীর স্নাতকোত্তর পাশ ডিগ্রীসহ ২য় শ্রেনীর স্নাতক পাশ ডিগ্রীসহ ১ম শ্রেনীর স্নাতকোত্তর ডিগ্রী ও ডিগ্রী কলেজে ১২ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা অথবা ২য় শ্রেনীর স্নাতকোত্তর ডিগ্রী ও ডিগ্রী কলেজে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। কিন্তু শ্রীপুর ডিগ্রী কলেজে নিয়োগ প্রাপ্ত অধ্যক্ষ নির্মল কুমার সাহার ক্ষেত্রে দেখা যায় তৃতীয় শ্রেনীতে স্নাতক পাশ দ্বিতীয় শ্রেনীর স্নাতকোত্তর ও ডিগ্রী কলেজে ৮ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা যা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি বহির্ভূত। ১-১২- ২০০৪ তারিখে নির্মল সাহা মাগুরার মহম্মাদপুর উপজেলার নহাটা কলেজিয়েট গার্লস স্কুলে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেণ। যা ১৯৯৫ সালের জনবল কাঠামো অনুযায়ী অবৈধ।। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি লংঘন করে নির্মল কুমার সাহাকে নিয়োগ দেয়া হয়। যা বর্তমানে অন্যান্য অভিযোগের সাথে উঠে এসেছে।যার অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পাবার যোগ্যতা নেই সে কিভাবে এখানে নিয়োগ পেল। আবার যার অধ্যক্ষ পদে আবেদনের যোগ্যতাই নেই তার আবেদন কিভাবে গৃহিত হল এ প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন তথ্য প্রমানাদির ভিত্তিতে দেখা যায় সে কোনদিনই কোথাও তিনি সহকারি অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেননি। অথচ তিনি ২০১০ সাল থেকে সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে শ্রীপুর ডিগ্রী কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োিিজত রয়েছেন। দূর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগের ব্যাপরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তৎকালীন কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতির চাপে তার জাতীয় বিশ্ববিদ্যলয়ের সংবিধি মোতাবেক যোগ্যতা না থাকায় তৎকালিন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কলেজের ২৩-০৩-২০১০ তারিখের ২১৮/০৯-১০ নম্বর স্মারকে ৮টি শর্ত সাপেক্ষে নিয়োগপত্র দিতে বাধ্য হন। নিয়োগ পত্রের সকল শর্ত মেনে নির্মল কুমার সাহা যোগদান করেণ। নিয়োগ পত্রে বর্ণিত ২ নং শর্তে বলা হয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ০৫/১১/১৯৯৪ তারিখে ০১(১৪)জাতী: বি: পরি:/সিন্ডি:/৯৪/১/নং স্মারকে জারীকৃত রেজুলেশন অথবা শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের ২৪/১০/১৯৯৫ তারিখের শা: ১১/বিবিধ ৫/৯৪(অংশ)/৩৯৪,৩৯৫,৩৯৬ নং স্মারকে জারীকৃত জনবল কাঠামো কখনো লংঘিত হয়েছে প্রমানিত হয়। তাহলে তার নিয়োগ বাতিল বলে গন্য হবে। অথচ সে বর্তমানে এতবড় অনিয়ম করেও বহাল তবিয়তে কাজ করে যাচ্ছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে কলেজের লাখ লাখ টাকার মূল্যবান গাছ কোন অনুমতি ছাড়া বিক্রি করে টাকা আত্মসাত করেছে । অথচ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বকেয়া পরিশোধ করেননি। এ ছাড়া বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে নিয়োজিত প্রায় ২৫ জনকে কলেজের শিক্ষক হিসেবে নিযোগ দিয়ে রেখেছেন যার মধ্যে ১৫ জনের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ নেই। অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী জানান, তদন্ত করলে এর সত্যতা পাওয়া যাবে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ নির্মল কুমার সাহার কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। তদন্ত কমিটির সদস্য মাউসির খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক এনামুল ইসলাম জানান, তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। অভিভাবকরা এ অভিযোগের সঠিক তদন্ত দাবি করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দুর্নীতি

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
৩১ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ